জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
মিলাদ অর্থ হল,জন্ম। মিলাদ মাহফিল মানে জন্ম উপলক্ষে মাহফিল বা অনুষ্টান। সুতরাং মিলাদ নামে কোনো অনুষ্টানের বৈধতা শরীয়তে নাই।হ্যা বিভিন্ন সময় ওয়াজ নসিহত ও দ্বীনী আলোচনার আয়োজন করা যেতে পারে।
শরীয়তের বিধান হলো যে পদ্ধতিতে কোন ইবাদত খাইরুল কুরুনে আদায় করা হতো না, সেটিকে জরুরী মনে করে বা একমাত্র পদ্ধতি মনে করে, বা আবশ্যকীয় পদ্ধতি বানিয়ে উক্ত ইবাদত করাও বিদআতের শামিল।
তাই দরূদ পড়া যদিও উত্তম ও সওয়াবের কাজ। কিন্তু এভাবে মাহফিল করে সম্মিলিতভাবে করার বিশেষ সূরতটি খাইরুল কুরুনে ছিল না। তাই এটিকে আবশ্যকীয় বা জরুরী মনে করে করলে তা পরিস্কারই বিদআত হবে। এতে কোন সন্দেহ নেই।
আরো জানুনঃ
রাসুল সাঃ বলেন-
وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.
আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ
‘(দ্বীনের নামে) নবউদ্ভাবিত সকল বিষয় থেকে দূরে থাক।’
আরেক হাদীসে আছে-
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدّ .
‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭
মিলাদ সম্পর্কে আরো জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, শরীয়তের বিধান মতে প্রচলিত মিলাদ যেহেতু বিদআত।
সুতরাং উহা পরিত্যাজ্য।
প্রশ্নে উল্লেখিত কাজটি জায়েজ নয়।
তবে উক্ত মিস্টি জিলাপি খাওয়া হারাম নয়।
যদি তাহা ধনীদের জন্যও নিয়ে আসা হয়,তাহলে ধনীরাও সেটি খেতে পারবে। খাওয়া নাজায়েজ নয়।
তবে ধনীদের খাওয়ানোর দ্বারা ঈসালে ছওয়াব হবেনা,কারন তারা গরিব মিসকিন নয়।
গরিব মিসকিন দেরকে দান ছদকাহ করার কথা বলা হয়েছে।
ধনীদের খাওয়ালে সেটি আর ছদকাহ হিসেবে গন্য হয়না।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে যেসব কাজ করা যায়ঃ
১
মৃতের নামে দান সদকাহ করা।
২
কুরবানী করা।
৩
মৃতের জন্য কুরআন তিলাওয়াত করা।
৪
মৃতের জন্য দুআ করা।
৫
ইস্তিগফার করা।
৬
হজ্ব করা।
ইত্যাদি পূণ্যের কাজ করে মৃত ব্যক্তির জন্য ঈসালে সওয়াব করা যায়। যা কুরআন ও হাদীসের মাধ্যমে সুষ্পষ্টরূপে প্রমাণিত।
আরো জানুনঃ
শরীয়তের বিধান হলো কুরআন কারীম তেলাওয়াত করে বা ছদকাহ করে ঈসালে ছওয়াব করা যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১/৩৭৫)
বিস্তারিত জানুনঃ
,