ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সোনা, রূপা,টাকা,এবং ব্যবসায়িক মালে যাকাত আসে, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়।
স্বর্ণের নেসাবঃ৭.৫ ভড়ি।
রূপার নেসাবঃ৫২.৫ ভড়ি।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কারো কাছে শুধুমাত্র স্বর্ণ বা শুধুমাত্র রূপা থাকলে সেটার নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত আসবে, অন্যথায় যাকাত আসবে না। তবে হ্যাঁ, যদি কারো নিকট স্বর্ণ এবং রূপা অথবা টাকা এভাবে থাকে যে, কোনোটিরই নেসাব পূর্ণ হয়নি, তাহলে এক্ষেত্রে রূপার নেসাবকেই মানদন্ড ধরে নেয়া হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু উনার নিকট ৭ ভড়ি স্বর্ণ রয়েছে, কিন্তু নগদ টাকা নাই, তাই উনার উপর যাকাত ফরয হবে না। আর যার উপর যাকাত ফরয হয়না, তিনি যাকাত গ্রহণ করতে পারেন। তাই ফিকহের মূলনীতির আলোকে তিনি এখন যাকাত গ্রহণ করতে পারবেন। তবে উনার নিকট যদি যৎ সামান্য টাকা কখনো চলে আসে, তাহলে তখন ৫২.৫ ভড়ি রূপার মূল্য হিসেবে উপর যাকাত ফরয হয়ে যাবে। চায় এক টাকা ই হোক। বৎসরে শুরুর দিন এবং শেষের দিন যদি হাতে টাকা থাকে, তাহলে যাকাত ফরয হবে। নতুবা ফরয হবে না।
দারুল উলূম দেওবন্দের একটি ফাতাওয়ায় বলা হয় যে,
Fatwa : 663-590/SN=07/1440
سونے کا نصاب ساڑھے سات تولہ یعنی تقریباً ساڑھے ستاسی گرام ہے، اگر کسی کے پاس قابل زکات مال میں سے صرف سونا ہے اور کوئی چیز مثلاً چاندی، روپیہ پیسہ وغیرہ نہیں ہے تو مذکورہ بالا مقدار کا پایا جانا ضروری ہے، اس سے کم پر زکات واجب نہ ہوگی؛ لیکن اگر سونا کے ساتھ کچھ چاندی یا روپیہ پیسہ بھی ہے خواہ کتنا ہی کم ہو تو پھر چاندی کا نصاب یعنی ۶۱۲/ گرام ۳۶۰/ ملی گرام معیار بنے گا؛ لہٰذا صورت مسئولہ میں اگر آپ کی بیوی کے پاس صرف سات تولہ سونا ہے اور کوئی قابل زکات مال مثلاً چاندی روپیہ پیسہ (اگر چہ دو چار روپئے ہی کیوں نہ ہوں) نہیں ہے تو ان پر شرعاً زکات واجب نہیں ہے؛ بلکہ جب سونا بہ قدرِ نصاب ان کے پاس جمع ہو جائے گا تب زکات واجب ہوگی؛ ہاں اگر آپ کی بیوی کے پاس چاندی تو نہیں ہے؛ لیکن روپیہ پیسہ ہے خواہ قلیل ہو یا کثیر تو چونکہ معیار نصاب چاندی ہے اور صورت مسئولہ میں آپ کی بیوی کا مملوکہ مال نصاب چاندی کو پہنچ رہا ہے؛ اس لئے ان پر شرعاً زکات واجب ہے۔ ویضم الذہب إلی الفضة وعکسہ بجامع الثمنیة قیمةً وقالا بالأجزاء ․․․․․․․ قولہ: ویضمّ الخ أي عند الاجتماع ، أمّا عند انفراد أحدہما فلا تعتبر القیمة اجماعاً الخ (درمختار مع الشامی: ۳/۳۳۴، ط: زکریا) ۔