জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
জী উক্ত আকীদা ছহীহ।
,
হাদীসে ইরশাদ হচ্ছে-
হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-
3425 – حَدَّثَنَا أَبُو الْجَهْمِ الْأَزْرَقُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا الْمُسْتَلِمُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْأَنْبِيَاءُ أَحْيَاءٌ فِي قُبُورِهِمْ يُصَلُّونَ
[حكم حسين سليم أسد] : إسناده صحيح
হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, নবীগণ তাদের কবরে জীবিত। তারা সেখানে নামায পড়েন।
মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৩৪২৫}
মুহাদ্দিসীনদের ঐক্যমত্বে এ হাদীসটি সহীহ।
তারপরও মুহাদ্দিসীনে কেরামের কিছু বক্তব্য উদ্ধৃত করে দিচ্ছি আরো অন্যান্য সূত্রে বর্ণিত উক্ত হাদীসটির বিষয়ে।
১
আল্লামা হায়ছামী রহঃ বলেন আবী ইয়ালার বর্ণীত হাদীসের সনদটির রাবীগণ সিকা। {মাযমাউজ যাওয়ায়েদ-৮/২১৪}
২
আল্লামা সূয়ুতী রহঃ বলেন, হাদীসটি হাসান। {আলজামেউস সাগীর, বর্ণনা নং-৩০৮৯}
৩
শায়েখ আলবানী রহঃ বলেন, হাদীসটি সহীহ। {সহীহুল জামে, বর্ণনা নং-২৭৯০}
৪
তিনি আরো বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ। {আততাওয়াসসুল, বর্ণনা নং-৫৯}
হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত আরো একটি পরিস্কার হাদীসও এর প্রমাণবাহী।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” أَتَيْتُ – وَفِي رِوَايَةِ هَدَّابٍ: مَرَرْتُ – عَلَى مُوسَى لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي عِنْدَ الْكَثِيبِ الْأَحْمَرِ، وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي قَبْرِهِ “
হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, আমি মেরাজের রাতে কাসীবে আহমার স্থান অতিক্রমকালে দেখতে পাই হযরত মুসা আঃ তার কবরে নামায পড়ছেন। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৩৭৫}
হযরত আনাস রা. বর্ণনা করেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
الأَنْبِيَاءُ أَحْيَاءٌ فِي قُبُورِهِمْ يُصَلُّون.
‘নবীগণ কবরে জীবিত, নামায আদায় করেন’।
মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ৩৪২৫; হায়াতুল আম্বিয়া লিল বাইহাকী, হাদীস ১-৪
ইমাম বাইহাকী রাহ. (হায়াতুল আম্বিয়া, পৃ. ৫)
২. হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. (ফাতহুল বারী ৬/৬০৫)
৩. হাফেজ ইবনুল মুলাক্কিন রাহ. (আল-বাদরুল মুনীর ৫/২৮৫)
শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানী রাহ., সিলসিলাতুস সহীহা, হাদীস ৬২১; সহীহুল জামিইস সাগীর;আলজানাইয; আত-তাওয়াসসুল ইত্যাদি)
দুনিয়ার জীবনের সাথে তাঁদের কবরের জীবনের কিছু কিছু বিষয়ে সাদৃশ্য রয়েছে।(১) যেমন কবরে তাঁদের দেহ মোবারক সুসংরক্ষিত রয়েছে। তাঁরা কবরে নামায আদায় করেন। যারা কবরের নিকট গিয়ে ছালাত ও সালাম পেশ করে তাঁরা তা সরাসরি শুনেন এবং যারা দূর থেকে সালাম পাঠান তা ফেরেশতা তাদের কাছে (কবরে) পৌঁছে দেন এবং তাঁরা আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রিযিক প্রাপ্ত হন।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
,
(০২) ছহীহ কওল হলো শুধুমাত্র হযরত ঈসা আঃ জীবিত আছেন।
তিনি এখনো মারা যাননি।
بل رفعہ اللہ إلیہ (النساء آیت: ۱۵۸)
বাকি সকল নবী মারা গিয়েছেন।
খিজির আঃ ছহীহ কওল অনুযায়ী নবী নন।
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 102 নং ফতোয়াতে এটি উল্লেখ রয়েছে ।
,
★ইদরিস আঃ এর দুনিয়াতে থেকেই জান্নাতে যাওয়া অকাট্য ভাবে প্রমানীত নয়।
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 145940 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
,
★সুতরাং কয়জন নবি স্বশরীরে নবী জান্নাতে গিয়েছেন,এটি মতবিরোধ পূর্ণ একটি বিষয়।