আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
ক্যাম্পাসে পূজা হবে, মাহফিল হবে না।
সংখ্যালঘুদের কথা চিন্তা করে খাবারের দোকান খোলা থাকবে কিন্তু সাহরিতে গরুর মাংস থাকবে না।

এদিকে খোলামেলা পোশাক পরে আসতে পারলেও পর্দা করে আসা যাবে না।
সারাবছর অমুক তমুক দিবসের ছুটি দেয়া গেলেও রোজার মাসে ক্লাস বন্ধ রাখা যাবে না।

ক্যাম্পাসে সবার সামনে প্রেম করলেও বিয়ে করে ফেললে ক্লাসে জানানো যাবে না।
ধর্ম প্রচার করা সাংবিধানিক অধিকার হলেও ক্যাম্পাসে দাওয়াতি কাজ করা যাবে না।

সালাতের সময় ক্লাস, পরীক্ষা নেয়া হলেও আপত্তি করা যাবে না।
কনসার্ট হারাম হলেও মুসলমান ঘরের সন্তান কনসার্টের জন্য টাকা দিতে হবে।

ফ্রিমিক্সিং থেকে বেঁচে থাকতে চাইলেও গ্রুপ করে ছেলেমেয়েকে একত্রে রাখা হবে।
শিক্ষককে বাবার মতো বলে মেয়েদের পার্সোনাল স্পেসে জায়গা করে দেয়া আবশ্যক করা হবে।

দাড়ি রাখলে আলাদা করে মার্কিং করে রাখা হবে।
পাঞ্জাবি-টুপি পরে ক্লাসে গেলে এটা মাদ্রাসা নাকি ভার্সিটি সেই পার্থক্য মনে করানো হবে।

গরুর গোস্ত হিন্দুদের জন্য হারাম। তারা এটা খাবে না, এ পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু মুসলমানরাও খেতে পারবে না কেন? একই ডাইনিং বিভিন্ন আইটেম থাকলে সমস্যা কোথায়? এসব কিছু বাদ দিলাম, সেহরিতে মুসলমানরা গরু খাবে, সেটাও আন্দোলন করে আদায় করতে হবে?

 ৯০% মুসলমানের দেশে হিন্দুকে একটা হারাম থেকে দূরে রাখতে এতো সাবধানতা, যেখানে কেউ তাকে গরু খেতে বাধ্য করছে না! বিপরীতে মুসলমানের সন্তানকে নিম্নলিখিত নানাবিধ হারামে লিপ্ত হবার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে!
১। মুসলমানের সন্তানের জন্য নাচ গান হারাম, তবু তাকে বাধ্যতামূলকভাবে শিল্প সংস্কৃতি সাবজেক্ট পড়ানোর নামে নাচের মুদ্রা এবং গানের গ্রামার শেখানো হচ্ছে।

২। অবাধ মেলামেশা এবং নন মাহরামের স্পর্শ হারাম, তবু তাকে শেখানো হচ্ছে বন্ধুর হাত ধরে ঘুরাঘুরি নিরাপদ স্পর্শ।

৩। শরিফ থেকে শরিফা হওয়া হারাম, তবু তাকে কৌশলে এই বিষ গেলানো হচ্ছে।

৪। একজন মুসলমানের সন্তানের জন্য পর্দা করা ফরজ। অথচ, এটা নিয়ে আমাদের সন্তানদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। বিপরীতে, হিন্দু হবার কারনে এর দশভাগের একভাগ হেনস্তার শিকার কোন বোন হলে, মিডিয়া ও সুশীল সমাজ পাগল হয়ে যেত।

৫। হারাম কাজে টাকা খরচ করা হারাম, অথচ কুয়েটে দেখলাম কনসার্টের জন্য মুসলমান ছাত্রদের কাছ থেকেও বাধ্যতামূলক টাকা আদায় করা হচ্ছে।

এছাড়াও ক্যাম্পাসে পূজা-অর্চনাসহ হিন্দুদের প্রোগ্রামের অনুমতি পাওয়া যত সহজ, মুসলমান ছাত্রদের কোন ধর্মীয় প্রোগ্রামের অনুমতি পাওয়া ততটাই কঠিন।

প্রশ্ন ১) উপরোক্ত বিষয়গুলো সামনে রেখে বর্তমানে সো কল্ড উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কতোটুকু?

২) মুসলমানদের দেশে মুসলমানের ই ধর্মীয় কাজে বাধা নিষেধ দেওয়া হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে আমাদের করণীয় কি?

৩) মুসলমানদের উপর জোর করে বিধর্মীদের আগ্রাসন চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে এইসব রুখতে মুসলিমদের দায়িত্ব কর্তব্য কি?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "

 তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....

মুহতারাম/মুহতারামাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।

উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।

তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
 ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)

সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দিক, আমীন।

প্রত্যেকটা বিষয়ের সাথে নিম্নের হাদীসকে লক্ষ্য রাখবেন।
হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ 
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...