আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
646 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম,

আমরা অনেকেই বন্ধুদের কুত্তা, গাধা ইত্যাদি মজা করে বলে থাকি এবং এ বিষয়ক দুটি দলিল পাই যা নিম্নরুপঃ

১) কোন মানুষকে গাধা, গরু, ভেড়া, ছাগল, কুকুর, শুয়োর, পাঁঠা ইত্যাদি বলে ডাকা মারাত্মক অপরাধ। প্রথমতঃ এটি মিথ্যা কারণ সে তো মানুষই। দ্বিতীয়তঃ এতে অপরের কাছে ক্লেশ পৌঁছে থাকে।

(আযকার নববীঃ ৩১৯ পৃষ্ঠা)।

২) সাঈদ ইবনুল মুসায়্যেব রহঃ এবং ইবরাহী আন নাখয়ী রহঃ বলেনঃ
তুমি তোমার বন্ধুকে ‘এই গাধা!’, ’এই কুকুর!’ কিংবা ’এই শুয়োর!’ বলো না;
তাহলে সে কিয়ামতের দিন তোমাকে বলবে, ”আমাকে কি কুকুর, গাধা কিংবা শুকর হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছিল?
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ-২৮২/২৮৩/৫)

এখানে লক্ষনীয় যে দলিল দুটিতে বলা হয় নাই যে কি উদ্দেশ্যে সম্বোধন করলে হারাম হবে।

আমার প্রশ্ন হচ্ছেঃ
উপরোক্ত দলিল দুটি কি শুধুই যখন কেউ কাউকে হেয় করার উদ্দেশ্যে এভাবে ডাকবে তখন প্রযোজ্য নাকি সর্বাবস্থায় প্রযোজ্য অর্থাৎ কোন মানুষকেই এভাব সম্বোধন করা উচিত নয় কখনই, কোন অবস্থায়ই?

1 Answer

+1 vote
by (682,440 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো  কোন মুসলমানকে গালি দেওয়া জায়েজ নয়। এটি ফাসেকী।

সুতরাং  কাউকে নিচু বা লাঞ্চিত করা,কষ্ট দেওয়ার লক্ষ্যে কুকুর, বিড়াল ইত্যাদি বলে সম্বোধন করা,গালি দেওয়া কোনোভাবেই জায়েয হবেনা।

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে সতর্ক করেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا یَسْخَرْ قَوْمٌ مِّنْ قَوْمٍ عَسٰۤی اَنْ یَّكُوْنُوْا خَیْرًا مِّنْهُمْ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنْ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنْ یَّكُنَّ خَیْرًا مِّنْهُنَّ وَ لَا تَلْمِزُوْا اَنْفُسَكُمْ وَ لَا تَنَابَزُوْا بِالْاَلْقَابِ بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوْقُ بَعْدَ الْاِیْمَانِ وَ مَنْ لَّمْ یَتُبْ فَاُولٰٓىِٕكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ.

হে মুমিনগণ! কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমানের পর মন্দ নাম অতি মন্দ। যারা এসব থেকে বিরত না হবে তারাই যালেম। -সূরা হুজুরাত (৪৯) : ১১

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سِبَابُ المُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকী। আর তাকে হত্যা করা কুফরী। {বুখারী, হাদীস নং-৬০৪৪] 
,
আরো জানুনঃ 

দারুল উলুম দেওবন্দ এর 166612 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে কোনো মানুষকে কষ্ট পৌছানোর জন্য,বা তাকে নিচু করার জন্য শুকুর বা এহেন শব্দ বলে ডাকা হারাম এবং কবিরা গুনাহ। 
এরকম নিকৃষ্ট শব্দ অন্যকে বলা থেকে বেঁচে থাকা জরুরী। 
,
★সুতরাং এহেন বাক্য বলা থেকে সর্বাবস্থায় বিরত থাকা উচিত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...