আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)

১৩ই মার্চ মাগরিবের পর স্রাবের সাথে লালচে বাদামী দেখা যায়। এরপর আর নেই।এরপর ১৫ তারিখ মাগরিবের পর আবার সামান্য স্রাবের সাথে বাদামী কালার দেখা যায়। এই দুইসময় ছাড়া আর কোন সময় সাদা স্রাব ছাড়া কিছু দেখা যায় নি। (আমার আগে থেকে পিরিয়ড নিয়ে অনেক সমস্যা,ইরেগুলার) ইস্তেহাযা ভেবে নামাজ রোজা মিস দেই নি।

এখন গতকাল ২০ তারিখ সেহেরির পর লালচে ব্লিডিং দেখা দেয়(ওই দিন গুলো থেকে সামান্য একটু বেশি)।থেমে থেমে সামান্য একটু দেখা যাচ্ছে।  এখন ১৩ তারিখ ধরে ২০ তারিখ মানে ৮ দিনের মাথায় আবার ব্লিডিং।আগের দিনগুলো কি গণায় ধরবো? নাকি ওইগুলো ইস্তেহাযা ছিল? এখন যা হচ্ছে, তা পিরিয়ড? এখন থেকে পিরিয়ডের ডেট হিসাব করবো অল্প আলামত থাকলেও। আমার ইদানিং পিরিয়ড হলে প্রথমে একটু দেখা দেয়, পরে একটু (পুরো দিন বা কয়েক ঘন্টা) সময় নিয়ে নরমালি ফ্লো শুরু হয়।(কন্সিভের জন্য ঔষধ খেয়ে পিরিয়ড হলে এমন হয়ে ছিল,এখন তো ঔষধ কয়েকমাস হলো বন্ধ করে দিয়েছিলাম)।এর আগে জানুয়ারি মাসেও সামান্য সামন্য করে ৭/৮ ছিল।

আজকে ২১ তারিখ, গত কালের মতোই কিছুক্ষণ পর সামান্য সামান্য দেখা যায়।রোজা নামাজ আদায় করছি না। করলে যদি গুনাহ না হতো করে ফেলতাম।এখন এটা যদি পিরিয়ড হয়, তাই আমার কি উচিত হবে আরো সময় অপেক্ষা করা।পিরিয়ড হলে তো হলো, না হলে কাযা আদায় করে নেওয়া? পিরিয়ড হলে কি ১৩ তারিখেরটা হিসাব করবো নাকি ২০ তারিখ থেকে?আমার বয়স ২৩ বছর, সাড়ে ৫ বছর বিবাহিত জীবন, সন্তান হয় না।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
পূর্বের মাসে আপনার হায়েজ কবে বন্ধ হয়েছিলো?

পূর্বের মাসে যেদিন আপনার হায়েজ বন্ধ হয়েছিলো,তার পরদিন থেকে হিসাব করে ১৩ই মার্চ পর্যন্ত যদি নুন্যতম ১৫ দিন হয়,সেক্ষেত্রে ১৩ই মার্চ থেকে আপনি হায়েজ ধরবেন।

পূর্বের মাসে যেদিন আপনার হায়েজ বন্ধ হয়েছিলো,তার পরদিন থেকে হিসাব করে ১৩ই মার্চ পর্যন্ত যদি নুন্যতম ১৫ দিন না হয়,১৫ই মার্চ পর্যন্তও যদি নুন্যতম ১৫ দিন না হয়,

সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ২০ তারিখ হতে যেই ব্লিডিং হচ্ছে,এটা যদি সর্বনিম্ন তিন দিন তিন রাত ধরে আসে,তাহলে এটি হায়েজ। 
নামাজ রোযা বন্ধ রাখতে হবে।

তিন দিনের আগেই বন্ধ হয়ে গেলে অথবা স্পষ্ট সাদা স্রাব আসলে, ১০ দিনের মধ্যেও আর রক্ত না আসলে এটি ইস্তেহাজা। 
,
এক্ষেত্রে আপাতত এটিকে হায়েজ ধরে নিয়ে নামাজ রোযা বন্ধ রাখতে হবে।

★এটি যদি তিন দিনের আগেই বন্ধ হয়ে যায়,১০ দিনের মধ্যে যদি আর রক্ত না আসে, অথবা স্পষ্ট সাদা স্রাব আসে,সেক্ষেত্রে যে কয়দিন নামাজ বন্ধ রেখেছিলেন,এ কয়দিনের নামাজের কাজা আদায় করে নিতে হবে।

আর যদি এটি তিন দিনের মধ্যে বন্ধ না হয়,অথবা বন্ধ হলেও ১০ দিনের মধ্যে আবারো রক্ত আসে,তাহলে এটি হায়েজ।

এই দিন গুলোর নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা। শুধু রোযার কাজা আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
আমার লাস্ট, গত জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখে এমন সামান্য সামান্য করে ৭/৮ দিনের মতো ব্লিডিং হয়েছিল।

আমার তো ২০ তারিখ থেকে যে ব্লিডিং টা হালকা পরিমাণ যাচ্ছে, আজকে ২৩ তারিখের ব্লিডিংও পিরিয়ড এর ব্লিডিং এর মতো(অল্প তবে ধরণ পিরিয়ডের মতো)।কিন্তু ১৩ তারিখ ও ১৫ তারিখ সন্ধ্যায় যে ওই সময় হালকা কিছু দেখেছি,বাকি সময় গুলো স্পষ্ট সাদা স্রাবই দেখেছি। খুব কনফিউশন হচ্ছে। তাহলে কি ১৩ তারিখ সন্ধ্যা থেকে (সর্তকতা বশত ওইদিনের রোজা সহ) মানে ২ রোজা থেকে রোজা কাযা করতে হবে?
 হায়েজের ৩ দিন ৩ রাত কি এভাবে ধরে যে, ১ম দিন রক্ত দেখার সময় থেকে ১০ দিনের ভিতরে মোটের উপর ৩ দিন সামান্য রক্ত দেখলেও হায়েজ।নাকি এক নাগারে তিন দিন রক্ত দেখতে হবে?
১৩ তারিখ সন্ধ্যায় যেহেতু হয়েছিল প্রথম,তাহলে তো আজকে ২৩ তারিখ সন্ধ্যা থেকে নামাজ পড়তে পারবো,তাই তো? কিন্তু এখন যে অল্প হলেও পিরিয়ডের মতো ব্লিডিং
by (678,880 points)
আপনি ১৩ তারিখ থেকে হায়েজ ধরবেন।
by (3 points)

আমার ব্লিডিং এখনও বন্ধ হচ্ছে না। বরং বাড়তেছে। মার্চের ১৩ তারিখ সন্ধ্যা থেকে পিরিয়ডের হিসাব ধরে ২৩ তারিখ সন্ধ্যায় ১০ দিন শেষ হয়।


 ২৩ তারিখ সন্ধ্যা থেকে ৭ই এপ্রিল ১৫ দিন হয়।এখন ১৫ দিন হয়ে গেলেও ব্লিডিং বন্ধ না হলে ৭ তারিখ থেকে কি আবার হায়েজ গণনা করবো? 

আমার তো কখনো হয়েজ শুরু হওয়ার পর থেকেই রেগুলার পিরিয়ড হইতো না।তিন চার মাস পরে হইতো বা বছরে ৩/৪ বার হইতো।


পিরিয়ডের অনেক সমস্যা। সন্তান হয় না।ডাক্তার দেখানো হয়েছে অনেক। পরিচিত এক আলেমের কাছে রুকাইয়া করার জন্য গিয়েছিল আমার হাসবেন্ড, ওই হুজুর ২ লিটার পানির বোতলে একটা কাগজ দিয়েছেন।এই পানি সাতদিন সেহেরি ও ইফতারের পর আধা গ্লাস করে ৭দিন খেতে বলেছেন।গোলাপ জলে ৫/৬ ফোটা হাতে নিয়ে মাথার তালুতে ঘসে এরপর মুখে হাত বুলিয়ে নিতে দিনে তিনবার ৭দিন।আরেকটা তাবিজ দিয়েছেন কোমরে বাধার জন্য।আমি কি এগুলো করবো? 

মান নিয়ে কোন সমস্যা হবে? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...