কুফফার রাষ্ট্রে লেখাপড়ার জন্য যেতে হলে অবশ্যই দুটো প্রধান শর্ত মেনে চলতে হবে।
প্রথম শর্ত: বসবাসকারীকে স্বীয় দ্বীনের ব্যাপারে আশঙ্কামুক্ত হতে হবে। অর্থাৎ তার এমন ‘ইলম, ঈমান ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে, যা তাকে দ্বীনের ওপর অটল থাকার মতো এবং বক্রতা ও বিপথগামিতা থেকে বেঁচে থাকার মতো আত্মবিশ্বাসের জোগান দেয়। আর কাফিরদের প্রতি তার অন্তরে শত্রুতা ও বিদ্বেষ থাকতে হবে। অনুরূপভাবে কাফিরদের সাথে মিত্রতা ও তাদের প্রতি ভালোবাসা থেকে তাকে দূরে থাকতে হবে। কেননা তাদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করা এবং তাদেরকে ভালোবাসা ঈমানের পরিপন্থি।
সমস্ত প্রকার অন্যায় অশ্লীল কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।
,
মহান আল্লাহ বলেছেন,
لَا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَوْ كَانُوا آبَاءَهُمْ أَوْ أَبْنَاءَهُمْ أَوْ إِخْوَانَهُمْ أَوْ عَشِيرَتَهُمْ
“তুমি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী এমন কোনো জাতিকে পাবে না, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল বিরোধীদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে; যদিও তারা তাদের পিতা, অথবা পুত্র, অথবা ভাই, কিংবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়।” [সূরাহ মুজাদালাহ: ২২]
দ্বিতীয় শর্ত: নিজের দ্বীনকে প্রকাশ করার মতো সক্ষমতা থাকতে হবে। অর্থাৎ, বসবাসকারী ব্যক্তি কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ইসলামের নিদর্শনাবলি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবেন। নামাজ, জুমু‘আহ ও জামা‘আত—যদি তার সাথে জামা‘আতে নামাজ ও জুমু‘আহ প্রতিষ্ঠা করার মতো কেউ থেকে থাকেন—প্রতিষ্ঠা করতে বাধাগ্রস্ত হবেন না। অনুরূপভাবে জাকাত, রোজা, হজ ও অন্যান্য শার‘ঈ নিদর্শন প্রতিষ্ঠা করতে বাধাগ্রস্ত হবেন না। যদি এসব কাজ করার সক্ষমতা না থাকে, তাহলে তখন হিজরত ওয়াজিব হয়ে যাওয়ার কারণে সেখানে বসবাস করা জায়েজ হবে না।
বিস্তারিত জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
মেয়েদের বিদেশে পড়াশুনা করার জন্য যাওয়া বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষ বৈধ।
ক, উপরে উল্লেখিত শর্তাবলী পূর্ণ ভাবে মেনে চলতে হবে।
খ, মাহরাম পুরুষ এর সাথে যেতে হবে।
গ, সেখানকার এলাকা,রাস্তা সম্পূর্ণ নিরাপদ হতে হবে।
ঘ, পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে চলতে হবে।
ঙ, সহ শিক্ষা হলে সহ শিক্ষা মূলক প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করার শর্তাবলী পাওয়া যেতে হবে।
চ, ফিতনার কোনো আশংকা থাকা যাবেনা।
ছ, গুনাহে জড়িয়ে পড়ার আশংকা থাকা যাবেনা।
★উপরোক্ত শর্তাবলী পুরোপুরি ভাবে মানতে পারলে আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় সেখানে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন।