বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নং ফাতাওয়ায় ফরসেজের যে ব্যখ্যা আমরা জেনেছিলাম,সে ব্যখ্যা অনুযায়ী আমরা বলেছিলাম,
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী ফরসেজ বিজনেস কখনো জায়েয হবে না।কেননা ফরসেজ হল,এম এল এম ব্যবসা।আর এম এল এম ব্যবসা নাজায়েয।
এম. এল. এম কম্পানি সমূহে শরীয়তের বেশ কিছু নিষিদ্ধ বিষয়াবলী পাওয়া যাওয়ার ধরুন উলামায়ে কেরামগণ উক্ত ব্যবসা কে নাজায়েয বলে থাকেন।
নিষিদ্ধ বিষয় সমূহ যেমনঃ -
(১)এক চুক্তির মধ্যে অন্য চুক্তির শর্ত করা।
(صفقتان في صفقة)
(২)চুক্তিকে শর্তের সাথে ঝুলন্ত রাখা।
(التعليق بالشرط)
(৩)ধোঁকা ও অনিশ্চয়তা
(غرر)
(৪)বিনিময়হীন শ্রম
(العمل بلا أجرة)
(৫) শ্রমহীন বিনিময়
الأجرة بلا عمل
(৬)সুদ ( الربا)
এসবই শরীয়তে নিষিদ্ধ। এম.এল এম এর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ,তাদের নিয়ম-পদ্ধতির বিশ্লেষণ ও এ সকল প্রতিষ্টানের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের অভিমতের আলোকে জানা যায় যে,এ ব্যবসা পদ্ধতিতে উল্লিখিত নিষিদ্ধ বিষয়গুলো ছাড়া আরোও কিছু শরীয়াত নিষিদ্ধ বিষয় রয়েছে।সুতরাং কোনো মুসলমানের জন্য এ সকল কম্পানির সাথে কোনোভাবে সম্পৃক্ত হওয়া জায়েয ও বৈধ হবে না।তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিৎ ঈমানী দাবীতে এম.এল.এম বর্জন করা। আল্লাহ তা'আলা সকল মুসলমানকে এম.এল.এম সহ সকল প্রকার নাজায়েয লেনদেন থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুক।আমীন।(দরসুল ফিকহ-হাটহাজারী-১/৩০৫)
তবে উল্লিখিত নিষিদ্ধ বিষয়াবলী না থাকলে, কমিশন ভিত্তিতে কোনো কম্পানির শুধুমাত্র এজেন্ট হয়ে মার্কেটিং করা জায়েয আছে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমি উক্ত লিংকের ভিডিও দেখেছি,
সেখানের আলোচনা শুনেছি।৫১৯০ নং প্রশ্নে যেভাবে ফরসেজকে তুলে ধরা হয়েছিলো,তিনি কিন্তু সেভাবে ফেসেজের ব্যখ্যা করেন নি।তিনি ব্যবসা, মুদারাবাহ ব্যবসার ইত্যাদির মত ফরসেজকে তুলে ধরেছেন।
আমরা কিন্তু প্রশ্নকারীর বিবরণ অনুযায়ীই মাস'আলা লিখে থাকি।বাস্তবতা কি সেটা খুজে বের করা প্রশ্নকারীর দায়িত্ব।
উক্ত লিংকের অালোচক মুফতি সাহেব যেভাবে ফরসেজের কর্মপদ্ধতি তুলে ধরেছেন,সে হিসেবে আমরা বলবো,উনার বৈধতার ফাতাওয়া সঠিক-ই।আর যদি ৫১৯০ নং প্রশ্নের মত ফরসেজের কর্মপদ্ধতি বর্ণনা করা হয়,তাহলে ফরসেজ সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য সেটাই যা আমরা ইতিপূর্বে বলেছি।
ফরসেজের আসল কর্ম পদ্ধতি কি?
সেটা আপনারা খুজে বের করবেন।জাযাকুমুল্লাহ।