বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বর্তমান সময়ে প্রসিদ্ধ চারটি মাযহাব রয়েছে।এবং বলতে গেলে পঞ্চম নাম্বার মাযহাব হল,সালাফি মাযহাব বা আহলে হাদীস।
আপনি যে মাযহাব-কে পূর্ব থেকে অনুসরণ করে আসছেন,সেই মাযহাবকে ফলো করবেন।সেই মাযহাবের মুফতী সাহেবের নিকট মাস'আলা জিজ্ঞেস করার চেষ্টা করবেন।
মুফতী সাহেবকে জিজ্ঞাসা করা আপরার দায়িত্ব।উনি উনার মাযহাবমত ফাতাওয়া দিবেন।ফাতাওয়া জিজ্ঞাসাকারী উনার বক্তব্যকে গ্রহণ করবেন। কাউকে মাস'আলা জিজ্ঞাসা করার পর উনি দলীল তলব করতে পারবেন না।এবং ভিন্ন কাউকে জিজ্ঞাসাও ও যাচাই বাচাই করতে পারবেন না।
দ্বীনে ইসলাম তথা শরীয়ত হলো,কুরআন এবং হাদীসের সমষ্টির নাম।প্রথমত কুরআন এবং হাদীস আরবী। দ্বিতীয়ত আরবী বাগধারা অনেক কঠিন ও একই বাক্য বহুঅর্থের বাহক হওয়ার দরুণ কুরআন এবং হাদীসের সুস্পষ্ট ব্যখ্যা প্রয়োজন।তাছাড়া নাসিখ মানসূখ পরিচয় লাভ করাও একটা জটিল বিষয়।ইত্যাদি ইত্যাদি।সুতরাং এ সব অস্পষ্টতাকে স্পষ্টকরে যে ব্যখ্যা প্রদান করা হয়,মূলত সেটার নামই হল মাযহাব।যেহেতু অস্পষ্টতাকে দূর করে স্পষ্ট ব্যখ্যা করতে যেয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছে,তাই ভিন্ন ভিন্ন মাযহাবের সৃষ্টি হয়েছে।
মাযহাব প্রশ্নে সংক্ষেপে এতটুকুই আপাতত বলতে পারেন।
মুজতাহিদ ফিল মাযহাব তথা যিনি নিজে নিজে সরাসরি কুরআন-হাদীস থেকে শরীয়ত বুঝার ক্ষমতা রাখেন।
অর্থাৎ যিনি নিম্নোক্ত পাঁচটি বিষয়ে যথেষ্ট পারদর্শী থাকবেন।(১) তাফসীর(২)হাদীস ও হাদীসের রাবী(৩)আরবী ভাষা(৪)সালাফে সালেহীনদের বর্ণনাকৃত মাসাঈল ও তাদের মন্তব্য সমূহ।(৫)এবং কুরআন-হাদীস থেকে কিয়াস করে হুকুম বের করা যোগ্যতা।
উপরোক্ত বিষয়ে পারদর্শী কোনো ব্যক্তির জন্য তাকলীদে শাখসীর কোনো প্রয়োজন নেই।উনার কাছে নিজ ইমামের বিপরিত কোনো একটি দিক কুরআন-সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী প্রমাণিত হলে, উনি সেটার উপরই আ'মল করবেন। এমনকি তখন উনার জন্য নিজ ইমামের অনুসরণ বৈধ হবে না।(মাযহাব কি ও কেন দ্রষ্টব্য)
এছাড়া অন্য সবার জন্য নিজ ইমামের প্রত্যেকটি মতামতকে মান্য করা ওয়াজিব।
আরো জানতে ভিজিট করুন-
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।