হায়েজ কালীন সময়ে যে মহিলারা নামায আদায় করতে পারেনা, এটা হলো তাদের দ্বীনের স্বল্পতা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، هُرَيْمُ بْنُ مِسْعَرٍ الأَزْدِيُّ التِّرْمِذِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ النَّاسَ فَوَعَظَهُمْ ثُمَّ قَالَ " يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ تَصَدَّقْنَ فَإِنَّكُنَّ أَكْثَرُ أَهْلِ النَّارِ " . فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ وَلِمَ ذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " لِكَثْرَةِ لَعْنِكُنَّ " . يَعْنِي وَكُفْرَكُنَّ الْعَشِيرَ . قَالَ " وَمَا رَأَيْتُ مِنْ نَاقِصَاتِ عَقْلٍ وَدِينٍ أَغْلَبَ لِذَوِي الأَلْبَابِ وَذَوِي الرَّأْىِ مِنْكُنَّ " . قَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ وَمَا نُقْصَانُ دِينِهَا وَعَقْلِهَا قَالَ " شَهَادَةُ امْرَأَتَيْنِ مِنْكُنَّ بِشَهَادَةِ رَجُلٍ وَنُقْصَانُ دِينِكُنَّ الْحَيْضَةُ تَمْكُثُ إِحْدَاكُنَّ الثَّلاَثَ وَالأَرْبَعَ لاَ تُصَلِّي " .
আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, জনতার উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাসীহাতপূর্ণ খুতবাহ প্রদান করেন এবং বলেনঃ হে নারী সম্প্রদায়! তোমরা বেশি পরিমাণে দান-খয়রাত কর। কেননা, জাহান্নামে তোমাদের সংখ্যাই বেশি হবে। তাদের মধ্যকার এক মহিলা প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা কেন? তিনি বললেনঃ তোমাদের মাঝে অভিশাপ দানের প্রবণতার আধিক্যের কারণে, অর্থাৎ- তোমাদের স্বামীদের অনুগ্রহের প্রতি অকৃতজ্ঞ হবার কারণে।
তিনি আরো বলেনঃ আমি তোমাদের স্বল্পবুদ্ধি ও দ্বীনের ব্যাপারে সংকীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বুদ্ধিমান বিচক্ষণদের উপর বিজয়ী হতে পারঙ্গম আর কাউকে দেখিনি। জনৈকা মহিলা প্রশ্ন করলো, তার বুদ্ধি ও দ্বীনের ব্যাপারে কমতি হলো কি করে? তিনি বললেনঃ তোমাদের দুজন স্ত্রীলোকের সাক্ষ্য একজন পুরুষের সাক্ষ্যের সমান। এটা হলো বুদ্ধির স্বল্পতা। আর তোমাদের হায়িয (ঋতুস্রাব) হলে তিন-চার দিন তোমরা নামায আদায় কর না। এটা হলো দ্বীনের স্বল্পতা।
সহীহঃ তিরমিজি ২৬১৩ ইরওয়াহ (১/২০৫), আযযিলাল (৯৫৬), মুসলিম।
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْقَاسِمِ، قَالَ سَمِعْتُ الْقَاسِمَ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تَقُولُ خَرَجْنَا لاَ نَرَى إِلاَّ الْحَجَّ، فَلَمَّا كُنَّا بِسَرِفَ حِضْتُ، فَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي قَالَ " مَا لَكِ أَنُفِسْتِ ". قُلْتُ نَعَمْ. قَالَ " إِنَّ هَذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ، فَاقْضِي مَا يَقْضِي الْحَاجُّ، غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِي بِالْبَيْتِ ". قَالَتْ وَضَحَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ نِسَائِهِ بِالْبَقَرِ.
‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা হাজ্জের উদ্দেশেই (মদিনা হতে) বের হলাম। ‘সারিফ’ নামক স্থানে পৌঁছার পর আমার হায়য আসলো। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে আমাকে কাঁদতে দেখলেন এবং বললেনঃ কী হলো তোমার? তোমার হায়য এসেছে? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেনঃ এ তো আল্লাহ্ তা‘আলাই আদম-কন্যাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং তুমি বাইতুল্লাহর ত্বওয়াফ ছাড়া হাজ্জের বাকী সব কাজ করে যাও। ‘আয়িশাহ (রাযি.) বলেনঃ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের পক্ষ হতে গাভী কুরবানী করলেন।
(বুখারী শরীফ। ৩০৫, ৩১৬, ৩১৭, ৩১৯, ৩২৮, ১৫১৬, ১৫১৮, ১৫৫৬, ১৫৬০, ১৫৬১, ১৫৬২, ১২৩৮, ১৬৫০, ১৭০৯, ১৭২০, ১৭৩৩, ১৭৫৭, ১৭৬২, ১৭৭১, ১৭৭২, ১৭৮৩, ১৭৮৬, ১৭৮৭, ১৭৮৮, ২৯৫২, ২৯৮৪, ৪৩৯৫, ৪৪০১, ৪৪০৮, ৫৩২৯, ৫৫৪৮, ৫৫৫৯, ৬১৫৭,৭২২৯; মুসলিম ১৫/১৭, হাঃ ১২১১) (আধুনিক প্রকাশনী- ২৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯০)
وَقَوْلُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَذَا شَيْءٌ كَتَبَهُ اللهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ وَقَالَ بَعْضُهُمْ كَانَ أَوَّلُ مَا أُرْسِلَ الْحَيْضُ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ وَحَدِيثُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَكْثَرُ.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এটি এমন একটি বিষয় যা আল্লাহ্ তা‘আলা আদম-কন্যাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কারো কারো মতে সর্বপ্রথম হায়য শুরু হয় বনী ইসরাঈলী মহিলাদের। আবূ ‘আবদুল্লাহ বুখারী (রহ.) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীসই গ্রহণযোগ্য।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
হায়েজ,এটি অবশ্যই মহিলাদের দ্বীনের স্বল্পতা।
তবে কেহ যদি অন্য সময়ের নামাজ,তিলাওয়াত পূর্ণাঙ্গ ভাবে সময়মত আদায় করে,সেই সময়েও যিকির আযকারে লিপ্ত থাকে,এবং মহান আল্লাহর কাছে ছওয়াবের আশা রাখে, তাহলে অবশ্যই মহান আল্লাহ তায়ালা সেই ছওয়াব, দ্বীনের স্বল্পতা পুষিয়ে দিবেন।
ইনশাআল্লাহ।
,
সন্তান হওয়া,সন্তান পেটে রাখা,সন্তানকে লালন পালন,দুধ খাওয়ানো ইত্যাদি কাজগুলিকে মহান আল্লাহ তায়ালা ইবাদতে রুপান্তর করে অশেষ ছওয়াব দিবেন।
অনেক মর্যাদার অধিকারীনি বানাবেন।
হায়েয অবস্থায় নামায রোযা ও কুরআন তেলাওয়াত হজ্ব,উমরা করা যাবে না।এছাড়া যাবতীয় ভালো ও উত্তম কাজ করা যাবে। কুরআন এর অডিও শোনা যাবে। হাদীস ও কুরআন এপ্স থেকে অর্থ পড়া যাবে।
হায়েজ কালীন ইবাদত সম্পর্কে জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
হায়েজ অবস্থায় আপনি যিকির আযকার করতে পারেন। যাবতীয় ভালো ও উত্তম কাজ করতে পারেন। কমপক্ষে ১০০ বার ইস্তেগফার পাঠ করতে পারেন।
কুরআন এর অডিও শুনতে পারবেন। হাদীস ও কুরআন এপ্স থেকে অর্থ পড়তে পারবেন।
অনেকে ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময় অযু করে তাসবিহে ফাতেমি সহ আরো বিভিন্ন যিকির আযকার করে থাকেন।