আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
292 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি একজন WordPress Website Developer & SEO Specialist.
Fiverr নিয়ে প্রশ্ন,
১। ফাইভার যেহেতু ইহুদি কম্পানি, সেক্ষেত্রে আমরা যা উপাজন করছি ফাইভার এর মাধ্যমে সেখান থেকে তারা ২০% কেটে রাখে। এবং তার থেকে কিছু সরকার কে দেন এবং সেই টাকা দিয়ে সরকার মুসলিম দের উপর আক্রমন করছে, অভন্তরিন বিষয় জানা নেই, আল্লাহ্‌ তাদের হেদায়েত দিক, আমি কি ফাইভারে কাজ করতে পারবো নাকি তাকে এরিয়ে যাবো্?  অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ফাইভারে কাজ করতে হলে রাতে জেগে কাজ  নিতে হয় সে ক্ষেত্রে না ঘুমানর জন্য সরিরের ক্ষতি হয়, হয়ত এখন বুঝা যাচ্ছে না, পরে এটার প্রভাব পরবে, এটাও কি তাদের একটা চক্রান্ত হতে পারে, যে মুসলিম মানুষ কে শারিরিক ভাবে দুর্বল করে দিচ্ছে এভাবে।
২। আমি যদি কোন হালাল ব্যবসাহের ওয়েবাইট( যেমনঃ ট্রাভেল,রেস্টুরেন্ট,রিয়ালস্টেট,সার্ভিস টাইপ ব্যবসাহের)  বানিয়ে দেই, সেখানে কিছু হিজাব হিন নারির( কুট টাই পরা, মাথার চুল খুলা ) ছবি যুক্ত করতে হয়,এমত অবস্থায় আমি জানি হিজাব বিহিন ছবি যুক্ত করলে সেই মহিলাকে যত মানুষ দেখবে তাদের গুনাহের কিছু অংশ আমার আমল নামায় যুক্ত হতে থাকবে) এখন সম্পূন ওয়েবসাইট টি আমি নিজে বানালাম, এবং ছবি গুলো যুক্ত করার কাজ কোন হিন্দু মানুষ কে দিয়ে করিয়ে তাকে আমি কিছু পরিমাণ বিনিময় দেই, সেক্ষেত্রে কি আমার আমল নামায় প্রতিনিয়ত গুনাহ যুক্ত হতে থাকবে, যতদিন সেই মহিলার ছবি অন্য মানুষ দেখছে।  নাকি আমি এর থেকে বেচে যাবো,যেহেতু আমি ছবি যুক্ত করি নি, আমি শুধু ওয়েবসাইট বিল্ড করে দিয়েছি,
৩। SEO নিয়ে কাজ করলে অনেক সময় মহিলাদের ছবি যুক্ত ওয়েবসাইটে কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে আমার কাজ শুধু কোন নিদিষ্ট পেজ কে Google এ রাঙ্ক করা এবং মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া কোন প্রকার ছবি যুক্ত করা কাজ আমার নয়।। আমি যে র‍্যাঙ্ক করে মানুষের সামনে নিয়ে যাচ্ছি মানুষ( মুসলিম বা অমুসলিম পুরুষ )  সেই হিজাব হিন মহিলাকে দেখছে, এবং গুনাহ হচ্ছে, এতে করে কি আমার আমল নামায় প্রতিনিয়ত গুনাহ যুক্ত হচ্ছে?
৪।মনে করুন আমি একটি ওয়েবসাইট ক্লাইন্ট কে বানিয়ে দিলাম সেখানে ৩ টা মহিলার কুট টাই পরা আছে, মাথার চুল খুলা রেখে ছবি দেয়া আছে।  সেই ছবি গুল কে আমি যুক্ত করেছি প্রয়জনের খাতিরে যেমন তাদের মধ্যে কেউ Founder,Co-founder etc. সেক্ষেত্রে আমি যেহেতু যুক্ত করেছি আমার দ্বারা ছবি গুল মানুষের কাছে যাচ্ছে তারা দেখছে গুনাহ হচ্ছে, আমিও কি এর জন্য আমার আমল নামায় প্রতিনিয়ত গুনাহ যুক্ত হচ্ছে, যেহেতু একদিকে গুনাহ যুক্ত হচ্ছে সেজন্য আমি যদি কিছু পরিমাণ টাকা দান করি মসজিদ মাদ্রসা, দান করি তাহলে কি আমার উপরক্ত গুহান মুচন হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,400 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/25158/ ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
অমুসলিম বা ফাসিকের সাথে যৌথ ব্যবসায় জড়িত হওয়া নাজায়েয নয়।

যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
عن عبد الله بن عمر رضي الله عنهما قال : أعطى رسول الله صلى الله عليه وسلم " خيبر " اليهود أن يعملوها ، ويزرعوها ، ولهم شطر ما يخرج منها .

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছ,রাসূলুল্লাহ সাঃ বর্ঘাচাষের ভিত্তিতে ইহুদিদেরকে খায়বারের জায়গা দিয়েছিলেন।(সহীহ বুখারী-২৩৬৬)

এটা ছিলো রাসূলুল্লাহ সাঃ এবং ইহুদিদের মধকার যৌথকারবার।উক্ত চুক্তিতে জমি ছিলো রাসূলুল্লাহ সাঃ এর।এবং কাজ ছিলো ইহুদিদের।আর উৎপাদিত ফসল ছিলো উভয়ের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে  বন্টিত।ইমাম বোখারী রাহ উক্ত হাদীসের অধ্যায়কে  নিম্নোক্ত শব্দাবলী দ্বারা নামকরণ করেন, '' ইহুদি এবং যিম্মিদের সাথে মুসলমানের যৌথকারবার ''

অমুসলিমের সাথে এমন ব্যবসা নাজায়েয যা অমুসলিমের সাথে মহব্বত সৃষ্টি করে দিতে পারে।যদি অমুসলিমের সাথে যৌথ ব্যবসা-বানিজ্য করা হয়,তাহলে নিজে নেগরানি করতে হবে।যাতে ঐ অমুসলিম কোনো প্রকার হারাম বা সুদের অনুপ্রবেশ এতে না ঘটায়।এবং সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে তার সাথে আন্তরিকতা সৃষ্টি না হয়।কেননা কাফিরের সাথে আন্তরিকতা জায়েয নয়।এবং সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে যে,যাতে করে ঐ অমুসলিমের পাল্লায় পড়ে বা তার কুমন্ত্রণায় প্রভাবিত হয়ে শরীয়ত বিরোধী কোনো কাজে লিপ্ত না হতে হয়।তবে সর্বাবস্থায় মুসলিমের সাথে ব্যবসা করাই নিজ ঈমান আ'মলের জন্য নিরাপদ।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ফাইভার এ আপনি যে কাজ করছেন,কাজ যদি হালাল হয়,সেক্ষেত্রে আপনার কাজ ও ইনকাম হালাল হবে।

এটিকে নাজায়েজ বা হারাম বলা যাবেনা।

কাজ বৈধ হলে ইনকাম জায়েজ হবে।
কাজ হারাম হলে ইনকাম হারাম হবে।
নাজায়েজ পদ্ধতিতে ইনকাম বৈধ হবেনা।

তবে ঈমানের দাবিতে এসব সেক্টরে কাজ না করে অফলাইনে মাঠে ময়দানে চাকুরী, ব্যবসা বানিজ্য করাই হলো সতর্কতা।

(০২)
উক্ত ওয়েবসাইট তৈরী করাই জায়েজ নেই।
কাহারো মাধ্যমে ছবি যুক্ত করে নিলেও সে ওয়েবসাইট তৈরী করা জায়েজ হবেনা।
ইনকাম হারাম হবে।

(০৩)
আপনার কাজ যেহেতু ছবি যুক্ত করা নয়,তাই আপনার কাজ ও ইনকাম হালাল হবে।
তবে এহেন ইনকাম থেকে বেঁচে থাকাই সতর্কতা।

(০৪)
এক্ষেত্রে আপনার আমল নামায় প্রতিনিয়ত গুনাহ যুক্ত হবে।

উক্ত ওয়েবসাইট তৈরী করাই জায়েজ নেই।

ইনকাম হারাম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (8 points)
জাজাকাল্লাহ খাইরান। 

এক্ষেত্রে যদি কোন মহিলার ছবি না থাকে, অই সব ওয়েবসাইট বানানো জায়েজ হবে। 
যেখানে শুধু প্রয়োজনীয় কিছু পুরুষের ছবি থাকে। যার মাধ্যমে ফেতনা ছড়ানর আসংকা নেই। 

by (566,400 points)
হ্যাঁ, এসব ওয়েবসাইট বানানো জায়েজ হবে। 
by (18 points)
আসসালামুআলাইকুম ওস্তাদ।
দয়া করে রিপ্লে টা দিবেন।
একটা হালাল ব্যবসার ওয়েবসাইট।  অনেক কাজ আছে সেখানে।।
কিন্তু যদি ২-৩ টা মেয়েদের ছবি যুক্ত করতে হয় তাহল্র কি পুরো ইনকাম হারাম হবে??
নাকি ছবির কাজের জন্য কিছু ইনকাম হারাম হবে।।সে টাকা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করলে বাকি টাকা হালাল হবে?
একটা ওয়েবসাইট বানাতে ৭ দিন লাগলে ৩ টা ছবি যুক্ত করতে লাগবে মাত্র ৭ মিনিট?
আর ওয়েবসাইটটা দিয়ে সব ভালো কাজ করবে হালাল ব্যবসা করবে শুধু ২-৩ টা ছবির জন্য পুরো ইনকাম হারাম হলে তো এই সেক্টরে মুসলিম কেউ কাজই করতে পারবে না।।
কারণ একদম ছবি ছাড়া কোন সাইট পাওয়া যায় না।।
মদ জুয়া হারাম ব্যবসা এইগুলা বাদ দেওয়া যায়।।কিন্তু ছবি থাকবে না এমন কাজ পাওয়া যায় না।।
by (566,400 points)
এক্ষেত্রে পুরো ইনকাম হারাম হবেনা।
আংশিক হারাম হবে।

তবে সেই ইনকামে হারাম এর মিশ্রণ থাকার কারনে, এবং নারীদের ছবি যুক্ত করার দরুন অন্যরাও সেই ছবি দেখবে,তাতে হারাম কাজে সহযোগিতার গুনাহ হবে।
এই দুই কারনে এই ধরনের ইনকাম ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ থাকবে। 

এ ধরনের কাজ জায়েজ নয়।
 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...