আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
closed by
আস্সালামুআলাইকুম হুজুর ওযু ছাড়া কি ল্যাপটপ এ কুরআন দেখে দেখে বাংলা উচ্চারণ পড়া যাবে ? সাথে সূরার অডিওটাও চালানো থাকলে ? আমার উচ্চারণে যেন ভুল না হয় তাই অডিওটা শুনে পাশাপাশি বাংলা উচ্চারণ দেখে পড়ি ,,,এজন্য কি ওযু করতে হবে হুজুর ?
closed
by (4 points)
২)সালাতে বড় সূরাগুলোর কিছু অংশ পড়া যাবে সূরা ফাতেহার পর ? নাকি পুরোটাই পড়তে হবে ? আয়াতুল কুরসিও কি পড়া যাবে ?

৩)হায়েজের সময় আয়াতুল কুরসি,,দুরুদ পড়া যাবে ?
by (60,240 points)
+1
১. জ্বী, কোনো বড় সূরার কিছু অংশ পড়া যাবে এবং আয়াতুল কুরসীও পড়া যাবে। 
২. জ্বী, পড়া যাবে। আরো বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/4306/  

1 Answer

0 votes
by (60,240 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

https://ifatwa.info/1404/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

কাগজে লিখিত আমাদের সামনে বিদ্যমান কুরআন সম্পর্কে উলামায়ে কেরামগণ বলেন,এ মুসহাফ-কে অজু ব্যতীত স্পর্শ করা জায়েয হবে না।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/793  


মোবাইল স্কীন বা নব আবিস্কৃত যন্ত্রের স্কীনে ভেসে থাকা কুরআন কি আমাদের সামনে বিদ্যমান মুসহাফের মত?


এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরাম বলেন, স্কীনে ভেসে থাকা কুরআন, আর আমাদের কাছে বিদ্যমান কুরআনের মুসহাফ, উভয়টা সমান নয়। কেননা স্কীনে ভেসে থাকা কুরআন একবার আসে আবার চলে যায়। সে হিসেবে আমাদের সামনে বিদ্যমান কুরআনের যে হুকুম, সেই হুকুম স্কীনে ভেসে থাকা কুরআনকে দেয়া যাবে না।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

বিনা অজুতে মোবাইল স্কীনে ভেসে থাকা কুরআনে কারীম-কে স্পর্শ জায়েয কি না? এ সম্পর্কে এতটুকুই বলা যায় যে, উলামায়ে কেরাম স্কীনে ভেসে থাকা কুরআনকে বাস্তবিক কুরআনের হুকুম দেননা।


শায়েখ আব্দুর রহমান আল-বার্রাক দাঃবা কে স্কীনে ভেসে থাকা কুরআন সম্পর্কে জিজ্ঞাস করা হয়েছিলো। প্রতিউত্তরে তিনি বলেছিলেন,


জানা কথা যে, মূখস্থ থেকে কুরআনে কারীমকে তেলাওয়াত করার জন্য হাদাসে আসগর থেকে পবিত্র হওয়া শর্ত নয়। বরং হাদাসে আকবর থেকে পবিত্র হলেই চলবে। তবে যদিও শর্ত নয় তথাপি হাদাসে আসগর থেকে নিজেকে পবিত্র করে নেয়াটাই উত্তম। কেননা এটা আল্লাহর কালাম। সুতরাং সম্মানের তাকাযা হল, অপবিত্র অবস্থায় কুরআনকে তেলাওয়াত না করা চায় হাদাসে আসগরই হোক না কেন?

তবে আমাদের সামনে মুসহাফকে স্পর্শ করার জন্য অত্যাবশ্যকীয় শর্ত হলো, পবিত্র হওয়া। কেননা হাদীসে মাশহুরে এসেছে-

( ﻻ ﻳﻤﺲ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺇﻻ ﻃﺎﻫﺮ )

কোনো অপবিত্র ব্যক্তি কুরআনকে স্পর্শ করতে পারবে না।

তাবেঈন তাবে-তাবেঈন এবং সমস্ত উলামাদের কাছ থেকে এটাই বর্ণিত রয়েছে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


জ্বী হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে অযু ছাড়া কুরআন পড়া যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে অযুর সাথে কুরআনুল কারীম পড়াটাই উত্তম। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...