আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in ওয়াসওয়াসা by (22 points)
আসসাআসসালামুলামু আলাইকুম।। আমি ওয়াসওয়াসার রুগি অনেকদিন ধরে। আমার কিছু জিনিশ জানার আছে।


১। শিরক কুফরের মত গুনাহ বা অন্য গুনাহ  থেকে তওবা করার পর এভাবে কি বলা যাবে যে,, আল্লাহ আমার তাওবা অবশ্যই কবুল করবেন,  ইন শা আল্লাহ।  আমাকে অবশ্যই মাফ করবেন, ইন শা আল্লাহ( Allah jodi chan)।....আমি তো প্রায়ই এভাবে বলে এসেছি।  এতে কি তাওবা হবে?আজকে দেখলাম এভাবে নিকা বলা যাবেনা। ( kintu amar mone ei bissash ache je banda tawba korle Allah obossoi kobul koren)....আমি যদি শিরক, কুফর জা করেছি তা থেকে আবার তাওবা করি তবে কি আবার ঈমান নবায়ন করে গোসল করতে হবে?


২। নামাযে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার সময় আমি বেখেয়ালে এতদিন  ওয়াতত্বয়্যিবাত এ না থেমেই বলে এসেছি wattoyyibat assalamu alaina থেকে আশহাদু আল্লাহর আগ porjonto । মানে  wattoyyibatu bolini ba wattoyyibat bolar somoy 3 alif poriman tene thamini....  আবার বারকাতুহ তে কা তে হয়ত এক আলিফ টানিনি।।।Ete ki namaz hoyeche?


৩।এভাবে কি বলা যাবে যে, হয়ত বুঝবো, ইন শা আল্লাহ।  মানে ইন শা আল্লাহ বলার সাথে সাথে হয়ত বলা যাবে কি?
by (22 points)
edited by
আসসালামু আলাইকা হবে ওখানে( আল্লাহ মাফ করুন)। কবর নিরাপদ, পবিত্র জায়গা। এভাবে বলা যাবে কি? প্লিয জানাবেন কষ্ট করে।

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০২)
আপনার নামাজ হয়েছে।

(০৩)
এভাবে বললে সমস্যা নেই।

(০১)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (22 points)
edited by
১ নং কি তবে আমার ওয়াসওয়াসা? কারন আমি একটা লিখা পরলাম জেখানে বলা হয়েছে "  হে আল্লাহ, আপনি চাইলে আমাকে ক্ষমা করুন" এভাবে বলা বারণ। মানে এক্ষেত্রে ইন শা আল্লাহ বলা যাবেনা।।।। তবে আমি যে  ১ নং এর মত করে তাওবা করার সময়  ইন শা আল্লাহ  বলেছিলাম(মুখে বা মনে মনে) এতে কি ঠিকভাবে তাওবা হয়েছে বা এভাবে বললে সমস্যা হবে কি? প্লিয জানান। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...