জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ফেসবুক সহ যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের বিধানঃ-
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠]
وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١]
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}
يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}
وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ
অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরোক্ত আয়াত সমূহে পরিস্কার ভাষায় মেয়েদের অন্যের সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে, অপ্রয়োজনে কথা বলতে, আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। যা পরিস্কার ভাষায় জানাচ্ছে যে, প্রয়োজন ছাড়া মেয়েদের সাথে কথা বলা জায়েজ নয়।
দ্বীনী বা বৈধ কোন জরুরী বিষয় থাকলে পর্দার আড়ালে থেকে কম কথায় শেষ করে নিবে। অযথা কথা বলা হারাম।
★সুতরাং নারী পুরুষ যেই ফেসবুক চালাবে,সে বিপরীত লিঙ্গের কাউকে ফ্রেন্ড বানাবেনা।
বিপরীত লিঙ্গের কাহারো সাথে চ্যাটিং করবেনা।
সোশ্যাল মিডিয়া একমাত্র দ্বীনি প্রয়োজন এবং খবর প্রদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। টাইমপাস বা উপভোগ বা ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার পূর্বে হারাম ও নাজায়েয জিনিষ থেকে বাঁচার উপায়গুলো জানতে হবে। এটা ওয়াজিব পর্যায়ের বিধান। সুতরাং কেউ যদি নাজায়েয ও হারাম থেকে বাঁচার উপায়গুলো জানতে না পারে ,তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার জায়েয হবে না।হারাম থেকে বাঁচার উপায়গুলো না জেনে কেউ হঠাৎ যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে যুক্ত হয়, এবং হারামে লিপ্ত হয়, তাহলে এই হারামের গোনাহ তার অবশ্যই হবে।
আরো জানুনঃ-
সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন গোনাহের অসংখ্য রাস্তা খোলা রয়েছে, তেমনি নেকী অর্জনের মাধ্যম হিসেবে তা ব্যবহার করার সুযোগও আছে। তবে কেউ যদি ফেসবুকের মাধ্যমে গোনাহের মধ্যে নিপতিত হয় তাহলে তার জন্য ফেসবুক ব্যবহার করা জায়েয নেই।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এই অধিকার তাদের আছে।
তবে পুরুষদের সাথে চ্যাটিং, তাদের পোস্টে কমেন্ট ইত্যাদি করার দরুন যেহেতু ফিতনার দিকে যায়,তাই এসব করা যাবেনা।
(০২)
এটা নারী পুরুষ সকলের জন্যই ফিতনার কারন।
এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুলো ব্যবহারের বিধান উপরে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।
(০৩)
স্বামীর নিষেধাজ্ঞা থাকলে গুনাহ হবে।
স্বামীর নিষেধাজ্ঞা না থাকলে এতে গুনাহের কাজ করলে গুনাহ হবে।
অন্যথায় গুনাহ হবেনা।