জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।
ফাতাওয়ার কিতাবে আছেঃ-
وَاخْتَلَفُوا فِي تَرْتِيبِ الأَْوْلِيَاءِ فِي النِّكَاحِ وَذَلِكَ عَلَى التَّفْصِيل الآْتِي:
92 - قَال الْحَنَفِيَّةُ: الْوَلِيُّ فِي النِّكَاحِ الْعَصَبَةُ بِنَفْسِهِ وَهُوَ مَنْ يَتَّصِل بِالْمَيِّتِ حَتَّى الْمُعْتِقِ بِلَا تَوَسُّطِ أُنْثَى عَلَى تَرْتِيبِ الإِْرْثِ وَالْحَجْبِ، فَيُقَدَّمُ الاِبْنُ عَلَى الأَْبِ عِنْدَ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ خِلَافًا لِمُحَمَّدٍ حَيْثُ قَدَّمَ الأَْبَ، وَفِي الْهِنْدِيَّةِ عَنِ الطَّحَاوِيِّ: إِنَّ الأَْفْضَل أَنْ يَأْمُرَ الأَْبُ الاِبْنَ بِالنِّكَاحِ حَتَّى يَجُوزَ بِلَا خِلَافٍ، وَابْنُ الاِبْنِ كَالاِبْنِ، ثُمَّ يُقَدَّمُ الأَْبُ، ثُمَّ أَبُوهُ، ثُمَّ الأَْخُ الشَّقِيقُ، ثُمَّ لأَِبٍ، ثُمَّ ابْنُ الأَْخِ الشَّقِيقِ، ثُمَّ لأَِبٍ، ثُمَّ الْعَمُّ الشَّقِيقُ، ثُمَّ لأَِبٍ، ثُمَّ ابْنُهُ كَذَلِكَ، ثُمَّ عَمُّ الأَْبِ كَذَلِكَ، ثُمَّ ابْنُهُ كَذَلِكَ، ثُمَّ عَمُّ الْجَدِّ كَذَلِكَ، ثُمَّ ابْنُهُ كَذَلِكَ، كُل هَؤُلَاءِ لَهُمْ إِجْبَارُ الصَّغِيرَيْنِ وَكَذَا الْكَبِيرَيْنِ إِذَا جُنَّا، ثُمَّ الْمُعْتَقُ وَلَوْ أُنْثَى، ثُمَّ ابْنُهُ وَإِنْ سَفَل، ثُمَّ عَصَبَتُهُ مِنَ النَّسَبِ عَلَى تَرْتِيبِهِمْ
[«الموسوعة الفقهية الكويتية» (41/ 275)]
সারমর্মঃ-
বিবাহের ওয়ালি হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রগামী হলো তার ছেলে, ছেলের ছেলেও ছেলের মতোই,অতঃপর বাবা,অতঃপর তার দাদা,অতঃপর নিজের ভাই,অতঃপর বৈপিত্রীয় ভাই, অতঃপর নিজের ভাইয়ের ছেলে,অতঃপর বৈপিত্রীয় ভাইয়ের ছেলে,অতঃপর নিজের চাচা,অতঃপর বৈপিত্রীয় চাচা,অতঃপর নিজের চাচার ছেলে,
অতঃপর বৈপিত্রীয় চাচার ছেলে,অতঃপর অনুরুপ ভাবে বাবার চাচা,অতঃপর অনুরুপ ভাবে তার ছেলে,,,,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার বিবাহ মওকুফ থাকবে আপনার ভাইয়ের অনুমতির উপর।
যদি আপনার ভাই অনুমতি দেয়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
উল্লেখ্য ইতিপূর্বে যেই মাসয়ালা আলোচনা করা হলো,তাহা ঐ ক্ষেত্রে, যদি আপনি বিবাহের সময় নাবালেগাহ থাকেন।
আর যদি আপনি বিবাহের সময় বালেগাহ হয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে তো কোনো সমস্যা নেই,এক্ষেত্রে সেই ভাইদের অনুমতি ছাড়া বিবাহ হলেও আপনি যদি ইজাব/কবুল করে থাকেন,তবুও বিবাহ শুদ্ধ।
নিকটতম ওলি থাকা অবস্থায় দূরবর্তী ওলি বিবাহ দিলে তার হুকুম সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-
(০২)
না,এক্ষেত্রে কোনো কেনায়া বাক্য ব্যবহার করা হয়নি।
এইসব ঘটনার দরুন আপনার বিয়ের কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৩)
সেসব অলংকার নেসাব পরিমান হলে অথবা তার সাথে নিজের কিছু টাকা থাকলে বা রুপা থাকলে সেক্ষেত্রে সবগুলোর মূল্য যোগ করে যদি সাড়ে ৫২ ভরি রুপার সমমূল্যে পৌছে,সেক্ষেত্রে এক বছর পূর্ণ হলেই যাকাত ফরজ হবে। ব্যাবহৃত অলংকারেরও যাকাত দিতে হবে।
(০৪)
এক্ষেত্রে বিয়ের সমস্যা হবেনা।
(০৫)
আপনার মামাতো ভাইয়েরা আপনার খালার ওয়ালি হবে।
(০৬)
এক্ষেত্রে যিহার হবেনা।
মেয়েদের কথায় কোনো যিহার হয়না।
(০৭)
এই নিয়মে বিবাহ শুদ্ধ হবে।
মেয়ের পক্ষ থেকে অনুমতি যে নিয়ে আসলো,সেই মেয়ের উকিল হয়ে মেয়ের পক্ষ থেকে ছেলেকে প্রস্তাব দেয়,তাই মেয়ের উকিলের সেই মজলিসে উপস্থিত থাকা মানেই মেয়েরই সেই মজলিসে উপস্থিত থাকা।
(০৮)
যে কোনো পক্ষের ২ জন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ (মুসলিম) হলেই হয়।
অথবা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও দুই জন প্রাপ্তবয়স্কা মহিলা হলেই হবে।