আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
233 views
in সালাত(Prayer) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম
১।আমি আমেরিকার একটা স্টেটে পড়াশোনার জন্য অবস্থান করছি৷ এই  পুরো এলাকায় একটায় মাত্র মসজিদ আছে। সবাই অনেক দূর থেকে নামাজ পড়তে আসে। এখানে আফ্রিকা, সৌদি আরব, ফিলিস্তিন, বাংলাদেশী, পাকিস্তানী, মিসরের লোকজন বেশি নামাজ পড়তে আসে। এই মসজিদে নির্দিষ্ট কোনো ইমাম নাই। রমজান মাসে একজন হাফেজ তারাবী ও বিতর পড়ায়। উনি সৌদি আরব এর নাগরিক।  এই জন্য রমজানে বিতরের নামাজ এ একটু পার্থক্য আছে। উনি দুইরাকাত পড়ার পর সালাম ফিরাই, তারপর উঠে এক রাকাত পরে, এইভাবে তিন রাকাত বিতর পড়ে। এখন উনার পেছনে দাড়িয়ে আমি নামাজ পড়তে পারবো কি? যেহেতু আমাদের হানাফি মাযহাবে একটু ভিন্নতা আছে।

২। যেদিন ওই হাফেজ অনুপস্থিত থাকে ওই দিন একজন কোরআান দেখে দেখে তারাবীর ইমামতি করান (উনি মালয়েশিয়ান)। এই অবস্থায় উনার পেছনে দাড়িয়ে তারাবী পড়তে পারবো কি?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
অন্য মাযহাবের যেই ইমাম সাহেব বিতির নামাযে দুই রা'কাতের মাথায় সালাম ফিরিয়ে ফেলেন, এবং পরবর্তীতে এক রা'কাত পড়েন, ঐ ইমাম সাহেবের পিছনের বিতির পড়া যাবে না।বরং হয়তো হানাফি ফিকহের অনুসারী পরবর্তীতে জামাতে অথবা একাকি বিতির পড়ে নিবেন।
 '' فظهر بهذا أن المذهب الصحيح صحة الاقتداء بالشافعي في الوتر إن لم يسلم على رأس الركعتين وعدمها إن سلم۔ والله الموفق للصواب''۔ (البحر الرائق، 2/40، باب الوتر والنوافل، ط: سعید)

তবে হারামাইন শরীফাইনের বিষয়টা হানাফি বিশ্লেষণ মতে কিছুটা ব্যতিক্রম পর্যায়ের। অর্থাৎ হারামাইনের মধ্যে যদি ইমাম সাহেব শাফেয়ী মাযহাবের হন, তাহলে হানাফি মুক্তাদিরা ঐ ইমাম সাহেবের সাথে বিতিরের নামাযে শরীক হবেন। এবং যখন ইমাম সাহেব দুই রা'কাতের মাথায় সালাম ফিরাবেন, তখন মুক্তাদি সোজা দাড়িয়ে যাবেন।এবং যখন ইমাম সাহেব তৃতীয় রা'কাতের জন্য দাড়াবেন, তখন ইমাম সাহেবের সাথে হানাফি ঐ মুক্তাদি বিতিরে শরীক হয়ে যাবেন।
۔ لا یجوز اقتداء الحنفي بمن یسلم من الرکعتین في الوتر، وجوّزہ أبوبکر الرازي ویصلي معہ بقیة الوتر؛ لأن إمامہ لم یخرج بسلامہ عندہ وہو مجتہد فیہ۔ (البحر الرائق ۲/۳۹ کوئٹہ) وبالجملة فمذہب الحنفیة أنہ لا وتر عندہم إلا بثلاث رکعات بتشہدین وتسلیم، نعم لو اقتدیٰ حنفي بشافعي في الوتر وسلم ذٰلک الشافعي الإمام علی الشفع الأول علیٰ وفق مذہبہ ثم أتم الوتر صح وتر الحنفي عند أبي بکر الرازي وابن وہبان۔ (معارف السنن ۴/۱۷۰ أشرفي)ولا عبرة بحال المقتدي وإلیہ ذہب الجصاص وہو الذي اختارہ لتوارث السلف واقتداء أحدہم بالاٰخر بلا نکیر مع کونہم مختلفین في الفروع وکان شیخنا شیخ الہند محمود الحسن أیضاً یذہب إلی مذہب الجصاص۔ (فیض الباري للعلامة الکشمیري ۳/۳۵۴)۔

حنفی کے یہاں ایک سلام سے تین رکعت وتر پڑھنا واجب ہے اور شافعی کے یہاں دو سلام سے تین رکعت پڑھنا سنت ہے۔ عام حالات میں تو حنفی کو وتر کی نماز اپنی علاحدہ پڑھنا چاہیے۔ البتہ حرمین شریفین میں رمضان المبارک کے مہینہ میں بھی حنفی وشافعی دونوں کثیر تعداد میں ہوتے ہیں اور حنفی حضرات کے علاحدہ جماعت کرنے میں ایک قسم کا جماعت سے اعراض کا منظر پایا جاتا ہے کہ حرم والے اپنی الگ جماعت کرتے ہیں اور حنفی لوگ اپنی الگ جماعت کرتے ہیں، اس بھونڈی اور اختلافی شکل سے بچنے کے لیے یہ بتایا جاتا ہے کہ حنفی بھی امام حرم کے پیچھے تین رکعت وتر کی نیت باندھیں، جب وہ لوگ دو رکعت پر سلام پھیریں تو حنفی لوگ سلام نہ پھیریں بلکہ تیسری کے لیے کھڑے ہوجائیں جب وہ لوگ تیسری کے لیے کھڑے ہوں تو ان کے ساتھ شامل ہوکر تیسری رکعت پڑھیں اس طرح امید ہے کہ ان کی نماز صحیح ہوجائے گی۔واللہ تعالیٰ اعلم
فتوی: 2027/ ب= 351/ تب
دارالافتاء،
دارالعلوم دیوبند

(২)
নামাযে কুরআন দেখে পড়লে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। সুতরাং যিনি নামাযে দেখে দেখে কুরআন তিলাওয়াত করেন, উনার ইক্তেদা করা যাবে না। বরং একাকি নামায পড়তে হবে।
إنہ تلقن من المصحف فصار کما إذا تلقن من غیرہ (الدر مع الرد: ۲۸/ ۳۸۴) نیز اعلاء السنن میں ابوداوٴد اور ترمذی کی ایک روایت سے اس پر ا ستدلال کیا گیا چنانچہ اعلاء السنن میں ہے: عن رفاعة بن رافع أن رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم علّم رجلاً الصلاة فقال: إن کان معک قرآنا فاقرأ وإلا فاحمد اللہ وکبّرہ وہللہ ثم ارکع۔ رواہ ابوداوٴد والترمذي، وقال حدیث حسن․ فنقول: لوکانت القرأة منہ مباحة في الصلاة غیر مفسدة لہا کما زعمہ بعضہم لکان ذلک واجبًا علی العاجز عن الحفظ لکونہ قادرًا علی القرأة من وجہ (اعلاء السنن: ۵/۵۹)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/15741


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (11 points)
জাযাকাল্লাহ শায়খ সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলার জন্য। আমি দেখেছি যে ইমাম যখন বিতরের নামাজে দুই রাকাত এর পড় সালাম ফিরাই, তখন কিছু লোক সালাম ফিরাই ইমামের সাথে, তারপর ইমামের সাথে তৃতীয় রাকাত পরে, এই রাকাত শেষে  যখন ইমাম সালাম ফিরাই, তারা সালাম ফিরাই না, তারা সাথে সাথে উঠে দাড়াই আর নিজে নিজে অতিরিক্ত এক রাকাত পড়ে দুই রাকাত শেষ করে। এভাবে তারা দুই দুই চার রাকাত করে পড়ে ফেলে তারাবীর নামাজ( কিন্তু ইমাম বিতরের নিয়্যত করেছে),, পরে আলাদা করে তারা যার যার মত একাকি বিতর পড়ে নেয়,,আমরা হানাফি রা এইভাবে নামাজ পড়তে পারবো? তারা বলে ইমামের সাথে পুরাসময় নামাজ পড়লে সারারাত নামাজের সওয়াব পাওয়া যায় বলে হাদিস এ উল্লেখ আছে। ( উল্লেখ্য যে বিতরের সময় তৃতীয় রাকাতে  ইমাম রুকুর পড়ে সোজা হয়ে দাড়িয়ে হাত তুলে লম্বা দোআ পড়ে, তারপর সিজাদায় যায়)
by (590,550 points)
তাদের এই ব্যখ্যা গ্রহণযোগ্য না। বরং সেটাই যা আমরা উল্লেখ করেছি। জাযাকুমুল্লাহ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...