আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
87 views
in সালাত(Prayer) by (56 points)
edited by
১. নামাজের ভিতরে সুন্নত বা ওয়াজিব নামাজে ২য় রাকাতে হিফজ করা সূরা পড়তে গিয়ে মাঝে মাঝে ইয়াদ করতে পারি না, তখন একই সূরা বারবার পড়ি বা বিসমিল্লাহ আবার বলে অন্য সূরায় চলে যাই তাহলে কি সাহু সিজদা লাগবে?

২. ইদানিং একটা সমস্যা হচ্ছে তা হলো, আত্তাহিয়্যাতু পড়তে গিয়ে السلام عليك ايها النبي ورحمه الله وبركاته والسلام علينا এখানে আলাইনা না পড়ে আবার আলাইকা পড়ে আবার উক্ত অংশ পড়ে ফেলি মানে এই অংশ টা আবার রিপিট করে ফেলি এমন টা ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল কম বেশি সব নামাজে হয়। এখন এইগুলোর সব ক্ষেত্রে কি সাহু সিজদা লাগবে নাকি শুধু ফরয নামাজে?

৩. সাধারণ নামাজের জামাতে ১ম কাতারে সওয়াবের কথা বলা হয়েছে, তেমনি ভাবে কি জানাজার সালাতে শেষ কাতারে এমন কোনো সওয়াবের কথা বলা হয়েছে কি?

৪. কোনো ব্যাক্তি যদি অন্য কোনো ব্যাক্তির গোপন গুনাহের কথা জিজ্ঞেস করে তাহলে কি মিথ্যা বলা যাবে যেহেতু সত্য বলে সে সাক্ষী হয়ে যাবে আর যা আল্লাহ ও বান্দার মাঝে গোপন ছিল সেটা অন্য বান্দার মাঝে প্রকাশ হয়ে গেল। যেমন অমুক গুনাহ করি না যদিও সে তা করে।
৫. শুধু নিজের ঈমান আমল নিয়ে ফিকির করলেই কি হবে? রাষ্ট্রীয় ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠার ফিকির কি করা প্রয়োজন নেই?

৬. সঠিক দ্বীনি ইলম ও দ্বীনি উস্তায এর সান্নিধ্য পাওয়ায় কি গর্ব করা যাবে? (উক্ত গর্ব কাউকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার জন্য না, সঠিক পাওয়ায় খুশিতে)

1 Answer

0 votes
by (707,800 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নামায হয়ে যাবে।সাহু সিজদার কোনো প্রয়োজন নাই।

(২)
সাহু সিজদা লাগবে না।

(৩)
কিছু সংখ্যক ফুকাহায়ে কেরাম মনে করেন, তিন কাতারের সকল কাতারেই বরাবর সওয়াব পাওয়া যাবে। অন্যদিকে কিছু সংখ্যক ফুকাহা মনে করেন, শেষ কাতারে ফযিলত বেশী।

(৪)
https://www.ifatwa.info/1652 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
যেমন হাদীস শরীফে এসেছে.......
ﻋﻦ ﺯﻳﺪ ﺑﻦ ﺃﺳﻠﻢ- : «يا أَيُّهَا النَّاسُ، قَدْ آنَ لَكُمْ أَنْ تَنْتَهُوا عَنْ حُدُودِاللهِ. مَنْ أَصَابَ مِنْ هذِهِ الْقَاذُورَةِ شَيْئاً، فَلْيَسْتَتِرْ بِسِتْرِ اللهِ. فَإِنَّهُ مَنْ يُبْدِي لَنَا صَفْحَتَهُ، نُقِمْ عَلَيْهِ كِتَابَ اللهِ»
ﺍﻟﻜﺘﺐ » ﻣﻮﻃﺄ ﻣﺎﻟﻚ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﺪﻭﺩ » ﺑﺎﺏ ﻣﺎ ﺟﺎﺀ ﻓﻴﻤﻦ ﺍﻋﺘﺮﻑ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ ﺑﺎﻟﺰﻧﺎ
তরজমাঃ- হযরত যায়েদ ইবনে আসলাম রাঃ থেকে বর্ণিত,নবী কারীম সাঃ বলেনঃ সাবধান!এখনও সময় আছে,তোমরা গুনাহ থেকে বিরত থাকো।তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি এই নোংরা জিনিষে(গোনাহে)পতিত হয়,তাহলে সে যেন তা লোকিয়ে রাখে,(এবং তাওবা করে ছেড়ে দেয়)কিন্তু যদি সে আমাদের সামনে তা প্রকাশ করে, তাহলে আমরা তার উপর কিতাবুল্লাহকে (কোরআনে বর্ণিত শাস্তিকে)প্রয়োগ করব,বাস্তবায়িত করব।(মুয়াত্তা ইমাম মালিক-৩০৪৮)

(৫)
নিজের ঈমানের ফিকিরের সাথে সাথে সমাজের সকলের জন্যও ফিকির করতে হবে।

(৬)
নিয়ামতের প্রকাশ হিসেবে সেটা করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (707,800 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...