আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আশা করি ভালো আছেন!

১/জামাতে নামাজ পড়ার সময় জদি মসজিদে গিয়ে ইমামকে রুকুতে পাই তাহলে কি আমি তাকবির বলে সরাসরি রুকুতে যেতে পারবো নাকি হাতও বাধতে হবে

২/যদি তাকবির ছাড়া সরাসরি রুকুতে যাই তাহলে কি সেটা বৈধ হবে

৩/চার রাকাত নামাজের ক্ষেত্রে যদি মসজিদে গিয়ে দেখি ইমাম প্রথম দুই রাকাত শেষ করে ৩ রাকাতে দাঁড়িয়ে গেছে অর্থাৎ আমি ৩য় আর ৪র্থ রাকাত পেলাম।ইমাম সালাম ফেরানোর পরে আমার ছুটে যাওয়া দুই রাকাত নামাজ একাকী আদায় করার সময় যদি নামাজের কোনে ওয়াজিব ছুটা যায় তাহলে কি সাহু সিজদা দিতে হবে

৪/আমার ছুটে যাওয়া দুই রাকাতের প্রতি রাকাতেই কি সুরা ফাতিহার সাথে সুরা মিলাতে হবে নাকি শুধু সুরা ফাতিহা পড়লেই হবে।অর্থাৎ যদি ১ম আর ২য় রাকাত  ছুটে যায়, আর ১ম আর ২য় রাকাতে তো ইমাম সুরা ফাতিহার সাথে সুরা মিলিয়ে থাকে আর আমার এই দুই রাকাতই ছুটে গেছে পরে কি সুরা ফাতিহার সাথে সুরা না মিলালেও হবে নাকি সুরা মিলাতেই হবে অর্থাৎ সুরা মিলানো কি ওয়াজিব হবে?

৫/ইফতার বা খাদ্য খাওয়ার পরে নামাজে দাড়ালে অনেক সময় মুখে খাদ্যের ছোট দানা থাকে, নামাজের মধ্যে যদি ওই দানাটা গিলে খাই বা ফেলে দেই তাহলে কি নামাজ নষ্ট হবে?

৬/ইমামকে যদি সেজদা অবস্থাতে পাই তাহলে আমি যদি সরাসরি সেজদাতে যাই তাহলে কি উক্ত রাকাত পাবো নাকি রুকুতে পেলে উক্ত রাকাত পাবো?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
শরীয়তের বিধান হলো সোজা হয়ে দাড়িয়ে মুখে তাকবিরে তাহরিমা বলে তারপর রুকুতে গিয়ে ইমামকে সামান্য সময়ের জন্য পেলেই তবে সে উক্ত রাকাত পাবে।
নতুবা তাকে উক্ত রাকাত পায়নি বলেই গন্য করা হবে।
এখানে ইমামকে এক তাসবীহ পরিমাণ পাওয়া জরুরি নয়। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال من أدرك ركعة من الصلاة فقد أدركها قبل أن يقيم الإمام صلبه

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের রুকু পেয়ে যায় ইমাম তার পিঠ সোজা করার পূর্বে, সে ব্যক্তি উক্ত রাকাত পেয়ে গেল। 
{সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪০৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৩২৯, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৪৫, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২০৬৯৩, নসবুর রায়াহ, হাদীস নং-৩২৭}

বিস্তারিত জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাধা জরুরি নয়। 
তাকবিরে তাহরিমা বলে রুকুর তাকবির বলে রুকুতে চলে যাবেন।
,
তবে কেহ যদি তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বেধে নেয়,তবুও কোনো সমস্যা নেই।
নামাজ হয়ে যাবে।

(০২)
তাকবিরে তাহরিমা না বলে সরাসরি রুকুতে গেলে আপনার ইক্তেদা,নামাজ কোনোটিই সহীহ হবেনা।

পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।

(০৩)
হ্যাঁ, এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে। 

(০৪)
এক্ষেত্রে সুরা ফাতেহার সাথে সুরা মিলানো ওয়াজিব। সুরা মিলাতেই হবে।

(০৫)
ফেলে দিলে নামাজ নষ্ট হবেনা।
তবে গিলে ফেললে ছোলা বুটের সমপরিমাণ হলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।

এর চেয়ে ছোট হলে নামাজ নষ্ট হবেনা।

(০৬)
ইমামকে যদি সেজদাহ অবস্থাতে পান, তাহলে আপনি যদি সরাসরি সেজদাহতে যান,তাহলে উক্ত রাকাত পাবেননা। ইমামকে রুকুতে পেলে উক্ত রাকাত পাবেন।

উল্লেখ্য, ইমামকে সেজদায় পেলেও ইমামের ইক্তেদার জন্য তাকবিরে তাহরিমা বলে সেজদায় চলে যেতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
তাকবিরে তাহরিমা বলে যদি রুকুর তাকবির দেয় তাহলে তো দুইটা তাকবির একই সাথে হয়ে জাচ্ছে।
তাকবিরে তাহরিমাতে যে তাকবির দেওয়া হয় সেটা দিয়েই যদি রুকুতে যাই বা রুকুর জন্য আলাদা তাকবির না দেয় তাহলে কি নামাজ হবে?
by (682,440 points)
নামাজ হবে।
তবে রুকুর তাকবির দেয়া যেহেতু সুন্নাত,সুন্নাত এক্ষেত্রে রুকুর তাকবির না দেয়ায় একটি সুন্নাত মিস হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 540 views
0 votes
1 answer 79 views
...