আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ

১.  মালহামা বা মহাযুদ্ধ কি ইমাম মাহাদী আসার আগে সংগঠিত হবে নাকি উনি আসার পর? ইমাম মাহাদী কোন দেশ থেকে আবির্ভাব হবেন?

 ২.  যারা শাহাদাত বরণ করবে তাদের ৭০ জনকে সুপারিশ করার সুযোগ দেওয়া হবে।সেইক্ষেত্রে উক্ত শহীদ ব্যক্তি কি যাকে ইচ্ছে তার জন্য সুপারিশ করতে পারবে নাকি সেটা নির্ধারিত করে দেওয়া হবে?

৩. জান্নাতে যাওয়ার পর কোনো ব্যক্তি যদি চান যে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর জন্ম থেকে মৃত্যু পুরো ইতিহাস নিজ চোখে দেখতে চান তাহলে কি তাকে দেখানো হবে?

৪. জান্নাতে কি সকল নবীরাসূল,সাহাবীগণ সবার সাথে দেখা করা যাবে?

৫.যারা জান্নাতুল মাওয়াতে থাকবে তারা কি চাইলে জান্নাতুল ফেরদৌসে ঘুরতে যেতে পারবে?

৬. শহীদগণ ৭২ জন হুর পাবেন।তারা কি দুনিয়ার স্ত্রীসহ ৭২ জন নাকি স্ত্রী ছাড়াই ৭২ জন?

৭. জান্নাতের হুরদের পোশাক কেমন থাকবে?এবং জান্নাতি পুরুষদের পোশাক কেমন থাকবে?

৮. শহীদগণের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।কিন্তু যারা ঋণ থাকা অবস্থায় শহীদ হন কিংবা যারা দীর্ঘদিন ব্যক্তিগত কারণে বাবার সাথে কথা না বলা অবস্থায় শহীদ হন তাদেরও কি মাফ করে দেওয়া হবে?

৯. একজন স্বামীর তার স্ত্রীর প্রতি কি কি দায়িত্ব থাকে এবং স্বামীর উপর স্ত্রীর কি কি হক থাকে এবং কিভাবে জীবন পরিচালনা করলে যেকোনো দ্বীনি স্ত্রীর চোখে উত্তম স্বামী হওয়া যাবে?

১০. শহীদের আত্মা যখন জান্নাতের সবুজ পাখির ভিতর দেওয়া হবে সেই পাখি কি জান্নাতের সকল কিছু দেখতে পাবে?এবং সেই আত্মা কি আবার ফিরিয়ে দিয়ে হাশরের ময়দানে উক্ত শরীরে উঠবে?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
ইমাম মাহদী এর আগমন সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছেঃ-    

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ تَمَّامِ بْنِ بَزِيعٍ، حَدَّثَنَا عِمْرَانُ الْقَطَّانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْمَهْدِيُّ مِنِّي، أَجْلَى الْجَبْهَةِ، أَقْنَى الْأَنْفِ، يَمْلَأُ الْأَرْضَ قِسْطًا وَعَدْلًا، كَمَا مُلِئَتْ جَوْرًا وَظُلْمًا، يَمْلِكُ سَبْعَ سِنِينَ

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার বংশ থেকে মাহদীর আবির্ভাব হবে, সে হবে প্রশস্ত ললাট ও উন্নত নাকবিশিষ্ট। তখনকার দুনিয়া যেরূপে যুলুমে ভরে যাবে, সে তার বিপরীতে তা ইনসাফে ভরে দিবে, আর সে সাত বছর রাজত্ব করবে।
(আবু দাউদ ৪২৮৫)

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ عُبَيْدٍ، حَدَّثَهُمْ، ح وحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ يَعْنِي ابْنَ عَيَّاشٍ، ح وحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، ح وحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا زَائِدَةُ، ح وحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ فِطْرٍ، الْمَعْنَى وَاحِدٌ، كُلُّهُمْ عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَوْ لَمْ يَبْقَ مِنَ الدُّنْيَا إِلَّا يَوْمٌ - قَالَ زَائِدَةُ فِي حَدِيثِهِ: لَطَوَّلَ اللَّهُ ذَلِكَ الْيَوْمَ، ثُمَّ اتَّفَقُوا - حَتَّى يَبْعَثَ فِيهِ رَجُلًا مِنِّي - أَوْ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي - يُوَاطِئُ اسْمُهُ اسْمِي، وَاسْمُ أَبِيهِ اسْمُ أَبِي زَادَ فِي حَدِيثِ فِطْرٍ: يَمْلَأُ الْأَرْضَ قِسْطًا، وَعَدْلًا كَمَا مُلِئَتْ ظُلْمًا وَجَوْرًا وَقَالَ: فِي حَدِيثِ سُفْيَانَ: لَا تَذْهَبُ، أَوْ لَا تَنْقَضِي، الدُّنْيَا حَتَّى يَمْلِكَ الْعَرَبَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي، يُوَاطِئُ اسْمُهُ اسْمِي.

আব্দুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি দুনিয়ার মাত্র একদিনও অবশিষ্ট থাকে তবে আল্লাহ সেই দিনকে অত্যন্ত দীর্ঘায়িত করবেন এবং আমার থেকে অথবা আমার পরিজন থেকে একজন লোক আবির্ভূত করবেন, যার নাম ও তার পিতার নাম আমার ও আমার পিতার নামের সঙ্গে হুবহু মিল হবে। সে পৃথিবীকে ইনসাফে পরিপূর্ণ করবে যেরূপ তা যুলুমে পরিপূর্ণ ছিলো। আর সুফিয়ান বর্ণিত হাদীসে বলেন, ততদিন দুনিয়া ধ্বংস হবে না, যতদিন পর্যন্ত আমার পরিবারের এক ব্যক্তি আরবে রাজত্ব না করবে, তার নাম হুবহু আমার নামই হবে।
(আবু দাউদ ৪২৮২)

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ صَالِحٍ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ صَاحِبٍ لَهُ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَكُونُ اخْتِلَافٌ عِنْدَ مَوْتِ خَلِيفَةٍ، فَيَخْرُجُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ هَارِبًا إِلَى مَكَّةَ، فَيَأْتِيهِ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ فَيُخْرِجُونَهُ وَهُوَ كَارِهٌ، فَيُبَايِعُونَهُ بَيْنَ الرُّكْنِ وَالْمَقَامِ، وَيُبْعَثُ إِلَيْهِ بَعْثٌ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ، فَيُخْسَفُ بِهِمْ بِالْبَيْدَاءِ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ، فَإِذَا رَأَى النَّاسُ ذَلِكَ أَتَاهُ أَبْدَالُ الشَّامِ، وَعَصَائِبُ أَهْلِ الْعِرَاقِ، فَيُبَايِعُونَهُ بَيْنَ الرُّكْنِ وَالْمَقَامِ، ثُمَّ يَنْشَأُ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ أَخْوَالُهُ كَلْبٌ، فَيَبْعَثُ إِلَيْهِمْ بَعْثًا، فَيَظْهَرُونَ عَلَيْهِمْ، وَذَلِكَ بَعْثُ كَلْبٍ، وَالْخَيْبَةُ لِمَنْ لَمْ يَشْهَدْ غَنِيمَةَ كَلْبٍ، فَيَقْسِمُ الْمَالَ، وَيَعْمَلُ فِي النَّاسِ بِسُنَّةِ نَبِيِّهِمْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيُلْقِي الْإِسْلَامُ بِجِرَانِهِ فِي الْأَرْضِ، فَيَلْبَثُ سَبْعَ سِنِينَ، ثُمَّ يُتَوَفَّى وَيُصَلِّي عَلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জনৈক খলীফাহর মৃত্যুকালে মতানৈক্য সৃষ্টি হবে। এ সময় মদীনাবাসী জনৈক ব্যক্তি পালিয়ে মক্কায় চলে যাবে। মক্কাবাসীরা তার নিকট এসে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিয়ে আসবে এবং তারা রুকন ও মাকামে ইবরাহীমের মাঝখানে তার হাতে বাই‘আত করবে। অতঃপর তার বিরুদ্ধে সিরিয়া থেকে একটি সৈন্যবাহিনী পাঠানো হবে। এদেরকে মক্কা ও মদীনার মধ্যবর্তী স্থানে দেখতে পাবে, তখন সিরিয়ার ধার্মিক ব্যক্তিগণ ও ইরাকবাসীদের কয়েকটি দল তার নিকট এসে রুকন ও মাকামের মাঝখানে তার হাতে বাই‘আত করবে। অতঃপর কুরাইশ বংশের জনৈক ব্যক্তির উদ্ভব হবে, কাল্ব গোত্র হবে তার মাতুল গোত্র।

সে তাদের মুকাবিলায় একটি বাহিনী পাঠাবে। যুদ্ধে মাহদীর অনুসারীরা কালব বাহিনীর উপর বিজয়ী হবে। এ সময় যারা কালবের গনীমাত নিতে উপস্থিত হবে না তাদের জন্য আফসোস! মাহদী গানীমাতের সম্পদ বণ্টন করবেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাত অনুযায়ী মানুষের মাঝে কার্য পরিচালনা করবেন, আর ইসলাম সারা পৃথিবীতে প্রসারিত হবে। অতঃপর তিনি সাত বছর অবস্থান করার পর মারা যাবেন। আর মুসলিমরা তার জানাযার সালাত পড়বে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, কেউ কেউ হিশাম থেকে বর্ণনা করে বলেন, নয় বছর অবস্থান করবেন, আবার কেউ বলেন, সাত বছর।
(আবু দাউদ ৪২৮৬)

عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَنَظَرَ إِلَى ابْنِهِ الْحَسَنِ، فَقَالَ: إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ كَمَا سَمَّاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَسَيَخْرُجُ مِنْ صُلْبِهِ رَجُلٌ يُسَمَّى بِاسْمِ نَبِيِّكُمْ، يُشْبِهُهُ فِي الْخُلُقِ، وَلَا يُشْبِهُهُ فِي الْخَلْقِ - ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةً - يَمْلَأُ الْأَرْضَ عَدْلًا وَقَالَ هَارُونُ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ طَرِيفٍ، عَنْ أَبِي الْحَسَنِ، عَنْ هِلَالِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيًّا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَقُولُ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَخْرُجُ رَجُلٌ مِنْ وَرَاءِ النَّهْرِ يُقَالُ لَهُ: الْحَارِثُ بْنُ حَرَّاثٍ، عَلَى مُقَدِّمَتِهِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: مَنْصُورٌ، يُوَطِّئُ - أَوْ يُمَكِّنُ - لِآلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا مَكَّنَتْ قُرَيْشٌ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَجَبَ عَلَى كُلِّ مُؤْمِنٍ نَصْرُهُ "

আবূ ইসহাক (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আলী (রাঃ) বলেছেন, আর তিনি তার ছেলে হাসানের প্রতি দৃষ্টিপাত করে বলেছেন, নিশ্চয়ই আমার এই ছেলেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেরূপ নেতা আখ্যায়িত করেছেন, অচিরেই তার বংশ থেকে জনৈক ব্যক্তি আবির্ভূত হবে। তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নামে তার নাম হবে, স্বভাব-চরিত্রে তাঁর মতো; কিন্তু গঠন আকৃতি অনুরূপ হবে না। অতঃপর ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, সে পৃথিবীকে ন্যায় বিচারে ভরে দিবে। হারূন (রহঃ) বলেন, আমর ইবনু আবূ কায়িস পর্যায়ক্রমে মুতাররিফ ইবনু তারিফ, হাসান ও হিলাল ইবনু আমর থেকে বর্ণনা করে বলেন, আমি আলী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নদীর পিছন দিক থেকে জনৈক ব্যক্তি আবির্ভূত হবে। তাকে হারিস ইবনু হাররাস বলে ডাকা হবে। তার আগে জনৈক ব্যক্তি আসবেন, যার নাম হবে মানসুর। তিনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিজনকে আশ্রয় দিবেন, যেরূপ কুরাইশরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে স্থান দিয়েছিল। সুতরাং প্রত্যেক মু‘মিনের কর্তব্য হবে তার সাহায্যে এগিয়ে আসা, তার ডাকে সাড়া দেয়া।
(আবু দাউদ ৪২৯০)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মালহামা বা মহাযুদ্ধ কি ইমাম মাহাদী আসার আগে সংগঠিত হবে নাকি উনি আসার পর

কোনোটাই নির্দিষ্ট নয়। তবে এটা মহাসত্য যে , মালহামা হয়েছে/হচ্ছে/হবেই।এবং ইমাম মাহদি আলাইহিস সালামও আসবেন। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

তাঁর আগমণের স্থানঃ

তিনি পূর্বের কোন একটি অঞ্চল থেকে প্রকাশিত হবেন। তবে পূর্ব দিক বলতে মদ্বীনা মুনাওয়ারা হতে পূর্বের দিক বুঝানো হয়েছে।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘‘তোমাদের গুপ্তধনের নিকট তিনজন লোক ঝগড়া করবে। প্রত্যেকেই হবে খলীফার পুত্র। কেউ তা দখল করতে পারবেনা। অতঃপর পূর্বের দিক থেকে কালো পতাকাধারী একদল সৈনিক আসবে। তারা ব্যাপক হত্যাকান্ড চালাবে। হাদীছের বর্ণনাকারী বলেনঃ ‘‘এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন কিছু বিষয়ের কথা বর্ণনা করলেন যা আমি স্মরণ রাখতে পারিনি। তোমরা যখন তাদেরকে দেখতে পাবে তখন তাদের নেতার হাতে বায়আত করবে। যদিও বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে উপস্থিত হতে হয়। কেননা তিনি হলেন আল্লাহর খলীফা মাহদী’’।
(ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান।) 

ইমাম ইবনে কাছীর (রঃ) বলেনঃ ‘‘উল্লেখিত হাদীছে যে ধন-ভান্ডারের কথা বলা হয়েছে তা হল কা’বা ঘরের ধন-ভান্ডার। তিনজন খলীফার পুত্র তা দখল করার জন্য ঝগড়া করবে। কেউ তা দখল করতে পারবেনা। সর্বশেষে আখেরী যামানায় পূর্বের কোন একটি দেশ হতে মাহদী আগমণ করবেন। 

তিনি আরো বলেনঃ পূর্বাঞ্চলের লোকেরা তাঁকে সাহায্য করবে এবং তাঁর শাসনকে সমর্থন করবে। তাঁরা কালো পতাকাধারী হবেন। মোটকথা আখেরী যামানায় পূর্বদেশ হতে তাঁর বের হওয়া সত্য। কা’বা ঘরের পাশে তাঁর জন্যে বায়আত করা হবে’’।
- (النهاية/ الفتن و الملاحم ( ১/২৯-৩০)

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِلشَّهِيدِ عِنْدَ اللَّهِ سِتُّ خِصَالٍ يُغْفَرُ لَهُ فِي أَوَّلِ دَفْعَةٍ وَيَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الْجَنَّةِ وَيُجَارُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَيَأْمَنُ مِنَ الْفَزَعِ الأَكْبَرِ وَيُوضَعُ عَلَى رَأْسِهِ تَاجُ الْوَقَارِ الْيَاقُوتَةُ مِنْهَا خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا وَيُزَوَّجُ اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِينَ زَوْجَةً مِنَ الْحُورِ الْعِينِ وَيُشَفَّعُ فِي سَبْعِينَ مِنْ أَقَارِبِهِ "

মিকদাম ইবনু মা’দীকারিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শহীদের জন্য আল্লাহ্ তা’আলার নিকট ছয়টি পুরস্কার বা সুযোগ আছে। তার প্রথম রক্তবিন্দু পড়ার সাথে সাথে তাকে ক্ষমা করা হয়, তাকে তার জান্নাতের বাসস্থান দেখানো হয়, কবরের আযাব হতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়, সে কঠিন ভীতি হতে নিরাপদ থাকবে, তার মাথায় মর্মর পাথর খচিত মর্যাদার টুপি পরিয়ে দেওয়া হবে। এর এক একটি পাথর দুনিয়া ও তার মধ্যকার সবকিছু হতে উত্তম। তার সাথে টানা টানা আয়তলোচনা বাহাত্তরজন জান্নাতী হুরকে বিয়ে দেওয়া হবে এবং তার সত্তরজন নিকটাত্মীয়ের জন্য তার সুপারিশ কবুল করা হবে।
(তিরমিজি ১৬৬৩)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শহীদ ব্যাক্তি তার সত্তরজন নিকটাত্মীয়ের জন্য সুপারিশ করতে পারবে।

(০৩)
কোনো জান্নাতী জান্নাতে গিয়ে এমনটি দেখতে চাইলে দেখানো হবে।

(০৪)
জান্নাতীরা চাইলে তারা জান্নাতে সকল নবী রাসুলদের সাথে দেখা করতে পারবে।

(০৫)
হ্যাঁ, পারবে।

(০৬)
দুনিয়ার স্ত্রী সহ।
এক্ষেত্রে দুনিয়ার স্ত্রী জান্নাতী হুরদের সর্দারনী হবে।

(০৭)
হুরদের পোশাক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

 ‘তারা পরিধান করবে চিকন ও পুরু রেশমি বস্ত্র এবং মুখোমুখি হয়ে (গদিতে) বসবে।’ (সুরা দুখান, আয়াত : ৫৩)

জান্নাতি পুরুষর' রেশমের কাপড় পরিধান করবে। এছাড়াও তারা যেই পোশাক পরিধান করতে চাইবে,সেটাই তাদেরকে দেয়া হবে।

(০৮)
কিন্তু যারা ঋণ থাকা অবস্থায় শহীদ হন,তাদের বিষয় ঋনদাতাদের নিয়ে ফায়সালা না হওয়া পর্যন্ত মাফ পাবেনা।

যারা দীর্ঘদিন ব্যক্তিগত কারণে বাবার সাথে কথা না বলা অবস্থায় শহীদ হন তাদেরও মাফ করে দেওয়া হবে,ইনশাআল্লাহ। 

(০৯)
স্বামীর হক সংক্রান্ত জানুনঃ- 

স্ত্রীর হক সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(১০)
হ্যাঁ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...