وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
বিসমিল্লাহির
রহমানির রহিম।
জবাব,
আবু মালিক আশআ’রী রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لَيَشْرَبَنَّ نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي الْخَمْرَ
، يُسَمُّونَهَا بِغَيْرِ اسْمِهَا ، يُعْزَفُ عَلَى رُءُوسِهِمْ بِالْمَعَازِفِ
وَالْمُغَنِّيَاتِ ، يَخْسِفُ اللَّهُ بِهِمْ الْأَرْضَ ، وَيَجْعَلُ مِنْهُمْ
الْقِرَدَةَ وَالْخَنَازِيرَ
আমার উম্মতের কিছু লোক মদের নাম পরিবর্তন
করে তা পান করবে। আর তাদের মাথার উপর বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকা রমনীদের গান বাজতে থাকবে।
আল্লাহ তাআলা তাদেরকে যমীনে ধ্বসিয়ে দিবেন। আর তাদের কিছুকে বানর ও শূকর বানিয়ে দিবেন।
(ইবন মাজাহ ৪০২০ সহীহ ইবনে হিব্বান ৬৭৫৮)
সাহল ইবন সা’দ রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
سَيَكُوْنُ فِيْ آخِرِ الزَّمَانِ خَسْفٌ
وَقَذْفٌ وَمَسْخٌ ، قِيْلَ: وَمَتَى ذَلِكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ ؟ قَالَ: إِذَا
ظَهَرَتِ الْمَعَازِفُ وَالْقَيْنَاتُ
অচিরেই শেষ যুগে দেখা দিবে ভূমি ধস, নিক্ষেপ ও বিকৃতি। রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহ্’র রাসূল! তা কখন? তিনি বললেন, যখন বাদ্যযন্ত্র ও গায়ক-গায়িকারা বেশি হারে প্রকাশ পাবে। (ইবনু মাজাহ্ ২/১৩৫০)
ইমরান ইবন হুসাইন রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
فِي هَذِهِ الأُمَّةِ خَسْفٌ وَمَسْخٌ
وَقَذْفٌ . فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَتَى
ذَاكَ قَالَ إِذَا ظَهَرَتِ الْقَيْنَاتُ وَالْمَعَازِفُ وَشُرِبَتِ الْخُمُورُ
এই উম্মতের জন্য ভূমিধ্বস, চেহারা বিকৃতি এবং পাথর বর্ষণের আযাব রয়েছে। জনৈক মুসলিম ব্যক্তি তখন বললেন,
ইয়া রাসূলাল্লাহ, কখন হবে তা? তিনি বললেন, যখন গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের বিস্তার ঘটবে
এবং মদ্যপান দেখা দিবে। (তিরমিযী ২২১৫)
আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ ﷺ نَهَى عَنِ
الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَالْكُوبَةِ وَالْغُبَيْرَاءِ وَقَالَ كُلُّ مُسْكِرٍ
حَرَامٌ
রাসূলুল্লাহ ﷺ শরাব পান
করতে, জুয়া খেলতে, ঢোল বা তবলা বাজাতে এবং ঘরের
তৈরী শরাব পান করতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেন, প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী
বস্তুই হারাম। (আবু দাউদ ৩৬৪৪)
অনুরূপ হাদিস মুসনাদে আহমাদে আব্দুল্লাহ
ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত হয়েছে।
আবু হুরাইরা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِذَا اتُّخِذَ الْفَئُْ دُوَلاً،
وَالأَمَانَةُ مَغْنَماً، والزَّكَاةُ مَغْرَماً، وَتُعُلَّمَ الْعِلْمُ لِغَيْر
الدِّين، وَأَطَاعَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ، وَعَقَّ أُمَّهُ، وأَدْنَى صَدِيقَهُ،
وأُقْصَى أبَاهُ، وظَهَرَتِ الأصْوَاتُ فى المسَاجدِ، وسَادَ الْقَبيلَةَ فَاسِقُهُمْ،
وَكانَ زَعِيمَ الْقَوْمِ أَرْذَلُهُمْ، وَأُكْرِمَ الرَّجُلُ مخَافَةَ شَرِّهِ،
وَظَهَرَتِ الْقَيْنَاتُ وَالمَعَازِفُ، وشُرِبَتِ الْخَمْرُ، وَلَعَنَ آخِرُ
هذِهِ الأُمَّةِ أَوَّلهَا، فَلْيَرْ تَقِبُوا عِنْدَ ذلِكَ رِيحاً حَمْرَاءَ،
وَزَلْزَلَةً وَخَسْفاً، وَمَسْخاً، وَقَذفاً، وآيَاتٍ تتابع كَنِظَامٍ بَالٍ
قُطِعَ سِلْكُهُ فَتَتَابَعَ
গনীমত সম্পদ যখন ব্যক্তিগত সম্পদ বলে
গণ্য করা হবে, যাকাত হবে জরিমানা বলে, দ্বীনী উদ্দেশ্য
ছাড়া ইলম অর্জন করা হবে, পুরুষরা স্ত্রীদের আনুগত্য করবে,
এবং মা‘দের অবাধ্য হবে, বন্ধুদের নিকট করবে আর
পিতাকে করবে দূর, মসজিদে শোরগোল করবে, পাপাচারীরা
গোত্রের নেতা হয়ে বসবে, নিকৃষ্ট লোকেরা সমাজের নেতা হবে,
অনিষ্টের আশংকায় একজনকে সম্মান করা হবে, গায়িকা
ও বাদ্যযন্ত্রের বিস্তার ঘটবে, মদ্যপান দেখা দিবে, উম্মতের শেষ যুগের লোকেরা প্রথম যুগের লোকদেরকে অভিসম্পাত করবে তখন তোমরা অপেক্ষা
করবে অগ্নিবায়ু, ভূমিকম্প, চেহারা বিকৃতি,
পাথর বর্ষণের আযাবের এবং আরো আলামতের যা পরপর নিপতিত হতে থাকবে,
যেমন একটি পুরান হারের সূতা ছিড়ে গেলে একটার পর একটা দানা পড়তে থাকে।
(তিরমিযী ২২১৪)
আবু উমামা আলবাহিলি রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لاَ تَبِيعُوا الْقَيْنَاتِ وَلاَ
تَشْتَرُوهُنَّ وَلاَ تُعَلِّمُوهُنَّ وَلاَ خَيْرَ فِي تِجَارَةٍ فِيهِنَّ
وَثَمَنُهُنَّ حَرَامٌ
গায়িকা দাসী বিক্রি করবে না। এবং কিনবেও
না। তাদের গান শিক্ষা দিবে না। এদের ব্যবসায়ে কোন কল্যাণ নাই। এদের মূল্য হারাম। (তিরমিযী
১২৮৫)
আনাস ইবন মালিক রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি আয়েশা রাযি.-এর নিকট গিয়েছিলেন। তার সঙ্গে ছিল আরো একজন। তখন লোকটি বলল,
হে উম্মুল মুমিনীন! আমাদেরকে ভূমিকম্প সম্পর্কে বলুন। তখন আয়েশা রাযি.
বললেন,
إِذَا اسْتَبَاحُوا الزِّنَا ، وَشَرِبُوا
الْخَمْرَ ، وَضَرَبُوا بِالْمَغَانِي ، وَغَارَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي
سَمَائِهِ فَقَالَ لِلأَرْضِ : تَزَلْزَلِي بِهِمْ ، فَإِنْ تَابُوا وَنَزَعُوا ،
وَإِلا هَدَمَهَا عَلَيْهِمْ
যখন লোকেরা ব্যভিচারকে বৈধ মনে করবে, মদ পান করবে এবং গানের চর্চা করবে আর আল্লাহ নিজ আকাশে ক্রোধান্বিত হবেন তখন
তিনি জমিনকে বলবেন, এদেরকে নিয়ে প্রকম্পিত হও, যদি তারা তাওবা করে আর এসব ছেড়ে দেয় (তাহলে নয়)। অন্যথায় এদেরকে ধ্বংস করে
দাও। (আল উ’কুবাত লি আবিদ্দুনয়া ৬)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার উক্ত
ইনকাম হারাম হবে না যদি আপনার কাজটি হালাল হয়ে থাকে। কিন্তু গান শ্রবণ করা কবীরা
গুনাহ, যা অত্যন্ত ভয়াবহ একটি গুনাহ। উক্ত গুনাহ থেকে তওবা করা আপনার উপর আবশ্যক।