আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (5 points)
আসসালামু ওয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি মুহতারাম,আমি বর্তমানে প্রবাসে অবস্থান করছি। এখানে পেপালের ব্যবহার বৈধ।যা বাংলাদেশে বৈধ নয়।এমতাবস্থায় বাংলাদেশে অবস্থানকারী অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে বা গেমস খেলে টাকা আয় করে। সেই টাকা তারা সরাসরি বাংলাদেশে নিতে পারে না যেহেতু টাকাটা ডলারে পে করা হয়।এমতাবস্থায় তারা প্রবাসে অবস্থানকারী কারো পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করে এই ডলার স্থানান্তরের জন্য।এবং ঔ পেপাল ব্যবহারকারী বাংলাদেশে অবস্থানকারী গ্রহীতাকে ডলারের পরিবর্তে টাকা প্রদান করে।এক্ষেত্রে পেপাল ব্যবহারকারী বাংলাদেশে অবস্থানকারীকে ডলারের বাংলাদেশের বাজারে বিনিময় হারের চেয়ে ৫/১০ টাকা কম দেয়।আর এভাবেই পেপাল ব্যবহার কারী প্রতি লেনদেনে কিছু টাকা মুনাফা আদায় করে।আমার জানার বিষয় হচ্ছে এভাবে টাকা আয় করা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ কিনা?

উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন। যাঝাকুমুল্লাহ ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

https://ifatwa.info/17290/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
পেপ্যাল একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যারা অর্থের স্থানান্তর বা হাতবদল ইন্টারনেটের মাধ্যমে করার ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়ে থাকে। অনলাইন স্থানান্তরের এই পদ্ধতি গতানুগতিক অর্থের লেনদেনের পদ্ধতি যেমন চেক বা মানি অর্ডারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

একটি পেপ্যালের একাউন্ট খোলার জন্য কোন ব্যাঙ্ক একাউন্টের ইলেকট্রনিক ডেবিট কার্ড অথবা ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। পেপ্যালের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে গৃহীতা পেপ্যাল কর্তৃপক্ষের নিকট চেকের জন্য আবেদন করতে পারে, অথবা নিজের পেপ্যাল একাউন্টের মাধ্যমে খরচ করতে পারে অথবা তার পেপ্যাল একাউন্টের সাথে সংযুক্ত ব্যাঙ্ক একাউন্টে জমা করতে পারে।
,
পেপ্যাল অনলাইন বিক্রেতাদের জন্য অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে, এছাড়াও অনলাইন, নিলামের ওয়বসাইট, ও অন্যান্য বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট পেপ্যালের সেবা গ্রহণ করে যার জন্য পেপ্যাল ফী বা খরচ নিয়ে থাকে। এছাড়াও অর্থ গ্রহণের জন্যেও ফী নিয়ে থাকে যা মোট গৃহীত অর্থের সমানুপাতিক হয়ে থাকে। এই ফী বা খরচ নির্ভর করে কোন দেশের মূদ্রা ব্যবহার হচ্ছে, কিভাবে অর্থের লেনদেন হচ্ছে প্রেরক ও প্রাপকের দেশ, পাঠানো অর্থের পরিমাণ ও প্রাপকের একাউন্টের ধরনের ওপরে।

এছাড়াও, ইবে ওয়েবসাইট থেকে পেপ্যালের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করলে পেপ্যাল আলাদা অর্থ গ্রহণ করতে পারে যদি ক্রেতা ও বিক্রেতা ভিন্ন মূদ্রা ব্যবহার করে।
(উইকিপিডিয়া)  

যেহেতু পেপালের কান্ট্রি লিস্টে বাংলাদেশ নেই, তাই পেপাল একাউন্ট করার সময় একেকজন একেক দেশের ঠিকানা দিয়ে রেজিস্টার করে। তার মধ্যে সাইপ্রাস এবং আমেরিকার ফেইক প্রোফাইলই  অনেকে ব্যবহার করে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
মুসলিম সরকার জনগনের উপকারার্থে যে আইন করে, তা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম না হলে তা মানা সে দেশের নাগরিকের জন্য আবশ্যক।

আল্লাহ তা'আলা সরকার প্রধানের বৈধ বিধি-নিষেধের আনুগত্য সম্পর্কে বলেন-

{يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الأمْرِ مِنْكُمْ}

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা সরকার/বিচারক তাদের।
সূরা নিসা-৫৯

আল্লাম ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন,

: (ما يَضْرِبُه السلطانُ على الرعية مصلحةً لهم يصير دَيْنًا واجبًا وحقًّا مُستحقًّا كالخراج، وقال مشايخنا: وكل ما يضربه الإمام عليهم لمصلحة لهم فالجواب هكذا).
ভাবার্থঃ

প্রজাদের কল্যাণে তাদের উপর বাদশা/সরকার যে কর আরোপ করে তা ওয়াজিব ঋণের মত(আদায় করা ওয়াজিব),এবং(ইসলামের একটি সু-নির্দিষ্ট বিধান) খারাজের মত।(আদায় করা ওয়াজিব)

আয়কর প্রজাদের উপর সরকারের প্রাপ্য বা হক্ব।আমাদের মাশায়েখ উলামায়ে কেরাম বলেন, প্রজাদের কল্যাণ কামনায় প্রজাদের উপর সরকার কর্তৃক যে কোনো প্রকারেরই 'কর' আরোপিত হোক না কেন, তার বিধান একই(তথা আদায় করা ওয়াজিব)।
রদ্দুল মহতার-২/৫৭

আরো জানুনঃ 
,
যদি Paypal কর্তৃপক্ষ কয়েকটি দেশকে নির্দিষ্ট করে দেয়,তাহলে এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশের বাহিরের কারো জন্য এটি ব্যবহার করে সুবিধাদি গ্রহণ করা জায়েয হবে না।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
যেহেতু পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করা দেশের আইন বিরোধী, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে প্রবাসি পেপাল ব্যবহারকারী যদি বাংলাদেশে অবস্থানকারী গ্রহীতাকে ডলারের পরিবর্তে টাকা প্রদান করে,তাহলে এই লেনদেন ও টাকা আয় কোনোটিই জায়েজ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...