আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in ওয়াসওয়াসা by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি মারাত্মক ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত মনে হচ্ছে। ইমান, পাকপবিত্রতা, নামায সবকিছু নিয়ে। আমার খুব ই কষ্ট হয়, এত চিন্তা আসে মাথায়।প্লিয উত্তর দিয়ে আমাকে সাহায্য করুন আর পরামর্শ দিন। আমি মেয়ে তাই কোথাও ত জেতেও পারবো না।

১।আমার আজকে, মারা জাওয়ার পর কিছু বিষয় , বা এমন কিছু নিয়ে ওয়াসওয়াসা হচ্ছে। কিন্তু আমি প্রশ্ন টা সঠিক ভাবে লিখতে পারছিনা।প্রশ্ন টা অল্প একটু লিখার পর মনে হচ্ছে, এমন প্রশ্ন করার কারনে যদি আমার ঈমানে ক্ষতি হয়।। এ অবস্থায় আমি কি চুপ থাকব? নাকি প্রশ্ন টা করব? আর এরুপ, ঈমানের জন্য ক্ষতিকর কোন  প্রশ্ন করার কারনে,  আকিদা বিষয়ক কিছু নিয়ে সন্দেহ করার কারনে কি আমার ঈমানের ক্ষতি হবে?

২।।মনে মনে ঈমান-আকিদা- বিশ্বাস বিষয়ক কিছু নিয়ে যদি চিন্তা বা সন্দেহ  আসে কিন্তু আমি তা মুখে উচ্চারন না করি তবে কি আমার ঈমান ঠিক থাকবে বা এমন কিছু যদি লিখে ফেলি জা ঈমানের জন্য ক্ষতিকর তবে কি  আমার ঈমান থাকবে???   কারন আকিদা বই এ দেখেছিলাম, আকিদা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করলে নাকি কাফের হয়ে যায়। আর নিজেকে মনে মনে কেউ কাফের ভাবে ফেললে কি কাফের হয়ে জায়?
৩।আর ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হওয়ায় আমি যদি শিরক, কুফরি, ইমান চলে জাওয়ার মত কিছু বলে ফেলি বা করে ফেলি,  বা আকিদা বিষয়ক কিছু নিয়ে সন্দেহ করি আর তা মুখে বলে ফেলি তবে কি আমি কাফের হয়ে যাব?  আমার জন্য কি শরিয়তে কোন ছাড় আছে?

৪। যদি সন্দেহ বশত কোন কাপড় বা অন্য কিছুকে নাপাক মনে হয় কিন্তু নিশ্চিত না হওয়ায় আমি কাপর টা পাক ধরে নেই তবে কি গুনাহ হবে?
by (11 points)
edited by
শুধু মনে মনে নয়, সত্যি ই যদি কেউ নিজেকে কাফের ভাবে তবে কি কাফের হয়ে যাবে? আর এরুপ প্রশ্ন করার কারনে কি তার ঈমান ঠিক থাকবে?
  আমাদের বাসায় বাচ্চা সহ মেহমান এসেছিল। বিছানায় একটা বাচ্চা প্রস্রাব মাখা পায়জামা নিয়ে উঠেছিল, তারপর বাচ্চার দাদি এটা দেখে আর পায়জামা খুলে বিছানায় ই রাখে।পায়জামা টা দেখে মনে হয়নি যে টপ টপ করে পরছে।  তারপর আবার অন্যত্র রেখে দেয়, আর তারা অইজায়গায় ই শুয়ে পরে। কিন্তু বিছানা ভিজেছিল কিনা তা আমি জানিনা। ভিজলে ত অইখানেই শুয়ে পড়ার কথা না।  বিছানার চাদর টা কি তাহলে নাপাক?   মেহমান জাওয়ার পর আমি এটা বলায় আমার নানু বিছানার চাদর টা ধুয়ে দেয়, ৩ বার ধুয়েছে কিনা আমি নিসচিত না, কারন নানু সবসময় সত্যি টা বলেনা। আর আজকে এই বিছানায় ঘুমানর সময় আমি গরমে অনেক ঘেমে যাই। আমার জামা মনে হয় ভালই ভিজেছিল কিন্তু বিছানা পুরপুরি ভিজেছিল কিনা আমি নিশ্চিত হতে পারিনি। এতে কি আমার জামাকাপড় অ নাপাক হয়েছে?
৩। তোমার আশায় বাচি। এই কথা বললে কি শিরক হবে? আমার আম্মু আমাকে কল করে ওই কথা টা বলেছিল। আর আমি যে এই প্রশ্ন টা করলাম এতে কি আমারও গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ
- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ:  
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলামির দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাকও গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।বিবেক বুদ্ধি লোপ পেতে বসা ওয়াসওয়াসা রোগীর এমন কোনো কথা বার্তা যা মুরতাদ হওয়াকে লাযিম করে দেয়, সেই কথাবার্তার দরুণ উক্ত ওয়াসওয়াসার রোগী মুরতাদ হবে না। (আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনার জন্য এভাবে অনলাইনে প্রশ্ন না করাই উচিৎ। বরং আপনি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়বেন। এবং স্থানীয় কোনো মুফতি সাহেব অথবা পাশের মসজিদের ইমাম সাহেবের নিকট সরাসরি উপস্থিত হয়ে আলোচনা করে নিবেন।
(২) ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তির ঈমানও যায় না এবং তালাকও হয় না।
(৩) আপনার ঈমানেও কোনো সমস্যা হবে না এবং আপনার তালাকও হবে না।
(৪) যদি সন্দেহ বশত কোন কাপড় বা অন্য কিছুকে নাপাক মনে হয় কিন্তু নিশ্চিত না। তাহলে কাপড় বা শরীর কোনোটা কেই নাপাক বলা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (11 points)
১ নং প্রশ্নের উত্তর টা বুঝিনি,  আফওয়ান। ১ নং প্রশ্নের অনুরুপ কোনো বিষয়ে ওয়াসওয়াসা আসলে, তবে কি আমি চুপ থাকব, এড়িয়ে চলার চেষ্টা করব? কারন আমি মেয়ে আর আমার নানুর সাথে একা থাকি। তাই কোনো মুফতির নিকট গিয়ে প্রশ্ন করা একটু কষ্টকর।
by (589,140 points)
আপনার জন্য আশপাশের দারুল ইফতায় যোগাযোগ করে মাসআলা জানাই উচিৎ। দয়াকরে আপনার মসজিদের ইমাম সাহেবকে বাসায় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসে উনাকেই মাসআলা জিজ্ঞাসা করে জিনে নিবেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...