আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
আস্সালামুআলাইকুম হুজুর দয়াকরে আমাকে পরামর্শ সাহায্য করুন আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি হুজুর !

হুজুর আমি অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং এক্টিভ একটা মেয়ে ছিলাম ,,২/৩ মাস ধরে আমার পড়াশুনাতে কাজে কোনো আগ্রহী হচ্ছেনা আমি একটুও পড়তে পারছিনা,আমি মেয়ে ঘরে বসে অফিসের কাজ গুলোও করিনা,,আমার এভাবে কাজ না করে জবটাও হারাবার পর্যায়ে চলে গিয়েছে আর সব সময় ঘুম ধরে ,,,নামাজের সময় ও হামি আসে,,পড়তে বসলে কাজে বসলে জোর করে ৩০ মিনিট লেগে থাকলেও বাকি সময় আর পারিনা ,,এতদিন ধরে আমি আমার কাজের পড়াশুনার কোনো উন্নতি করতে পারছিনা হুজুর!

আল্লাহ মাফ করুক পূর্বে আমার একটি হারাম সম্পর্ক ছিল,,,ছেলেটি অত্যন্ত নোংরা,বখাটে,,আমি এতদিন খারাপ কোনো স্বপ্ন দেখেনি,,তবে আমার হায়েজ শুরু হবার পর থেকে যেহেতু সূরাগুলো পরে ঘুমানোর সুযোগ নেই তাই প্রতিদিন একটানা একইরকম স্বপ্ন দেখেছি,,,আজ নিয়ে ৩ দিন হলো,,প্রথম দিন দেখেছি ছেলেটিকে কেও চাপাতি দিয়ে মেরে ফেললো,,,তার পরেরদিন ও দেখি সে আত্মহত্যা করতে গিয়েছে ,,এবং আজকেও দেখলাম ছেলেটি ফাঁসির দড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আমাকে কল দিয়ে কান্নাকাটি করছে,,দ্বীনের জন্য আমি তাকে ছেড়েছি বলে সে বলছে তুই আমার জীবনটা ধ্বংস করে দিলি আমি আর বাঁচবোনা ,আমার মৃত্যুর কারণ তুই !!

হুজুর আমি ছেলেটিকে নিয়ে ভাবিনি যে স্বপ্ন দেখবো ,,আর স্বপ্নগুলো সকালে দেখি প্রতিদিনেই তা মনে নেই তবে আজকের স্বপ্নটা ঘুম ভাঙ্গে ৯ টায়,,হুজুর আমি কেন নিজের স্বাভাবিক কাজ গুলো করতে পারছিনা ,,আগের তুলনায় ১০০ গুনের ১ গুণ ও পড়তে পারছিনা,,

১)হুজুর ,,এগুলো কি জীন জাদুর কোনো আসর !?
দয়াকরে কি করলে আমি আবার আগের মতো অক্লান্ত পরিশ্রমী হতে পারবো সেই উপায়,,এবং এইসব আজেবাজে স্বপ্ন না দেখার উপায় বলেদিন হুজুর,,,

২)আর হায়েজের সময় কোনো সূরা পড়ার সুযোগ নেই শুধুমাত্র ঘুমের দুআ বলে ঘুমিয়ে যেতে হচ্ছে ,,এর ফলে শয়তান আরো বেশি সুযোগ পাচ্ছে,,তাছাড়া আমল গুলোর ফজিলত থেকেও বঞ্চিত হচ্ছি!! তবেকি হায়েজ হলে একটা মেয়ে আল্লাহর রহমত থেকেও বঞ্চিত হবে ?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান হলো মহিলাদের হায়েজ অবস্থায় কুরআন শরিফ স্পর্শ করা, তেলাওয়াত করা জায়েজ নেই। 
,
হায়েজ,নেফাস,গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় কুরআনে কারীম পড়া হারাম। 
তবে যিকির,দোয়া সম্বলিত আয়াত,দ্বীনি কিতাব সমুহ পড়তে কোনো সমস্যা নেই।   
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১১০) 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131

অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না।
(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১,
মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১,
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০,
মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)

ولا بأس لحائض وجنب بقراء ۃ أدعیۃ ومسہا وحملہا وذکر اللّٰہ عز وجل وتسبیح۔ (درمختار ۱؍۲۹۳ کراچی، ۱؍۴۸۸ زکریا، الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۱؍۴۸۱ زکریا) 
হায়েজাহ মহিলার জন্য কুরআনের দোয়ার আয়াত তেলাওয়াত করা,সেটা স্পর্শ করা,উঠানো,আল্লাহর যিকির তাসবিহ জপা জায়েজ।
,
এতে কোনো সমস্যা নেই। 
,
হায়েজ অবস্থায় মুনাজাত মূলক আয়াত, দোয়া মূলক আয়াত পড়া যাবে।
.
আয়াতুল কুরসি দোয়া মূলক, তিন কুল দোয়া মূলক ,আমানার রসুল দোয়া মূলক, মঞ্জিল এর ৩৩ আয়াত দোয়া, মোনাজাত মূলক আয়াতসমূহ -এসবও পড়া যাবে।
এগুলোও দোয়া মূলক আয়াত।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
অলসতা কাটিয়ে আগের মতো অক্লান্ত পরিশ্রমী হওয়ার জন্য নিম্নোক্ত লিংকে দেয়া আমল গুলি করতে পারেনঃ-

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
হায়েজ অবস্থাতেও আপনি ঘুমানোর আগে তিন কুল তিনবার করে পড়ে পুরো শরীরে ফুক দিবেন। আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমাবেন।
ঐ ছেলেকে নিয়ে কোনোভাবেই কিছু ভাববেননা।
তাহলে আশা করি এধরণের মন্দ স্বপ্ন আর দেখবেননা।

(০২)
হায়েজ হলে একটা মেয়ে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হবেনা।
সে যিকির আযকার তাসবিহ তাহলিল আদায় করতে পারবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...