প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে ঘরে থাকলে তাদের দ্রুত বিয়ে দেওয়ার বিধান ইসলাম দিয়েছে। মা-বাবার কর্তব্য হচ্ছে মেয়েকে দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করা। কিন্তু মা-বাবা যদি বিয়ের ব্যবস্থা না করেন তাহলে গুনাহগার হবেন। বিয়ের জন্য চেষ্টা করছেন কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না সময় যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে তার মা-বাবা গুনাহগার হবেন না। মা-বাবা যদি বিয়ের ব্যাপারে অবহেলা করেন, তাহলে তাদের গুনাহ হবে, কোনো সন্দেহ নেই।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
من وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَلْيُحْسِنِ اسْمَهُ وَأَدَبَهُ فَإِذَا بَلَغَ فَلْيُزَوِّجْهُ فَإِنْ بَلَغَ وَلَمْ يُزَوِّجْهُ فَأَصَابَ إِثْمًا فَإِنَّمَا إثمه على أَبِيه
তোমাদের মাঝে যার কোনো (পুত্র বা কন্যা) সন্তান জন্ম হয় সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক/সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোনো পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে। (বাইহাকি ৮১৪৫)
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে আলী, তিন কাজে দেরি করবে না। সময় হয়ে গেলে নামাজ আদায়ে, জানাজা এসে গেলে জানাজার নামাজ পড়তে এবং কুফু মিলে গেলে বিবাহে বিলম্ব করবে না।’
(তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস : ৬০৫)
যখন ছেলে-মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হয় এবং কুফু বা সমমানের পাত্র-পাত্রী পাওয়া যায়, অভিভাবকের দায়িত্ব তাদের বিবাহের ব্যবস্থা করা। ছেলে-মেয়েদের যত দ্রুত বিবাহের ব্যবস্থা করা যাবে ততই তারা ব্যভিচার থেকে বাঁচতে পারবে।