ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)دين قوي (শক্তিশালী ঋণ) এটা দ্বারা সেই টাকা বা মাল উদ্দেশ্য যা কাউকে ধার দেয়া হয়েছিলো,বা ব্যবসায়িক পণ্যর বিনিময়ে কারো উপর ওয়াজিব ছিলো।কিংবা এমন কোনো গৃহপালিত পশুর বিনিময়ে কারো উপর ওয়াজিব ছিলো যে প্রাণীর উপর যাকাত ওয়াজিব ছিলো।এমন দাইনে চল্লিশ দিরহাম পরিমাণ উসূল হওয়ার পর যাকাত ওয়াজিব হবে।(যখন থেকে পাওনা ছিলো তখন থেকে এক বৎসর পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত ওয়াজিব হবে তথা হস্তগত হওয়ার পূর্বের বৎসর সমূহের যাকাত তখন আদায় করতে হবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
1483
যদি কারো নিকট ৭.৫ ভড়ি স্বর্ণের চেয়ে কম থাকে, এবং বৎসরের শুরুতে ও শেষে রূপা বা প্রয়োজন অতিরিক্ত কিছু টাকা হাতে থাকে,(১০০ বা ২০০ হোক) এবং সব মিলিয়ে ৫২ ভড়ি রূপার সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলে তার উপর যাকাত ফরয হবে।
বৎসরের শুরুতে কিছু টাকা ছিল,কিন্ত শেষে নাই, বা বৎসের মধ্যখানে ছিল,কিন্তু তারপর আর নাই,এমন হলে তখন কিন্তু স্বর্ণের সাথে মিলিত হবে না এবং যাকাতও ওয়াজিব হবে না। তাছাড়া টাকাটা প্রয়োজন অতিরিক্ত হতে হবে।অর্থাৎ এমন টাকা যা সংসারে বা নিজ প্রয়োজনে খরচ হবে না। বরং এগুলো অতিরিক্ত জমানো টাকা। খরচ হয়ে গেলে বা অচিরেই খরচ হয়ে যাবে, এমন হলে, সেই টাকা কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত বলে গণ্য হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
82438
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নিকট যতটুকু গহনা আছে, সেই গহনার বিক্রয়মূল্য এবং আপনার নিকট যেই ১ লাখ টাকা আছে, সেই সব টাকার এক বৎসর অতিবাহির হওয়ার পর যদি সবক'টির মূল্য যেহেতু ৫২ ভড়ি রূপার অধিক মূল্যমানের, তাই আপনাকে ২.৫% যাকাত দিতে হবে।
তাছাড়া অতীতে যেই টাকা আপনার ভাই বা বোনের নিকট ছিলো, উসূল হওয়ার পর সেই টাকা গুলোর যাকাত দিতে হবে। যত বৎসর তাদের নিকট ছিলো,তত বৎসরের যাকাত দিতে হবে।