জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নামাজে সতর ঢাকা ফরজ।
সুরা আ'রাফের ৩১ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یٰبَنِیۡۤ اٰدَمَ خُذُوۡا زِیۡنَتَکُمۡ عِنۡدَ کُلِّ مَسۡجِدٍ وَّ کُلُوۡا وَ اشۡرَبُوۡا وَ لَا تُسۡرِفُوۡا ۚ اِنَّهٗ لَا یُحِبُّ الۡمُسۡرِفِیۡنَ ﴿۳۱﴾
হে আদম সন্তান! প্রত্যেক সলাতের সময় তোমরা সাজসজ্জা গ্রহণ কর, আর খাও, পান কর কিন্তু অপচয় করো না, অবশ্যই তিনি অপচয়কারীদেরকে পছন্দ করেন না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، وَأَبُو النُّعْمَانِ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ الْحَارِثِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ صَلاَةَ حَائِضٍ إِلاَّ بِخِمَارٍ " .
হযরত আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আল্লাহ প্রাপ্তবয়স্কা নারীর সালাত ওড়না পরা ব্যতীত কবূল করেন না।
তিরমিযী ৩৭৭, আবূ দাঊদ ৩৪১-৪২, আহমাদ ২৪৬৪১, ২৫৩০৫, ২৫৬৯৪; ইবনু মাজাহ ৬৫৪।
★শরীয়তের বিধান হলো, নামাজে নারীর চেহারা ব্যতীত পূর্ণ শরীর সতর । যদি পর-পুরুষ তাকে না দেখে তবে হাত ও পা খোলা রাখার ব্যাপারে মত রয়েছে। কিন্তু পর-পুরুষের দেখার সম্ভাবনা থাকলে নামাজের বাইরের মতো নামাজের মধ্যেও চেহারা, হাত ও পা ঢাকা ওয়াজিব।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ صَلاَةَ حَائِضٍ إِلاَّ بِخِمَارٍ
আল্লাহ তাআলা খিমার পরিধান করা ব্যতীত কোন প্রাপ্ত বয়স্কা নারীর নামাজ কবুল করেন না। (সুনান আবু দাউদ ৬৪১)
ﻭَﻟِﻠْﺤُﺮَّﺓِ ﺟَﻤِﻴﻊُ ﺑَﺪَﻧِﻬَﺎ ﺧَﻠَﺎ ﺍﻟْﻮَﺟْﻪِ ﻭَﺍﻟْﻜَﻔَّﻴْﻦِ ﻭَﺍﻟْﻘَﺪَﻣَﻴْﻦ
মুখমণ্ডল, দুই হাত কবজি পর্যন্ত ও টাখনুর নিচে পায়ের পাতা ছাড়া মহিলাদের সারা শরীরই সতর। (রদ্দুল মুহতার ১/৪০৪)
আরো জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
নামাজের মধ্যে মহিলাদের মুখমণ্ডল, দুই হাত কবজি পর্যন্ত ও টাখনুর নিচে পায়ের পাতা ছাড়া যেনো শরীরের কোনো অংশ অনাবৃত না থাকে।
এমনকি থুতনিও ঢেকে রাখতে হবে।
সুতরাং শাড়ি পরিধান করে নামাজ পড়লে যেহেতু এভাবে পর্দা ঠিক রাখা মুশকিল হয়ে যায়,তাই আপনার দাদু নারীদের শাড়ি পরে নামাজ আদায় হতে নিষেধ করেছেন।
তার কথাটি সহীহ।
মহিলাদের ঢিলেঢালা যেকোনো পোশাক,যাহা দ্বারা উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে নামাজ আদায় করা যায়,সেই কাপড়েই নামাজ হবে।
(০২)
শাড়ি পরিধান করে উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে নামাজ আদায় করলে সেক্ষেত্রে ছওয়াব কম হবেনা।
তবে শরীরের কোনো অংশ বের হয়ে গেলে নিঃসন্দেহে ছওয়াব কম হবে।
(০৩)
না,ঠিক করে দেননি।
তবে এক্ষেত্রে মূলনীতি উপরে উল্লেখ রয়েছে।