জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
واحل لكما ما وراء ذلكم ان تبتغوا باموالكم محصنين غير مسافحين فما استمتعتم به منهن فاتوهن اجورهن فريضة ولا جناح عليكم فيما تراضيتم به من بعد الفريضة ان الله كان عليما حكيما
উল্লিখিত নারীরা ছাড়া অন্যদেরকে তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে, যে স্বীয় সম্পদ দ্বারা প্রয়াসী হবে তাদের সাথে বিবাহবন্ধনে, ব্যভিচারে নয়। অতএব তাদের নিকট থেকে তোমরা যে আনন্দ উপভোগ করেছ (সে কারণে) তাদের ধার্যকৃত মোহর তাদেরকে প্রদান করবে। আর মোহর নির্ধারিত থাকার পরও কোনো বিষয়ে পরস্পর সম্মত হলে তাতে তোমাদের কোনো অপরাধ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
(সূরা নিসা : ২৪)
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ-
وفی الھندیۃ (302/1):
الباب السابع فی المھر: المھر انما یصح بکل ماھو مال متقوم۔
যেই জিনিসের মুল্য নির্ধারন করা যায়,সেটাই মোহর হতে পারে।
,
যেই বস্তুর দাম ধরা যায়,যার মূল্য নির্ধারন করা যায়, যেটা সম্পদ হিসেবে ধরা হয়,সেটাই মোহর হতে পারে।
আরো জানুনঃ-
الفتاوى الهندية (1/ 303):
"و لو تزوج امرأة على طلاق امرأة له أخرى أو على دم عمد له عليها أو على أن يحج بها؛ كان لها مهر مثلها."
সারমর্মঃ-
যদি কেহ কোনো মহিলাকে অন্য স্ত্রীকে তালাক দেয়ার শর্তে বিবাহ করে,অথবা তাকে নিয়ে হজ্ব করাবে,তাহলে এক্ষেত্রে তার জন্য মোহরে মিছিল আবশ্যক হবে।
البحر الرائق (3/ 168):
"وأشار المصنف إلى أنه لو تزوجها على أن يحج بها وجب مهر المثل لكن فرق في الخانية بين أن يتزوجها على أن يحج بها وبين أن يتزوجها على حجة فأوجب في الأول مهر المثل وفي الثاني قيمة حجة وسط."
সারমর্মঃ-
যদি কেহ কোনো মহিলাকে এই শর্তে বিবাহ করে যে তাকে নিয়ে হজ্ব করাবে,তাহলে এক্ষেত্রে তার জন্য মোহরে মিছিল আবশ্যক হবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
বিবাহের সময় মোহরানা হিসেবে যাউজের (স্বামীর) উপর নির্দিষ্ট পরিমান অর্থের পরিবর্তে হজ্ব করানো ধার্য করা যাবেনা।
যদি কেহ এমনটি করে,সেক্ষেত্রে মোহরে মিছিল আবশ্যক হবে।
হজ্ব করানো আবশ্যক হবেনা।