আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in সাওম (Fasting) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম

প্যারালাইজড রুগির মাসআলা
আমার কাইপো সকোলিওশিশ ছিল
পাঁচ বছরে ধরা পড়ে অনেক চিকিৎসা হয়। আটবার অপারেশন হয়। ভুল চিকিৎসা জন্য
আমি বালেগা হবার আগেই প্যারালাইজড হয়ে গেছি। ছোটবেলা থেকেই রোজা রাখা হয়নি অসুস্থ থাকার কারনে। আমার সাপোজিটারি ছাড়া পায়খানা হয়না। রোজা ভঙ্গের কারণ)নেলকেথ পাইপ দিয়ে ইউরিন করাতে ডক্টর বলেছেন। একবার ইউজ করেই ফেলে দিতে বলেছিল। সামর্থ্য নেই বলে গরম পানি দিয়ে ওয়াস করে ইউজ করা হয়
ওটা পরিয়ে রাখা হয় সাদা স্রাব পড়লে ধুয়ে আবার ইউজ করতে হয় না হলে ইউরিন আসে না।বসলে আবার খুলে রাখতে হয়।
।(রোজা ভঙ্গের কারন) গরমে ধুলোয় মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্ট হয়। ইনহেলার নিতে হয়(রোজা ভঙ্গের কারন)
প্রেশার লো রুগী।
রোজা রাখতে পারবো কিনা জানিনা রাখলে অসুস্থ হবার সম্ভাবনা আছে‌। আমার জন্য কি ফিদিয়া জায়েজ আছে?

যদি জায়েজ থাকে কিন্তু আমার সামর্থ নেই আমি কি করবো । আমার আব্বু আম্মু ছাড়া কেউ নেই। নিজস্ব কোন সম্পদ নেই। আব্বু ছোট একটি প্রাইভেট চাকরি করেন সংসারে অভাব অনটন আছে। আব্বুর ও সম্পদ নেই।ওয়ারিশ সূত্রে কিছুই পাননি ভ্যবিষতে পাবেন।কিছু জমি । আমার হয়ে কেউ যদি রোজা রাখে তাহলে কি হবে?যে রাখবেন তার যদি ফরজ রোজা বহু বছরের বাকি থাকে তাহলে কি সে অন্যের হয়ে রাখতে পারবে? আমার যদি কোনদিন ফিদিয়া দেয়ার সামর্থ্য না হয়। মৃত্যুর পর আমার ওয়ারিশ সূত্রে কিছুই যদি না পায়। তখন কি হবে? ওয়ারিশ সূত্রে কিছু পেলাম জমি। কিন্তু কেউ যদি জমি বিক্রি করে  ফিদিয়া না দেয় এর জন্য কি আমার গোনাহ হবে?

তাওবা করলেই কি মাফ পাওয়া যাবে?


(এক বোনের পক্ষ থেকে)

1 Answer

0 votes
by (676,480 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/42299 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ۖ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۗ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ [٢:١٨٥]

কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে,সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর,যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। {সূরা বাকারা-১৮৫}

চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে,শ্বাস গ্রহণের রাস্তা দিয়ে কোন ঔষধ উদাহরণ স্বরূপ ভেনটোলিন ইনহেলার ব্যবহার করলে তার ১০% উপকরণ সরাসরি ফুসফুসে পৌছায়,বাকী ৯০% উপকরণ পরিপাকযন্ত্র শোষন করে,আর এ অবস্থায় ঔষধ সরাসরি রোগীর পেটে গিয়ে পৌঁছায়।
যেহেতু ইনহেলার গ্রহণের রাস্তাটি সেটাই যেটা দ্বারা খাদ্য পেটে যায়, বা খাদ্য পৌঁছানোর নালির নিকটবর্তী শিরা দিয়ে তা গ্রহণ করা হয়,তাই এর দ্বারা রোযা ভেঙ্গে যাবে।

★শরীয়তের বিধান মতে রোযা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার করলে রোযা ভেঙ্গে যায় কিনা,এই ব্যপারে একাধিক মত রয়েছে।
এক্ষেত্রে রোযা ভেঙ্গে যাওয়ার মতই হলো বেশি গ্রহণযোগ্য। 

তাই সাহরীর শেষ সময় এবং ইফতারের প্রথম সময় ইনহেলার ব্যবহার করলে যদি তেমন অসুবিধা না হয় তবে রোযা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। 

★কিন্তু অসুস্থতা বেশি হওয়ার কারণে যদি দিনেও ব্যবহার করা জরুরি হয় তাহলে তখন ব্যবহার করতে পারবে। সেক্ষেত্রে করণীয় হল : 
১. উক্ত ওজরে দিনের বেলা ইনহেলার করলেও অন্যান্য পানাহার থেকে বিরত থাকবে। 
২. পরবর্তীতে রোগ ভালো হলে এর কাযা করে নিবে।
৩. আর ওজর যদি আজীবন থাকে  তাহলে ফিদইয়াহ আদায় করবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে উক্ত বোন রোযাও রাখবে,পাশাপাশি ফিদইয়াহ আদায়েরও চেষ্টা করবে।

এখন ফিদইয়াহ আদায় সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে সম্ভব হলে তখন আস্তে-ধীরে ফিদইয়াহ আদায় করবে।

বিজ্ঞ ডাক্তারের মতে এমতাবস্থায় রমজান মাসে রোযা রাখা তার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হলে সেক্ষেত্রে সে রোযা কিছুটা সুস্থ হওয়া পর্যন্ত নাও রাখতে পারে।

যদি দরিদ্র হওয়ায় কোনদিন ফিদিয়া দেয়ার সামর্থ্য না হয়। মৃত্যুর পর আপনার ওয়ারিশদের জন্য কিছুই ছেড়ে যেতে না পাড়লে তখন আশা করি আল্লাহ তায়ালা আপনার জন্য কল্যাণকর একটি ফায়সালা অবশ্যই করবেন। ইনশাআল্লাহ। 

হতাশ হওয়ার কিছুই নেই।

আল্লাহ তায়ালাই উত্তম ফায়সালা কারী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...