আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
241 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (51 points)

আসসালামু আলাইকুম,

১. আমি একজন ওয়া ওয়াসা গ্রস্ত ব্যক্তি। আমি আপনাদের এ সম্পর্কিত আপনাদের কোশটি করেছি। এতে আমার অনেক উপকার হয়েছে। অনেক দিন ভালো ছিলাম। কয়েকদিন ধরে কেমন যেন লাগছে। গতকাল দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমাতে যাই। শুয়ে শুয়ে হটাত মনে পড়ল আমি এক ওয়াজে শুনেছে জাতীয় সঙ্গীত এ মা দ্বারা হিন্দুদের মূর্তির কথা বলা হয়েছে। আমার কেন যেন বিষয়টি মনে পড়ল। এবং হাল্কা ঘুমের মধ্যে মা শব্দটি বিড়বিড় করে উচ্চারন করে নাকি মুখ বন্ধ করে বললাম আমি মনে করতে পারছি না। এটি সম্ভবত মূর্তিকে উদ্দেশ্য করে নাকি আমি মনে করতে পারছি না।

ঘুমাতে পারছি না বারবার একই চিন্তা আসছে এবং আমি চিন্তিত হয়ে গেলাম। একটু পর বিছানা তে বসে পরলাম এবং ভাবলাম এ সম্পর্কে এবং চিন্তা করলাম কিভাবে উচ্চারন হল। আমি চেষ্টা করলাম বুঝার।এবং চিন্তা করলাম মূর্তি নিয়ে সম্ভবত এবং এর মধ্য আবার ও মা শব্দটি উচ্চারিত হল মুখ দিয়ে।

২. কুফর সংক্রান্ত কোন কথা বা কাজের কথা মনে করে শুধু হাসলে কি কোন সমস্যা হবে?

 

৩. কেউ যদি কুফর সংক্রান্ত কোন কথা বলে আর আমি যদি তখন যদি হটাত করে হেসে ফেলি তখন কি এর জন্য আমার কোন সমস্যা হবে?  

 এখন কি করব ভেবে না পেয়ে আপনাদের নিকট প্রশ্ন করলাম। এতে কি ইমানের কোন সমস্যা হবে? 

by (51 points)
edited by

৪. কয়েকদিন যাবত তামা* বিষয়েও নানা সময় ওয়াস ওয়াসা আসছে।আমি এগুলোকে পাত্তা দিচ্ছি না। এক্ষেত্রে যদি কোন কিছু উচ্চারিত হয় তাহলে কি কোন সমস্যা হবে?   

৫. আমি একজন শিক্ষক। আমার এক ছাত্রীকে তার ব্যাগের মধ্য স্কেল দিয়ে বারি দেই। ওই ধরনের ব্যাগের পেছনে আল্লাহ ভরসা লেখা আছে। যখন বারি দেই তখনই বিষয়টি মনে পরে। এরপর থেকে মনে হয় একি করলাম, কিভাবে করলাম, কাকে উদ্দেশ্য করে দিলাম ইত্যাদি। আমি ক্লাসেই ভাবতে থাকি। এবং পুনরায় বিষয়টি অভিনয় করতে থাকি মনে মনে। এবং ব্যাগের স্যামনে এসে আবার মনে মনে চিন্তা আসে ওই নামটিতে – “আল্লাহ ভরসা” লেখাতে বারি দেওয়ার নাউজুবিল্লাহ। কিন্তু বাস্তবে তা করি নাই। তবে হাতে স্কেল ছিল এবং কিছুটা তা দ্বারা বারির ইশারা করা হয়েছিল।

এতে কি কোন সমস্যা হবে?

কিসব অদ্ভুদ কিছু ঘটছে আমি নিজেও অবার হচ্ছি। 

৬. আমার এই সকল লেখার কারনে বা লেখার কোন ভুল ত্রুটির কারনে কি কোন সমস্যা হবে? 

আমাকে আবার ও আপনি পরামর্শ দেন।আমি আপনার পরামর্শ মতো আবার চলার চেষ্টা করব, ইনশা আল্লাহ। 


by (597,330 points)
ওয়াসওয়াসা কোর্স সমাপ্ত করার পর একটি কোড দেয়া হয়ে থাকে,সেই কোড দেয়া না হলে উত্তর দেয়া হবে না।
by (51 points)
reshown by

আমি ওয়াস ওয়াসার পেইড কোর্স টি করি নাই। শুধু বিনা মূল্যের কোর্সটি করেছি।আমি কোন কোড পায়নি। আমার মনে হয় আমার আসলে কিছুই হয়নি তথাপি নিরাপত্তার জন্য অন্তত এই প্রশ্নের উওর দিলে উপকৃত হব।


আমি একজন শিক্ষক। আমার এক ছাত্রীকে তার ব্যাগের মধ্য স্কেল দিয়ে বারি দেই। ওই ধরনের ব্যাগের পেছনে আল্লাহ সর্ব শক্তিমান লেখা আছে। যখন বারি দেই তখনই বিষয়টি মনে পরে। এরপর থেকে মনে হয় একি করলাম, কিভাবে করলাম, কাকে উদ্দেশ্য করে দিলাম ইত্যাদি। আমি ক্লাসেই ভাবতে থাকি। এবং পুনরায় বিষয়টি অভিনয় করতে থাকি মনে মনে। এবং ব্যাগের স্যামনে এসে আবার মনে মনে চিন্তা আসে ওই নামটিতে – “আল্লাহ সর্ব শক্তিমানলেখাতে বারি দেওয়ার নাউজুবিল্লাহ। কিন্তু বাস্তবে তা করি নাই। তবে হাতে স্কেল ছিল এবং কিছুটা তা দ্বারা বারির ইশারা করা হয়েছিল।  বাস্তবে আমার বারি দেওয়ার কোন ইচ্ছে ছিল না।

এতে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।
https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...