আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
এক বোনের প্রশ্ন,

আমার বাবা আমার ভরণপোষনের দায়িত্ব নেন না। তিনি প্রায় কয়েক বছর যাবত আমার সাথে কথা বলেন না কারণ তার পরকিয়ার সম্পর্কের ব্যাপারে আমি মাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম। আমি নিজে উপার্জন করে চলি, যা আমার জন্যে কষ্টসাধ্য। কিন্তু যখন আমি বিয়ে করতে চাই তখন তিনি বাধা প্রধান করেন। ছেলে দ্বীনদার এবং সকলে পছন্দ করার পরেও তিনি বার বার ছেলেদের রিজেক্ট করে দেন। ছেলের পরিবারে নানান হুমকি ধামকি দেন। বিশেষ করে এলাকার খারাপ লোকেদের লাগিয়ে দেন, যেনো তারা নিজেরাই বাধ্য হয়ে চলে যায়। আমি জানতে চাই, ইসলামে নারীর ওলী হতে হলে কি কি শর্ত পূরণ করতে হয়? আর কি কি শর্ত পূরণ না করলে নারীর অলী ভিন্ন কেউ হয়, এবং কারা কারা হতে পারে। আমার বাবা কি আমার ওলী? অভিভাবক নিজস্ব জেদ-রাগ অথবা দুনিয়াবি সার্থ্য হাসিলের উদ্দেশ্যে মেয়ের সাথে এমন করলে তাদের কি কোনো জবাবদিহিতা করতে হবে না?

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে ঘরে থাকলে তাদের দ্রুত বিয়ে দেওয়ার বিধান ইসলাম দিয়েছে। মা-বাবার কর্তব্য হচ্ছে মেয়েকে দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করা। কিন্তু মা-বাবা যদি বিয়ের ব্যবস্থা না করেন তাহলে গুনাহগার হবেন। বিয়ের জন্য চেষ্টা করছেন কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না সময় যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে তার মা-বাবা গুনাহগার হবেন না। মা-বাবা যদি বিয়ের ব্যাপারে অবহেলা করেন, তাহলে তাদের গুনাহ হবে, কোনো সন্দেহ নেই।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

من وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَلْيُحْسِنِ اسْمَهُ وَأَدَبَهُ فَإِذَا بَلَغَ فَلْيُزَوِّجْهُ فَإِنْ بَلَغَ وَلَمْ يُزَوِّجْهُ فَأَصَابَ إِثْمًا فَإِنَّمَا إثمه على أَبِيه

তোমাদের মাঝে যার কোনো (পুত্র বা কন্যা) সন্তান জন্ম হয় সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক/সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোনো পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে। (বাইহাকি ৮১৪৫)

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে আলী, তিন কাজে দেরি করবে না। সময় হয়ে গেলে নামাজ আদায়ে, জানাজা এসে গেলে জানাজার নামাজ পড়তে এবং কুফু মিলে গেলে বিবাহে বিলম্ব করবে না।’ 
(তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস : ৬০৫)

যখন ছেলে-মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হয় এবং কুফু বা সমমানের পাত্র-পাত্রী পাওয়া যায়, অভিভাবকের দায়িত্ব তাদের বিবাহের ব্যবস্থা করা। ছেলে-মেয়েদের যত দ্রুত বিবাহের ব্যবস্থা করা যাবে ততই তারা ব্যভিচার থেকে বাঁচতে পারবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার ওলি (অভিভাবক)  আপনার বাবা,তার অবর্তমানে আপনার দাদা।
এক্ষেত্রে ওয়ালির ধারাবাহিকতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ- 

প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরেও তিনি যেহেতু আপনার বিবাহের উদ্যোগ নিচ্ছেননা,উল্টো বাধাও প্রদান করছেন,সুতরাং এক্ষেত্রে তাকে কিয়ামতের ময়দানে কঠিন জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।

এক্ষেত্রে মেয়ে দ্বারা গুনাহের কাজ সংগঠিত হলে উক্ত গুনাহের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 379 views
...