আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
উস্তায আমার মা মারা গিয়েছে ৪.৫ +বছর৷ সংসারের সমস্ত কাজ আম্মু মারা যাওয়ার পর থেকে আমিই করি আব্বুও হেল্প করে। উস্তায আমার ৩ জন বড় ভাই। একজন বিয়ে করেছে। তার বউ সহ আমরা সবাই একসাথেই থাকি। মোটামোটামুটি বড়ই সংসার ।  এই সংসারের সমস্ত কাজ আমি নিজেই একা করি। আমার ভাবি আমার থেকে বয়সে বড় উনি আমার থেকেও ভালো রান্না +কাজ পারে কিন্তু সে আমায় কোনো হেল্প করে না। মানে বাসার কোনো কাজই করে না। আমি এতো কষ্ট করে কাজ করি কখনো আমাকে হেল্প করে না। বিশেষ করে এই রমাদানে অনেক কাজ করা লাগে সাহারী /ইফতার এগুলো সব আমারই করতে হয় ৪ঘন্টা দাড়িয়ে কাজ করতে অনেক কষ্ট হয় উস্তায  পা ব্যথয় আমি দাড়িয়ে থাকতেও পারিনা। তারাবী নামাজ পড়তে খুব কষ্ট হয় দাড়িয়ে থাকতে তবুও  আলহামদুলিল্লাহ পড়ি। সে দেখেও কোনো কাজ করে না।  আমাকে উল্টা কথা শোনায় বলে আমি সারাজীবন নাকি এভাবে কষ্ট করবো আমার সাথে কথা ও বলে না আরোও অনেক কাহিনি,আমি কোনো ভুল করিনি তবুও তার কাছে মাফ চাইছি শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কিন্তু তবুও সে আমার দিকে তাকায় না খারাপ ব্যবহার করর। উস্তায এখন আমার প্রশ্ন  এইযে সে আমি একা সব কাজ করছি আমি কি জুলুমের শিকার হচ্ছি??উস্তায এই অবস্থায় আমি কিভাবে সবর করবো কিভাবে অন্তর কে বিদ্বেষ মুক্ত রাখবো???এই অবস্থার সমাধান কি উস্তায প্লিজ আমাকে বলে দিন আমি আমার বাবার কাছে বললে উনি বলেন  সবর করতে উনার ছেলের কষ্ট হবে নাতির কষ্ট হবে তাই কিছু বলে না।ভাই দের বললেও কোনো লাভ নাই। উস্তায আমি কি জুলুমের শিকার হচ্ছি???  প্লিজ বলেন উস্তায??? আমার বাবা যে এক সন্তানের সুখ এবং আরেক সন্তানের কষ্ট  এজন্য কি তিনি  গুনাহগার হবেন যেহেতু আমার ভাই ভাবী দের খেদমত করা টা আমার দায়িত্বে মধ্যে পড়ে  না তবুও শুধু আল্লাহর র জন্য সব সয়ে যাই।

উস্তায আমার জন্য দোয়া করবেন প্লিজ ✨।

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মাযলুম যালিমের কাছ থেকে সীমালঙ্ঘন ব্যতীত প্রতিশোধগ্রহণ করতে পারবে বা প্রতিশোধের অপেক্ষায় থাকতে পারবে এতে তার কোন প্রকার গুনাহ হবেনা।এ সম্পর্কে আরোও শুনুন আল্লাহর তা'আলার বাণী.....

ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺇِﺫَﺍ ﺃَﺻَﺎﺑَﻬُﻢُ ﺍﻟْﺒَﻐْﻲُ ﻫُﻢْ ﻳَﻨﺘَﺼِﺮُﻭﻥَ

যারা আক্রান্ত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে।(৪২সূরা আশ শূরা-৩৯)
ﻭَﺟَﺰَﺍﺀ ﺳَﻴِّﺌَﺔٍ ﺳَﻴِّﺌَﺔٌ ﻣِّﺜْﻠُﻬَﺎ ﻓَﻤَﻦْ ﻋَﻔَﺎ ﻭَﺃَﺻْﻠَﺢَ ﻓَﺄَﺟْﺮُﻩُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ

আর মন্দের প্রতিফল তো অনুরূপ মন্দই। যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে; নিশ্চয় তিনি অত্যাচারীদেরকে পছন্দ করেন নাই।(৪২/৪০)

ﻭَﻟَﻤَﻦِ ﺍﻧْﺘَﺼَﺮَ ﺑَﻌْﺪَ ﻇُﻠْﻤِﻪِ ﻓَﺄُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻣَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﻣِّﻦ ﺳَﺒِﻴْﻞٍ ، ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺴَّﺒِﻴﻞُ ﻋَﻠَﻰْ ﺍﻟّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﻈْﻠِﻤُﻮﻥَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﻭَﻳَﺒْﻐُﻮﻥَ ﻓِﻲْ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺍﻟْﺤَﻖّ ، ﺃُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ

নিশ্চয় যে অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই।
অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।(৪২/৪১-৪২)

আরো জানুনঃ  

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِدۡفَعۡ بِالَّتِیۡ ہِیَ اَحۡسَنُ السَّیِّئَۃَ ؕ نَحۡنُ اَعۡلَمُ بِمَا یَصِفُوۡنَ ﴿۹۶﴾ 
মন্দের মুকাবিলা করুন যা উত্তম তা দ্বারা; তারা (আমাকে) যে গুণে গুণান্বিত করে আমরা সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবগত।
(সূরা মুমিনূন : ৯৬)

এই আয়াতের অর্থ মুহাদ্দিসিনে কেরামগন এইভাবেও করেছেনঃ
‘কেহ যদি তোমার সহিত অন্যায় ব্যবহার করে তুমি সদ্ব্যবহার দ্বারা তাহার প্রতিশোধ লও, তাহা হইলে যাহার সহিত তোমার শত্রুতা আছে সে তোমার পরম বন্ধু হইবে’। 

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে,

অর্থাৎ আপনি মন্দকে উত্তম দ্বারা, যুলুমকে ইনসাফ দ্বারা এবং নির্দয়তাকে দয়া দ্বারা প্রতিহত করুন। এটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রদত্ত উত্তম চরিত্রের শিক্ষা, যা মুসলিমদের পারস্পরিক কাজ কারবারে সর্বদাই প্রচলিত আছে। 

অন্য আয়াতে আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, 
মন্দ প্রতিহত করুন তা দ্বারা যা উৎকৃষ্ট; ফলে আপনার ও যার মধ্যে শক্ৰতা আছে, সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মত। আর এটি শুধু তারাই প্ৰাপ্ত হবে যারা ধৈর্যশীল। আর এর অধিকারী তারাই হবে কেবল যারা মহাভাগ্যবান।” 
[সূরা ফুসসিলাত: ৩৪–৩৫] 

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি সব দিক হতে জুলুমের শিকার হচ্ছেন।

আপনার ভাই,ভাবিদের রান্না করে দেয়া আপনার দায়িত্ব নয়।
এমনকি আপনার বাবার রান্না করে দেয়ার দায়িত্বও শরীয়ত আপনার উপর আবশ্যক করে দেয়নি।

সুতরাং আপনি যে তাদেরকে রান্না করে দিচ্ছেন,এই কঠিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন,এটি সম্পূর্ণভাবে তাদের প্রতি ইহসান আর দয়া।

সুতরাং এক্ষেত্রে পরিবারের মুরব্বিদের নিয়ে বৈঠক করে বিষয়টি সমাধানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
উস্তায আমার ভাবীর এসব আচরণের কথা আমি কি আমার প্রতিবেশী বা আত্মীয় দের সাথে শেয়ার করতে পারবো??উনাদের কাছে বললে কি গীবত হবে??
by (684,760 points)
যদি তারা সমাধান করার সক্ষমতা রাখে,তাহলে সমাধানের লক্ষে তাদের বলা যাবে।

অন্যথায় বলা জায়েজ হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...