আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম হজুর,,
১) আমার বয়স ২১ বছর আমি জীবনে কারো কাছে টাকা পয়সার দিক দিয়ে ঋণী আছি কি না তা জানিনা,,না জেনেই কারো হক নষ্ট করেছি কি না তাও জানিনা,,মৃত্যুর পরে আমাকে যেনো অজানা কোনো ঋনের কারনে আল্লাহর কাছে শাস্তি পেতে না হয়,,এর জন্য কি শুধু আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেই যথেষ্ট হবে!?

২)হুজুর হায়েজের সময় আমার খুব পেট ব্যথা হয়,,আমি সারাদিন শুয়েই থাকি,,কিন্তু এসময় সালাত,দোয়া দুরুদ, কোরআন পড়তে না পাড়ায়,,আমার নিজেকে খুব পাপী মনেহয় আর অনেক কান্নাপায়,,মনেহয় আল্লাহর কাছ থেকে দূরে সরে রয়েছী এই সময়ে,, হুজুর হাফেজের দিনগুলোতে কিভাবে কি ইবাদত করতে পরি,,দয়াকরে আমাকে একটা রুটিন বলে দিন।

৩)হুজুর আমি মেয়ে,, আমাকে বাবা মা পড়াশোনা করিয়েছেন,,তারা চান আমি জব করি,,আমি চাই যা আমার আখিরাতের জন্য উত্তম আমি শুধু সেটাই করবো,,আমি একটি সফটওয়্যার কম্পানিতে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করি,,ঘরে বসেই,,কিন্তু দুবেলা ৭ জন বসের সাথে অডিওতে নিজের সারাদিনের কাজের আপডেট টা বলতে হয়,,এতে আমার কন্ঠের পর্দার খেলাফ হচ্ছে,,(এই জবটা করা কি জায়েজ হবে? বাধ্য হয়ে করতে হচ্ছে হুজুর)আর এখানে কাজ করতে হলে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন টেকনোলজি শিখতে হবে,,যদিও অর্থ বেশি,,কিন্তু এই কাজটি শুধুমাত্র আমার দুনিয়ার জন্যই ভালো হচ্ছে,, আমি এতো পরিশ্রম দিয়ে এই দুনিয়াবী শিক্ষা অর্জনের পিছনে দিতে চাইনা,,,আমি চাই হালাল ভাবে উপার্জন করতে,, এবং নিজের পরিবার ও অসহায়দের সাহায্য করতে,, আমাকে পরিবার থেকে দেরিতে বিয়ে দিবে,,কেনোনা আমার পরিবারের দ্বীনের বুঝ নেই,,,,হুজুর আমাকে এমন একটা উপার্জনেের পথ বলেদিন যেগুলো করলে আমি আখিরাতের জন্যেও সফল হতে পারবো,,অনেক সওয়াবও অর্জন করতে পারবো,,আবার হালাল অর্থও উপার্জন করে সচ্ছল হতে পারবো।

মেয়েদের হালালভাবে ক্যারিয়ার গড়া প্রসঙ্গে, যেই ক্যারিয়ারের মুল উদ্দেশ্য হবে আখিরাতের সাফল্য , এবং হালাল উপার্জনের মাধ্যমে পরিবার ও অভাবীদের পাশে দাড়ানো।

৪)IOM   এ  সাদাকাহে জারিয়াহ এর কোনো সুযোগ কি নেই!?

বিভিন্ন ইসলামিক এপ/ ওয়েবসাইটে দান করলে কি তা সাদাকাহে জারিয়াহ হিসেবে গন্য হবে!? আমি কি মৃত্যুর পরেও এরজন্য সওয়াব পাবো!?

৫) প্লে স্টোর থেকে ইসলামিক বইয়ের এপ ইনস্টল করে সেখানে যেই বইগুলো আছে,, এগুলো পড়া কি জায়েজ হবে!?
যেহেতু এপটি ইনস্টলেশনের জন্য এবং এডের জন্য  তিনি নির্দিষ্ট ডলার উপার্জন করতে পারবেন,,,কিন্তু লিখক নিজেই এপটির মালিক কি না তা জানা নেই!

  ৬) মাসিক চলাকালীনও আমার মনে সুরা মুলক তিলওয়াত এর অডিওটা বাজতেই থাকে,,সব সময় শুনে শুনে অভ্যাস,তাই,,যেহেতু মাসিকের সময় তিলাওয়াত শোনা বা বলা জায়েজ নেই,,কিন্তু আমার মনের মধ্যে যে অনবরত সুরা মুলক এর অডিও চলছে এতেকি গুনাহ হচ্ছে!?  আমি তো মুখে উচ্চারণ করছিনা,,তবুও কি গুনাহ হবে?
closed

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
আপনি প্রবল ধারণা অনুপাতে মনে করার চেষ্টা করবেন যে কেউ টাকা পায় কিনা?
সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসা করবেন,তারা যদি বলে যে তারা আপনার থেকে কোনো টাকা পায়না,সেক্ষেত্রে আপনি নিশ্চিত থাকবেন।
এবং এই বিষয়টি নিয়ে আর কোনো টেনশন করবেননা।

(০২)
https://ifatwa.info/16261/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হায়েজ কালীন সময়ে যে মহিলারা নামায আদায় করতে পারেনা, এটা হলো তাদের দ্বীনের স্বল্পতা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، هُرَيْمُ بْنُ مِسْعَرٍ الأَزْدِيُّ التِّرْمِذِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ النَّاسَ فَوَعَظَهُمْ ثُمَّ قَالَ " يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ تَصَدَّقْنَ فَإِنَّكُنَّ أَكْثَرُ أَهْلِ النَّارِ " . فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ وَلِمَ ذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " لِكَثْرَةِ لَعْنِكُنَّ " . يَعْنِي وَكُفْرَكُنَّ الْعَشِيرَ . قَالَ " وَمَا رَأَيْتُ مِنْ نَاقِصَاتِ عَقْلٍ وَدِينٍ أَغْلَبَ لِذَوِي الأَلْبَابِ وَذَوِي الرَّأْىِ مِنْكُنَّ " . قَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ وَمَا نُقْصَانُ دِينِهَا وَعَقْلِهَا قَالَ " شَهَادَةُ امْرَأَتَيْنِ مِنْكُنَّ بِشَهَادَةِ رَجُلٍ وَنُقْصَانُ دِينِكُنَّ الْحَيْضَةُ تَمْكُثُ إِحْدَاكُنَّ الثَّلاَثَ وَالأَرْبَعَ لاَ تُصَلِّي " .

আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, জনতার উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাসীহাতপূর্ণ খুতবাহ প্রদান করেন এবং বলেনঃ হে নারী সম্প্রদায়! তোমরা বেশি পরিমাণে দান-খয়রাত কর। কেননা, জাহান্নামে তোমাদের সংখ্যাই বেশি হবে। তাদের মধ্যকার এক মহিলা প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা কেন? তিনি বললেনঃ তোমাদের মাঝে অভিশাপ দানের প্রবণতার আধিক্যের কারণে, অর্থাৎ- তোমাদের স্বামীদের অনুগ্রহের প্রতি অকৃতজ্ঞ হবার কারণে।
তিনি আরো বলেনঃ আমি তোমাদের স্বল্পবুদ্ধি ও দ্বীনের ব্যাপারে সংকীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বুদ্ধিমান বিচক্ষণদের উপর বিজয়ী হতে পারঙ্গম আর কাউকে দেখিনি। জনৈকা মহিলা প্রশ্ন করলো, তার বুদ্ধি ও দ্বীনের ব্যাপারে কমতি হলো কি করে? তিনি বললেনঃ তোমাদের দুজন স্ত্রীলোকের সাক্ষ্য একজন পুরুষের সাক্ষ্যের সমান। এটা হলো বুদ্ধির স্বল্পতা। আর তোমাদের হায়িয (ঋতুস্রাব) হলে তিন-চার দিন তোমরা নামায আদায় কর না। এটা হলো দ্বীনের স্বল্পতা।
সহীহঃ তিরমিজি ২৬১৩ ইরওয়াহ (১/২০৫), আযযিলাল (৯৫৬), মুসলিম।

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْقَاسِمِ، قَالَ سَمِعْتُ الْقَاسِمَ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تَقُولُ خَرَجْنَا لاَ نَرَى إِلاَّ الْحَجَّ، فَلَمَّا كُنَّا بِسَرِفَ حِضْتُ، فَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي قَالَ " مَا لَكِ أَنُفِسْتِ ". قُلْتُ نَعَمْ. قَالَ " إِنَّ هَذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ، فَاقْضِي مَا يَقْضِي الْحَاجُّ، غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِي بِالْبَيْتِ ". قَالَتْ وَضَحَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ نِسَائِهِ بِالْبَقَرِ.

 ‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা হাজ্জের উদ্দেশেই (মদিনা হতে) বের হলাম। ‘সারিফ’ নামক স্থানে পৌঁছার পর আমার হায়য আসলো। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে আমাকে কাঁদতে দেখলেন এবং বললেনঃ কী হলো তোমার? তোমার হায়য এসেছে? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেনঃ এ তো আল্লাহ্ তা‘আলাই আদম-কন্যাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং তুমি বাইতুল্লাহর ত্বওয়াফ ছাড়া হাজ্জের বাকী সব কাজ করে যাও। ‘আয়িশাহ (রাযি.) বলেনঃ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের পক্ষ হতে গাভী কুরবানী করলেন। 
(বুখারী শরীফ। ৩০৫, ৩১৬, ৩১৭, ৩১৯, ৩২৮, ১৫১৬, ১৫১৮, ১৫৫৬, ১৫৬০, ১৫৬১, ১৫৬২, ১২৩৮, ১৬৫০, ১৭০৯, ১৭২০, ১৭৩৩, ১৭৫৭, ১৭৬২, ১৭৭১, ১৭৭২, ১৭৮৩, ১৭৮৬, ১৭৮৭, ১৭৮৮, ২৯৫২, ২৯৮৪, ৪৩৯৫, ৪৪০১, ৪৪০৮, ৫৩২৯, ৫৫৪৮, ৫৫৫৯, ৬১৫৭,৭২২৯; মুসলিম ১৫/১৭, হাঃ ১২১১) (আধুনিক প্রকাশনী- ২৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯০)

وَقَوْلُ النَّبِيِّ  صلى الله عليه وسلم  هَذَا شَيْءٌ كَتَبَهُ اللهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ وَقَالَ بَعْضُهُمْ كَانَ أَوَّلُ مَا أُرْسِلَ الْحَيْضُ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ وَحَدِيثُ النَّبِيِّ  صلى الله عليه وسلم  أَكْثَرُ.

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এটি এমন একটি বিষয় যা আল্লাহ্ তা‘আলা আদম-কন্যাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কারো কারো মতে সর্বপ্রথম হায়য শুরু হয় বনী ইসরাঈলী মহিলাদের। আবূ ‘আবদুল্লাহ বুখারী (রহ.) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীসই গ্রহণযোগ্য।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
হায়েজ,এটি অবশ্যই মহিলাদের দ্বীনের স্বল্পতা।
তবে কেহ যদি অন্য সময়ের নামাজ,তিলাওয়াত পূর্ণাঙ্গ ভাবে সময়মত আদায় করে,সেই সময়েও যিকির আযকারে লিপ্ত থাকে,এবং মহান আল্লাহর কাছে ছওয়াবের আশা রাখে, তাহলে  অবশ্যই মহান আল্লাহ তায়ালা সেই ছওয়াব, দ্বীনের স্বল্পতা পুষিয়ে দিবেন।
ইনশাআল্লাহ। 
,
সন্তান হওয়া,সন্তান পেটে রাখা,সন্তানকে লালন পালন,দুধ খাওয়ানো ইত্যাদি কাজগুলিকে মহান আল্লাহ তায়ালা ইবাদতে রুপান্তর করে অশেষ ছওয়াব দিবেন।
অনেক মর্যাদার অধিকারীনি বানাবেন। 
  
হায়েয অবস্থায় নামায রোযা ও কুরআন তেলাওয়াত হজ্ব,উমরা করা যাবে না।এছাড়া যাবতীয় ভালো ও উত্তম কাজ করা যাবে। কুরআন এর অডিও শোনা যাবে। হাদীস ও কুরআন এপ্স থেকে অর্থ পড়া যাবে।

হায়েজ কালীন ইবাদত সম্পর্কে  জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
হায়েজ অবস্থায় আপনি যিকির আযকার করতে পারেন। যাবতীয় ভালো ও উত্তম কাজ করতে পারেন। কমপক্ষে ১০০ বার ইস্তেগফার পাঠ করতে পারেন।

কুরআন এর অডিও শুনতে পারবেন। হাদীস ও কুরআন এপ্স থেকে অর্থ পড়তে পারবেন।

অনেকে ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময় অযু করে তাসবিহে ফাতেমি সহ আরো বিভিন্ন যিকির আযকার করে থাকেন।

(০৩)
যেহেতু এক্ষেত্রে কন্ঠের পর্দা নষ্ট হচ্ছে,সুতরাং উক্ত চাকুরী করা জায়েজ নেই।
ইনকাম হালাল হবেনা।

আপনি তাদেরকে বলবেন যে আমি মৌখিক কথা বলতে পারবোনা,লিখিত ভাবে আপডেট জানাবো।

এতে তারা রাজী হলে আপনি উক্ত জব করতে পারেন।
অন্যথ্যায় উক্ত জব করতে পারবেননা।

মহিলাদের চাকুরী সংক্রান্ত বিস্তারিত বিধান জানুনঃ 

(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أُرَاهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةِ أَشْيَاءَ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ " .

রাবী  ‘ইবন  সুলায়মান  মুআযযিন (রহঃ) ............. আবূ  হুরায়রা  (রাঃ)  থেকে বর্ণিত।  রাসূলূল্লাহ্  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেছেনঃ  যখন  মানুষ  মারা  যায়,  তখন  তার  সমস্ত  আমল  বন্ধ   হয়ে  যায়।  কিন্তু  তিনটি  আমলের  সাওয়াব  মৃত্যুর  পরেও  বন্ধ   হবে  না।  ১.  সাদকায়ে  জারিয়া,  ২.  ঐ  ‘ইলম,  যা  দিয়ে  উপকার  করা  যায় এবং  ৩.  ঐ  নেক সন্তান, যে  তার  পিতার জন্য দু‘আ  করে।
(আবু দাউদ ২৮৭০)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে 

নিশ্চয়ই মানুষ যখন মারা যায় তখন তার ‘আমালের সাওয়াব আর লেখা হয় না, কেননা সাওয়াব মূলত তার ‘আমালের বদলা আর তা ব্যক্তি মারা যাওয়ার সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যায়। তবে সর্বদাই কল্যাণকর ও উপকারী কাজের বদলা চলতে থাকে। 

যেমন- কোন কিছু ওয়াকফ করে যাওয়া,মসজিদ,মাদ্রাসা,হাসপাতাল,রাস্তা,ড্রেন,ব্রিজ ইত্যাদি নির্মান করা। অথবা শারী‘আতী বিদ্যা লিখে যাওয়া অথবা শিক্ষা দিয়ে যাওয়া বা ব্যবস্থা করে যাওয়া অথবা সৎ সন্তান রেখে যাওয়া। সৎ সন্তান মূলত ‘আমালেরই আওতাভুক্ত, কেননা পিতাই মূলত সন্তানের অস্তিত্বের কারণ ও তাকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিয়ে সৎ করে তোলার কারণ। 

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আলহামদুলিল্লাহ IOM এর জন্য এখন আর ডোনেশন প্রয়োজন হচ্ছে না। আমাদের প্রতি মাসে যে পরিমান ব্যায় হয়, তার অধিকাংশই স্টুডেন্টদের ভর্তি ও মাসিক বেতন হতে চলে আসে। অন্যদিকে আমাদের ইসলামী দাওয়াহ ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন দায়ীদের মাধ্যমে অনেকেই ইসলামের পথে ফিরে আসছেন। একজন মানুষ যখন ইসলাম গ্রহণ করে তখন সে চিরকালের জন্য জাহান্নাম হতে বেচে যায় কিন্তু দুনিয়াবী দিক থেকে তাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। অধিকাংশ সময়ই পরিবার থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরকম নওমুসলিম ভাইয়েরা অনেক সময়ই দাওয়াহ ইন্সটিটিউটে অবস্থান করেন, বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। এদের খরচের জন্য আমাদের বড় একটা এমাউন্টের টাকার প্রয়োজন হয়। এই টাকাগুলোর জন্য আপনারা ডোনেট করতে পারেন।

★নওমুসলিমদের পূনর্বাসন করার কাজে আপনি ডনেট করলে সদকায়ে জারিয়াহ  এর ছওয়াব পাবেন,ইনশাআল্লাহ। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৫)
হ্যাঁ সেই বই গুলি পড়া যাবে।
তবে সংরক্ষিত কোনো প্রকাশনার বই থাকলে লেখক/প্রকাশকের অনুমতি না নিয়ে থাকলে সেই বই পড়া যাবেনা।

(০৬)
না,গুনাহ হবেনা।
এতে কোনো সমস্যা নেই।

চাইলে ফোনে/কম্পিউটারে সুরা মুলক সহ অন্যান্য সুরার অডিও শুনতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (8 points)
আলহামদুলিল্লাহ! জাযাকাল্লাহু খাইরান শায়েখ!

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...