বিসমিল্লাহির রাহহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিবাহিত মহিলার অর্থ যদি হয়,ঐ মহিলা কোনো এক পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ অাছে,তাহলে এমন মহিলাকে বিয়ে করা যায় না।কখনো বিয়ে করা যাবে না।
তবে যদি তালাকপ্রাপ্ত হয়,তাহলে বিয়ে করা যাবে।
চ্যাটে বিয়ে করা যাবে কি না?
এমন প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে,
চ্যাটে বিয়ে করা যায় না।কেননা পাত্র পাত্রী উভয়ের মজলিস ভিন্ন থাকায়,বিবাহ হবে না।তাছাড়া সাক্ষীদ্বয় ও এখানে অনুপস্থিত।সাক্ষী ব্যতীত বিয়ে হয় না।
নারী পুরুষের এভাবে কথা বলা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।এর জন্য আপনাকে খালিছ নিয়তে তাওবাহ করতে হবে।
তবে বিবাহ বহির্ভূত হারাম সম্পর্কে ইসলাম কখনো সমর্থন দেয় ন্।
বেগানা নারী-পুরুষ খালওয়াত তথা নির্জনে একাকী অবস্থান করতে পারবে না। হাদীসে একে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে.......
ﻻَ ﻳَﺨْﻠﻮﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺎﻣْﺮَﺃﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬﺎ ﺫُﻭ ﻣَﺤْﺮَﻡ )
কোনো পুরুষ কোনো মহিলার সাথে মহিলার মাহরাম না থাকা অবস্থায় নির্জনে একাকী বসবাস করতে পারবে না।(সহীহ বুখারী-৫২৩৩;সহীহ মুসলিম-১৩৪১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত কোনো পুরুষ মহিলার সাথে ইনবক্সে কথা বলতে পারবে না।
বেগানা গায়রে মাহরাম মহিলার হাতকে স্পর্শ না করতে কটুর হুশিয়ারী হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে .....
ﻋﻦ ﻣَﻌْﻘِﻞَ ﺑْﻦَ ﻳَﺴَﺎﺭٍ
، ﻗﺎﻝ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ :
" ﻷَﻥْ ﻳُﻄْﻌَﻦَ ﻓِﻲ ﺭَﺃْﺱِ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﺑِﻤِﺨْﻴَﻂٍ ﻣِﻦْ
ﺣَﺪِﻳﺪٍ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻪُ ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﻳَﻤَﺲَّ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓً ﻻ ﺗَﺤِﻞُّ ﻟَﻪُ " .
তরজমাঃ- তোমাদের মাথায় লোহার সুই দ্বারা যখম করাই উত্তম হবে কোনো গায়রে মাহরাম মহিলার হাতকে স্পর্শ করা থেকে।
অন্যত্র বর্ণিত আছে....................
ﻋﺎﺋﺸﺔ ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ) : ﻻ - ﻭﺍﻟﻠﻪ - ﻣﺎ ﻣﺴﺖ ﻳﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) ﻳﺪ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻗﻂ ﺇﻻ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻳﻤﻠﻜﻬﺎ . ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ( 6674 ) ، ﻭﻣﺴﻠﻢ ( 3470 ) ، ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 3228 ) ، ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﺔ ( 2866 ) ، ﻭﺃﺣﻤﺪ ( 23685 )
তরজমাঃ- আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:আল্লাহর ক্বসম!
নবীজী সা:এর হাত কখনো কোনো বেগানা মহিলার হাতকে স্পর্শ করেনি।
আরও অনেক সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আছে যে,গায়রে মাহরাম পুরুষ-মহিলার দেখা-সাক্ষ্যাৎ সম্পূর্ণ হারাম।
ﻣﺎ ﺧﻼ ﺭﺟﻞ ﺑﺎﻣﺮﺃﺓ ﺇﻻ ﻛﺎﻥ
ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺛﺎﻟﺜﻬﻤﺎ " – ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 2165 ) ﻭﺻﺤﺤﻪ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ( 1758
তরজমাঃ-কোনো পুরুষ যদি কোনো মহিলার সাথে নির্জনে একাকী বসবাস করে,তাহলে তাদের সাথে তৃতীয়জন আরেকজন হল শয়তান।
অর্থাৎ শয়তান সর্বদাই তাদেরকে খারাপ কাজের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে।
প্রোফাইল পিকচারে প্রাণীর ছবি দেওয়া,পুরুষের হোক বা মহিলার হোক সর্বাবস্থায় হারাম।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনাদের বিয়ে হয়নি।তবে এ হারাম সম্পর্কের কারণে তাওবাহ করতে হবে।