ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/1404/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
কাগজে লিখিত আমাদের সামনে বিদ্যমান কুরআন সম্পর্কে উলামায়ে কেরামগণ
বলেন,এ মুসহাফ-কে অজু ব্যতীত স্পর্শ করা জায়েয হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/793
মোবাইল স্কীন বা নব আবিস্কৃত যন্ত্রের স্কীনে ভেসে থাকা কুরআন
কি আমাদের সামনে বিদ্যমান মুসহাফের মত?
এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরাম বলেন, স্কীনে ভেসে
থাকা কুরআন, আর আমাদের কাছে বিদ্যমান কুরআনের মুসহাফ, উভয়টা সমান নয়।
কেননা স্কীনে ভেসে থাকা কুরআন একবার আসে আবার চলে যায়। সে হিসেবে আমাদের সামনে বিদ্যমান
কুরআনের যে হুকুম, সেই হুকুম স্কীনে ভেসে থাকা কুরআনকে দেয়া যাবে না।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিনা অজুতে মোবাইল স্কীনে ভেসে থাকা কুরআনে কারীম-কে স্পর্শ
জায়েয কি না? এ সম্পর্কে এতটুকুই বলা যায় যে, উলামায়ে কেরাম
স্কীনে ভেসে থাকা কুরআনকে বাস্তবিক কুরআনের হুকুম দেননা।
শায়েখ আব্দুর রহমান আল-বার্রাক দাঃবা কে স্কীনে ভেসে থাকা কুরআন
সম্পর্কে জিজ্ঞাস করা হয়েছিলো। প্রতিউত্তরে তিনি বলেছিলেন,
জানা কথা যে, মূখস্থ থেকে কুরআনে কারীমকে তেলাওয়াত করার জন্য হাদাসে আসগর
থেকে পবিত্র হওয়া শর্ত নয়। বরং হাদাসে আকবর থেকে পবিত্র হলেই চলবে। তবে যদিও শর্ত নয়
তথাপি হাদাসে আসগর থেকে নিজেকে পবিত্র করে নেয়াটাই উত্তম। কেননা এটা আল্লাহর কালাম।
সুতরাং সম্মানের তাকাযা হল, অপবিত্র অবস্থায় কুরআনকে তেলাওয়াত না করা চায় হাদাসে আসগরই হোক
না কেন?
তবে আমাদের সামনে মুসহাফকে স্পর্শ করার জন্য অত্যাবশ্যকীয় শর্ত
হলো, পবিত্র হওয়া। কেননা হাদীসে মাশহুরে এসেছে-
( ﻻ ﻳﻤﺲ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺇﻻ ﻃﺎﻫﺮ )
কোনো অপবিত্র ব্যক্তি কুরআনকে স্পর্শ করতে পারবে না।
তাবেঈন তাবে-তাবেঈন এবং সমস্ত উলামাদের কাছ থেকে এটাই বর্ণিত
রয়েছে।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বী হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে অযু ছাড়া কুরআন পড়া যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে অযুর সাথে কুরআনুল
কারীম পড়াটাই উত্তম।