আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
206 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ

হুজুর,

১) কেউ যদি আমাকে কোনো উপকার করে তাহলে তৎক্ষণাৎ আমি তাকে খুশি হয়ে মন থেকে কিছু খাওয়ালে বা কিছু হাদিয়া দিলে সেটা সুন্নাত সম্মত হবে কিনা?

২) উপকারীর আসল প্রতিদান তো আল্লাহ দেবেন, কিন্তু দুনিয়ায় আমরা কিভাবে উপকারকারীর কৃতজ্ঞতা আদায় করব, এক্ষেত্রে সুন্নাত কী?

৩) বাজারে বা দোকান থেকে কোনো কিছু কেনার সুন্নাত তরিকা কী?

৪) শরীয়া সম্মতভাবে বাড়ি বন্ধ করার কোনো উপায় আছে কিনা, যাতে কেউ খারাপ কিছু করতে না পারে? থাকলে জানালে ভাল হয়।

জাজাক আল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
হ্যা হাদিয়া দিলে সেটি সুন্নাত পদ্ধতি হবে। 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

مَنْ أَتَى إِلَيْكُمْ مَعْرُوفًا فَكَافِئُوهُ، فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فَادْعُوا لَهُ، حَتَّى يَعْلَمَ أَنْ قَدْ كَافَأْتُمُوهُ.

তোমাদের প্রতি যে ব্যক্তি কোনো ভালো আচরণ করে তোমরা তার প্রতিদান দাও। যদি দেয়ার মতো কিছু না পাও তাহলে তার জন্যে দুআ করো, যাতে সে বুঝতে পরে- তোমরা তার প্রতিদান দিয়েছ। -আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদীস ২১৬

عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّاسَ، كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ، يَبْتَغُونَ بِهَا ـ أَوْ يَبْتَغُونَ بِذَلِكَ ـ مَرْضَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, লোকেরা তাদের হাদিয়া পাঠাবার জন্য ‘আয়িশা (রাঃ) এর নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। এতে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করত। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৪]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ فَإِنْ قِيلَ صَدَقَةٌ. قَالَ لأَصْحَابِهِ كُلُوا. وَلَمْ يَأْكُلْ، وَإِنْ قِيلَ هَدِيَّةٌ. ضَرَبَ بِيَدِهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ مَعَهُمْ ”

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কোন খাবার আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন, এটা হাদিয়া, না সাদকা? যদি বলা হতো, সাদকা তা হলে সাহাবীদের তিনি বলতেন, তোমরা খাও। কিন্তু তিনি খেতেন না। আর যদি বলা হল হাদিয়া। তাহলে তিনিও হাত বাড়াতেন এবং তাদের সাথে খাওয়ায় শরীক হতেন। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৬]

আরো জানুনঃ 

(০২)
তাকেও কিছু প্রদান করা উচিত।
তারও উপকার করা উচিত।
যদি কোনো কিছু প্রদান করার সামর্থ না থাকে,তাহলে তার জন্য দোয়া করবে।

প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আরেকটি হাদীস-
مَنْ لاَ يَشْكُرُ النّاسَ لاَ يَشْكُرُ اللهَ.
যে মানুষের কৃতজ্ঞতা আদায় করে না, সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞ হয় না। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯৫৪

مَنْ أُعْطِيَ عَطَاءً فَوَجَدَ فَلْيَجْزِ بِهِ، وَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَلْيُثْنِ، فَإِنّ مَنْ أَثْنَى فَقَدْ شَكَرَ، وَمَنْ كَتَمَ فَقَدْ كَفَرَ.

কাউকে যখন উপহারস্বরূপ কিছু দেয়া হয়, তখন সে যদি এর পরিবর্তে দেয়ার মতো কিছু পায় তাহলে যেন তা দিয়ে দেয়। আর যে এমন কিছু না পাবে সে যেন তার প্রশংসা করে। কেননা যে প্রশংসা করল সেও কৃতজ্ঞতা আদায় করল। আর যে লুকিয়ে রাখল সে অস্বীকার করল। -জামে তিরমিযী, হাদীস ২০৩৪

অর্থাৎ কেউ যখন কোনো উপহার দেয়, সম্ভব হলে তাকেও অন্য কোনো উপহার দেয়া উচিত। আর যদি এটা সম্ভব না হয়, তাহলে তার প্রশংসা করো। এতেও তার হক কিছুটা আদায় হবে।

 হাদীসে বলা হয়েছে-
مَنْ صُنِعَ إِلَيْهِ مَعْرُوفٌ فَقَالَ لِفَاعِلِهِ : جَزَاكَ اللهُ خَيْرًا فَقَدْ أَبْلَغَ فِي الثّنَاءِ.
কারও সঙ্গে যখন কোনো ভালো আচরণ করা হয় এরপর সে যদি ভালো আচরণকারীকে বলে- জাযাকাল্লাহু খায়রান অর্থাৎ আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন, তাহলে সে যথোপযুক্ত প্রশংসা করল। -জামে তিরমিযী, হাদীস ২০৩৫

হাদীসের মর্ম তো স্পষ্টই- কেউ যদি কিছু হাদিয়া দেয়, অথবা বিপদে-সংকটে পাশে এসে দাঁড়ায়, ভালো কোনো পরামর্শ দেয়, কিংবা অন্য যেকোনোভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে তার জন্যে কমপক্ষে দুআ করো- আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। মানুষের সবকিছুই যেখানে সীমিত, সীমাবদ্ধ, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সবকিছুই অসীম, সীমাহীন। আল্লাহ যখন কাউকে পুরস্কৃত করেন, সেটা তাঁর শান মোতাবেকই করেন। কারও কাছ থেকে কোনো ভালো আচরণ পাওয়ার পর তাই আন্তরিকতাপূর্ণ এ ছোট দুআটুকুও অনেক বড় কৃতজ্ঞতা।
,
(০৩)
বেচা-কেনা শরীয়ত সম্মত উপায়ে সংঘটিত হওয়ার জন্য মোট ৩টি জিনিষ পাওয়া যেতে হবে।

১. বৈধ মাল হতে হবেঃ মাল না হলে তা বিক্রি করা বা খরীদ করা জায়িয হবে না। যেমনঃ শুকর, রক্ত, মদ, গান-বাদ্যের যন্ত্র, সিনেমার বা নৃত্য অনুষ্ঠানের টিকেট ইত্যাদি। এগুলো শরী‘আতের দৃষ্টিতে মাল নয়, তাই এগুলোর ক্রয়-বিক্রয় হারাম।
২. পণ্যের মূল্য নির্ধারিত হতে হবেঃ দোকানদার ক্রেতাকে বললোঃ এটা নগদ নিলে এত দাম, আর বাকী নিলে এত দাম। এখন যদি ক্রেতা শুধু বলেঃ ঠিক আছে। কিন্তু উভয়টির কোনটা নির্দিষ্ট করল না। তাহলে এ বেচা-কেনা জায়িয হবে না। বরং এটা সূদী কারবারের অন্তর্ভুক্ত হবে।
৩. উভয় পক্ষ থেকে স্বতঃস্ফূর্ত সম্মতি পাওয়া যেতে হবেঃ অনেকে গায়ের জোরে নির্ধারিত মূল্য থেকে কম মূল্যে জিনিষ ক্রয় করে। এটা হালাল হবে না। অনেক সময় একতরফা মূল্য নির্ধারিত করা হয়। যার প্রতি অন্য পক্ষের সম্মতি থাকে না। এটাও জায়িয নেই।
,
(০৪)

★এ জাতীয় অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য নবী (সা.)-এর সুন্নাহ হলো, তিনি রাতে আয়াতুল কুরসি পাঠের নির্দেশনা আমাদের দিয়েছেন। এ ছাড়া সকাল ও সন্ধ্যায় রাসুল (সা.) অনেক দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন। ওই দোয়াগুলো বাসাবাড়িতে পাঠ করলে, আমল করলে আল্লাহ ওই বাড়িকে হেফাজত করবেন।

من طريق الشعبي أنه قال: قال عبدالله بن مسعود: من قرأ عشر آيات من سورة البقرة في ليلة لم يدخل ذلك البيت شيطان تلك الليلة أربع من أولها وآية الكرسي وآيتان بعدها وثلاث آيات من آخرها وفي رواية: لم يقربه ولا أهله يومئذ شيطان ولا شيء يكرهه ولا يقرؤه على مجنون إلا أفاق

হযরত ইবনে মাসউদ রা. বলেছেন, সূরা বাকারায় এমন দশটি আয়াত রয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি সে আয়াত গুলি রাতে নিয়মিত পাঠ করে, তবে শয়তান সে ঘরে প্রবেশ করতে পারবে না এবং সে রাতের মতো সকল বালা- মুসীবাত, রোগ- শোক ও দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা থেকে নিরাপদ থাকবে। তিনি আরো বলেছেন, যদি বিকৃত মস্তিস্ক লোকের উপর এ দশটি আয়াত পাঠ করে দম করা হয়, তবে সে ব্যক্তি সুস্থতা লাভ করবে। আয়াত দশটি হচ্ছেঃ সূরার প্রথম চার আয়াত, মধ্যের তিনটি অর্থাৎ আয়াতুল কুরসী ও তাঁর পরের দুই আয়াত এবং শেষের তিনটি আয়াত।(সুনানে দারেমী)

আরো জানুনঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ مَقَابِرَ وَإِنَّ الْبَيْتَ الَّذِي تُقْرَأُ فِيهِ الْبَقَرَةُ لاَ يَدْخُلُهُ الشَّيْطَانُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ

কুতায়বা (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের বাড়িতে গোরস্থান বানিও না। যে বাড়িতে সূরা বাকারা পাঠ করা হয় সে ঘরে শয়তান প্রবেশ করে না।
সহীহ, আহকামুল জানা-ইয ২১২, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮৭৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِكُلِّ شَيْءٍ سَنَامٌ وَإِنَّ سَنَامَ الْقُرْآنِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ وَفِيهَا آيَةٌ هِيَ سَيِّدَةُ آىِ الْقُرْآنِ هِيَ آيَةُ الْكُرْسِيِّ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ . وَقَدْ تَكَلَّمَ شُعْبَةُ فِي حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ وَضَعَّفَهُ .

মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রতিটি বস্তরই শীর্ষদেশ রয়েছে। কুরআনের শীর্ষস্থানীয় সূরা হল সূরা বাকারা। এতে এমন একটি আয়াত রয়েছে যেটি হল কুরআনের আয়াতসমূহের মাঝে প্রধান। সেটি হল আয়াতুল কুরসী।
যঈফ, যঈফা ১৩৪৮, তা'লীকুর রাগীব ২/২১৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮৭৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْمُغِيرَةِ أَبُو سَلَمَةَ الْمَخْزُومِيُّ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الْمُلَيْكِيِّ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ مُصْعَبٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ حم الْمُؤْمِنَ إِلَى : (إِلَيْهِ الْمَصِيرُ ) وَآيَةَ الْكُرْسِيِّ حِينَ يُصْبِحُ حُفِظَ بِهِمَا حَتَّى يُمْسِيَ وَمَنْ قَرَأَهُمَا حِينَ يُمْسِيَ حُفِظَ بِهِمَا حَتَّى يُصْبِحَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ الْمُلَيْكِيِّ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ . وَزُرَارَةُ بْنُ مُصْعَبٍ هُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَهُوَ جَدُّ أَبِي مُصْعَبٍ الْمَدَنِيِّ .

ইয়াহ্ইয়া ইবন মুগীরা আবূ সালামা মাখযূমী মাদীনী (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে সূরা মু’মিনের হা-মীম থেকে ইলাইহিল মাসীর পর্যন্ত (১,২,৩ নং আয়াত) এবং আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করবে তবে বিকাল পর্যন্ত এর কারণে তার হিফাযত করা হবে। আর যে ব্যক্তি বিকালে তা পাঠ করবে সকাল পর্যন্ত এর কারণে তার হিফাজত করা হবে।
যঈফ, মিশকাত, তাহকিক ছানী ২১৪৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮৭৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجَرْمِيِّ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ الْجَرْمِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ كِتَابًا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ بِأَلْفَىْ عَامٍ أَنْزَلَ مِنْهُ آيَتَيْنِ خَتَمَ بِهِمَا سُورَةَ الْبَقَرَةِ وَلاَ يُقْرَآنِ فِي دَارٍ ثَلاَثَ لَيَالٍ فَيَقْرَبُهَا شَيْطَانٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ

মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... নু’মান ইবন বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির দুই হাজার বছর পূর্বেই আল্লাহ্ তা’আলা একটি কিতাব লিপিবন্ধ করেছেন। এর থেকে তিনি দু’টো আয়াত নাযিল করেছেন। যে দু’টোর মাধ্যমেই তিনি সূরা বাকারা খতম করেছেন। যে বাড়িতে তিন রাত তা পাঠ করা হবে শয়তান সে বাড়ির নিকটবর্তী হয় না।
সহীহ, রাওযুন নাযীর ৮৮৬, তা'লীকুর রাগীব ২/২১৯, মিশকাত ২১৪৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮৮২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

কোনো ব্যক্তি ঘর-বাড়ি বিপদাপদ থেকে নিরাপদ রাখার ইচ্ছা করলে সে যেন আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম (اَلْوَالِىْ) ‘আল-ওয়ালি’-এর তাসবিহ ৩ বার পাঠ করবে; কারো কারো মতে, যে ব্যক্তি পানির পাত্র উক্ত মোবারক নাম লিখে তাতে পানি ঢেলে পানি ভর্তি পাত্রকে দেয়াল বা ঘরের দিকে নিক্ষেপ করেল ওই ঘর নিরাপদ থাকে।
,
★ ইহাছাড়াও বৈধ কালাম তথা কুরআন-হাদীস ও সালাফে সালেহীনদের বর্ণিত দু'আ দুরুদ দ্বারা তাবিজ করা বৈধ রয়েছে।

বৈধ কালামের মাধ্যমে তাবিজ করার রুখসত রয়েছে।তবে অবৈধ উদ্দেশ্যে করা যাবে না।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...