আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
2,000 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম।
সরকার যে প্রতি বছর ইনকাম ট্যাক্স বা আয়কর নেয় এইটা কি ইসলামি আইনে জায়েজ আছে?

যাদের ব্যাংকে টাকা আছে তারা তো যাকাত আদায় করছে। এরউপর আবার ঐ টাকার জন্য সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয়। এইটা কি ইসলামি শরীয়া সম্মত?

1 Answer

0 votes
by (707,640 points)
edited by

বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-

আয়কর/ট্যাক্সঃ

আয়কর হচ্ছেঃ শর্তসাপেক্ষে রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে
সরকার কর্তৃক জনসাধারণের উপর কিছু মাল  নির্ধারণ করা।

আয়করের উদ্দেশ্য ও ব্যায় খাতঃ

জনসেবা,মানব উন্নয়ন,প্রতিরক্ষা ভিত্তি মজবুত করণ।

যেমনঃ- শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন,শত্রুর হামলা থেকে দেশকে বাচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ,জন নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সহ আরো এমন সব পদক্ষেপ গ্রহণ যেগুলাতে বর্তমান ও ভবিষ্যত জনকল্যাণ নিহিত রয়েছে।

আয়কর নির্ধারণীঃ

আয়কর নির্ধারক হবেন সরকার বা সরকারের নির্দেশপ্রাপ্ত ব্যাক্তিবর্গ।তবে জনসাধারণের উপর সহনীয় কর নির্ধারণ তাদের উপর ওয়াজিব।

আয়করের বিধান।

আয়কর নির্ধারিত হয়ে গেলে জনসাধারণের উপর সেই কর প্রদাণ করা ওয়াজিব।

সামর্থ থাকা সত্বেও কর প্রদাণ না করা,বা কোনো হিলা/বাহানা বের করে কর প্রদাণ থেকে বিরত থাকা হারাম ও কবিরা গুনাহ।

আয়করের বিধান আমরা শরীয়তের নিম্নোক্ত উৎসসমূহ ও প্রমাণাদি থেকে এভাবে বুঝতে পারি,

যেমনঃ
আল্লাহ তা'আলা সরকার প্রধানের বৈধ বিধি-নিষেধের আনুগত্য সম্পর্কে বলেন-
{يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الأمْرِ مِنْكُمْ}

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা সরকার/বিচারক তাদের।

সূরা নিসা-৫৯

কর প্রদাণের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে সহায়তা করা নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যাপকতায় শামিল রয়েছে।

 {وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلا تَعَاوَنُوا عَلَى الإثْمِ وَالْعُدْوَانِ}

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য করো। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না।

সূরা মায়েদা-০২

সরকারকে সাহায্য করা বা সাহায্য করার মনোবাঞ্ছানা থাকা- পূর্ববর্তী উম্মতদের মধ্যেও বিদ্যমান ছিলো।

যেমনঃসুপ্রসিদ্ধ বাদশা 'যুলকারনাইন'কে তার প্রজারা বলেছিল......

সেই কথোপকথন সূরা ক্বাহাফ এ সবিস্তারে বর্ণিত রয়েছে।

আল্লাহর তা'আলার বাণী থেকেই সেই কথোপকথন  শুনুন......

প্রজারা যুলকারনাইনকে বলেছিল.......

حَتَّى إِذَا بَلَغَ بَيْنَ السَّدَّيْنِ وَجَدَ مِن دُونِهِمَا قَوْمًا لَّا يَكَادُونَ يَفْقَهُونَ قَوْلًا★قَالُوا يَا ذَا الْقَرْنَيْنِ إِنَّ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ فَهَلْ نَجْعَلُ لَكَ خَرْجًا عَلَى أَن تَجْعَلَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ سَدًّا★قَالَ مَا مَكَّنِّي فِيهِ رَبِّي خَيْرٌ فَأَعِينُونِي بِقُوَّةٍ أَجْعَلْ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُمْ رَدْمًا★

তরজমাঃ-
অবশেষে যখন তিনি দুই পর্বত প্রচীরের মধ্যস্থলে পৌছলেন, তখন তিনি সেখানে এক জাতিকে পেলেন, যারা তাঁর কথা একেবারেই বুঝতে পারছিল না।

তারা বললঃ হে যুলকারনাইন, ইয়াজুজ ও মাজুজ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। আপনি বললে আমরা আপনার জন্যে কিছু "কর'' ধার্য করব এই শর্তে যে, আপনি আমাদের ও তাদের মধ্যে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন।

তিনি বললেনঃ আমার পালনকর্তা আমাকে যে সামর্থ দিয়েছেন, তাই যথেষ্ট। অতএব, তোমরা আমাকে শ্রম দিয়ে সাহায্য কর। আমি তোমাদের ও তাদের মধ্যে একটি সুদৃঢ় প্রাচীর নির্মাণ করে দেব।

সূরা ক্বাহাফ;৯৩-৯৫

"বাদশা তাদের মনোবাঞ্ছা কে অবৈধ আখ্যা দেননি।বরং তিনি বললেন,আপাতত তোমাদের থেকে সম্পদ নেয়ার কোনো প্রয়োজন আমার নেই।আল্লাহ আমাকে যে সম্পদ দিয়েছেন, তাই আমার জন্য যথেষ্ট। তবে এখন আমার শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে,তাই তোমরা শ্রমিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হও।

উল্লেখ্য যে,

যুলকারনাইন ছিলেন একজন ন্যায়পরায়ণ বাদশা।যাকে আল্লাহ তা'আলা অনেক অনেক ক্ষমতা দিয়েছিলেন।

উপরোক্ত আয়াতে خرجاً শব্দ দ্বারা প্রতিরক্ষা খরছ হিসেবে সরকারী খাযানায় মাল প্রদাণের কথা ই প্রজারা ব্যক্ত করেছে।

ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে, তিনি বলেন,

عن ابن عباس : أجرا عظيما ، يعني أنهم أرادوا أن يجمعوا له من بينهم مالا يعطونه إياه ، حتى يجعل بينهم وبينهم سدا

আয়াতে خرجاً দ্বারা উদ্দেশ্য হলঃ বড় প্রতিদান।

তথা তারা যুলকারনাইন কে উপহার দেয়ার জন্য পরস্পর মাল জমা করার ইচ্ছা পোষন করেছিল।যাতে করে যুলকারনাইন তাদের জন্য ইয়াজুজ-মাজুজ থেকে প্রতিরক্ষা বাধ নির্মাণ করে দেন।

জানাকথা যে,

পূর্ববর্তী শরীয়তের কোনো আলোচনা নিষেধাজ্ঞা ব্যতীত শরীয়তের কোথাও আলোচিত হলে সেটা আমাদের জন্যও পালনীয় বিধান।

এ সমস্ত প্রমাণাদির দরুণই ফুকাহায়ে কেরাম উল্লেখ করেন যে,

সরকারের জন্য শরীয়ীভাবে বৈধ রয়েছে যে,সরকার সহনশীল আয়কর জনসাধারণের উপর অত্যাবশ্যকীয় করে দিতে পারবে।

এমন আয়কর- যার দ্বারা প্রয়োজন তো পূর্ণ হবেই,তবে মানুষের উপর তা আবার জুলুমও হবে না।এমনকি প্রয়োজন অতিরিক্ত ও হবে না।

উক্ত শর্তসমূহ পাওয়া গেলে আয়কর জনগণের উপর ওয়াজিব।সেই আয়কর থেকে পলায়ন করা বা রহিত করার জন্য কোনোরকম অযহাত,বা হিলা-বাহানা যাবে না।এমনকি তখন অজুহাত পেশ করাটা হারামের পর্যায়ে পরিগণিত হবে।

এবং নিশ্চিতরূপে পরকালে এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।

এ বিষয়ে নিম্নে বিশিষ্ট ফিকহ বিশারদদের আলোচনা সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করার প্রয়াস চালাবো......

আল্লাম ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন,

: (ما يَضْرِبُه السلطانُ على الرعية مصلحةً لهم يصير دَيْنًا واجبًا وحقًّا مُستحقًّا كالخراج، وقال مشايخنا: وكل ما يضربه الإمام عليهم لمصلحة لهم فالجواب هكذا).
ভাবার্থঃ

প্রজাদের কল্যাণে তাদের উপর বাদশা/সরকার যে কর আরোপ করে তা ওয়াজিব ঋণের মত(আদায় করা ওয়াজিব),এবং(ইসলামের একটি সু-নির্দিষ্ট বিধান) খারাজের মত।(আদায় করা ওয়াজিব)

আয়কর প্রজাদের উপর সরকারের প্রাপ্য বা হক্ব।আমাদের মাশায়েখ উলামায়ে কেরাম বলেন, প্রজাদের কল্যাণ কামনায় প্রজাদের উপর সরকার কর্তৃক যে কোনো প্রকারেরই 'কর' আরোপিত হোক না কেন, তার বিধান একই(তথা আদায় করা ওয়াজিব)।

রদ্দুল মহতার-২/৫৭

ইমাম শাতেবী মালিকি 'এ'তেসাম' কিতাবে উল্লেখ করেন,

(الغلات والثمار وغير ذلك... ثم قال: (وإنما لم يُنقل مثل هذا عن الأولين لاتساع مال بيت المال في زمانهم، بخلاف زماننا فإن القضية فيه أحرى، ووجه المصلحة هنا ظاهر)

খাদ্যশস্য, ফলমূল ইত্যাদিতে ও কর আরোপ করা যাবে।তবে প্রাক ইসলামী যুগে এরকম কর আরোপের প্রয়োজন ছিল না,কেননা তখনকার বায়তুল-মাল সমৃদ্ধ ছিলো।কিন্তু আমাদের বর্তমান সময়টা ভিন্ন।এখন কর আরোপ করা অতি প্রয়োজনীয়।

{১/৪১০}

হাশিয়াতুল বুনানী আল-মালেকি তে নিম্নোক্ত ঘটনাটি বর্ণিত রয়েছে যে,

أنَّ يوسف بن تاشفين كان يأخذ من أموال الناس ما يفي بمصاريف الجيش؛ لأن ما في بيت المال لم يعد كافيا؛ فاستشار فقهاء وقضاة المغرب: فأجازوا له ذلك، وكان فيهم الإمام الفقيه أبو الوليد الباجي رحمه الله.
(حاشية العلامة البناني المالكي على شرح الزرقاني على مختصر خليل)

বাদশা ইউসুফ বিন তাশফিন সেনাবাহিনী সু-সজ্জিত করতে জনগণ থেকে কর উসূল করতেন।যেহেতু তখনকার বায়তুল মাল যথেষ্ট সমৃদ্ধ ছিল না তাই তিনি মাগরিব(মরক্কো) অঞ্চলের বিজ্ঞ ফুকাহায়ে কেরামদের নিকট থেকে করারোপের অনুমতি চান।

তখনকার ফুকাহায়ে কেরামগণ উনাকে 'কর' উসূলের অনুমতি দেন।সেই ফুকাহায়ে কেরামদের মধ্য যুগশ্রেষ্ট ফকিহ আবুল ওয়ালিদ বাজি রাহি ও ছিলেন।

একটি ভ্রান্তির নিরসনঃ

করারোপ বা ট্যাক্স নির্ধারণী হাদীসে নিষিদ্ধ ঘোষিত 'মাকুস' এর অন্তর্ভূক্ত হবে না।

হাদীসটি নিম্নে প্রদত্তঃ

হযরত উক্ববাহ ইবনে আমের রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে কলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عن عقبة بن عامر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: (لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ صَاحِبُ مَكْسٍ)

ভাবার্থঃ

ছাহেবে মাকস্ (ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে অন্যায়ভাবে হিস্যা উসূলকারী)জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

মসনদে আহমদ-১৭৩৩৩

সুনানে আবু-দাউদ-২৯৩৭

উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় ইমাম শা'ফেয়ী রাহ লিখেন,

"فيه أنَّ المكس من أقبح المعاصي والذُّنوب الموبقات، وذلك لكثرة مطالبات النَّاس له وظلاماتهم عنده، وتكرَّر ذلك منه، وانتهاكه للنَّاس وأخذ أموالهم بغير حقِّها، وصرفها في غير وجهها".

মাকস্ হল নিকৃষ্টতম একটি গোনাহ্,এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এটা এ জন্য যে,মাকসকারী(তথা ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে অন্যায়ভাবে হিস্যা উসূলকারী) এর নিকট অনেক লোকের পাওনা রয়েছে। এবং সে অনেকের জান-মালের উপর অন্যায়ভাবে  জুলুম-নির্যাতন করেছে।শুধু তাই নয় বরং সে ঐ অন্যায়পথে অর্জিত মালকে যথাস্থানে খরছও করেনি।(সে জন্য সে ঐ শাস্তি পাবে)

আল-মিনহাজ;১১/২০৩।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ।

আমরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝে নিলাম যে,

মাকস বলা হয় ঐ মাল কে,যা জরিমানা সরূপ  অন্যায়ভাবে ব্যবসায়ীদের সম্পদে আরোপ করা হয়।এজন্যই ইমাম যাহবী রাহ উনার অমর গ্রন্থ 'আল-কাবাইর' নামক কিতাবে বলেন,মাকস উসূলকারী জুলমের চুড়ান্ত সীমায় উপনিত। কেননা সে অন্যায়ভাবে উসূল করে আবার এমন কাউকে সে ঐ মাল দেয় যারা অদ্য ঐ মালের হক্বদার নয়।

ইমাম সারখাসী রাহ লিখেন,

والَّذي رُوي من ذمِّ العشَّار محمول على من يأخذ مال النَّاس ظلمًا كما هو في زماننا دون من يأخذ ما هو حقٌّ، وهو الصَّدقة

কুরআন হাদীসের যেখানেই সরকারী খাযানা উসূলকারী সম্পর্কে ভৎসনা বা তিরস্কার বর্ণিত হয়েছে,সেখানে ঐ অর্থই উদ্দেশ্য যে,যারা অন্যায়ভাবে জনগণের মাল উসূল করে।

এবং ঐ সমস্ত লোক সেই ভৎসনার উপযোগী নয় যারা ন্যায়সঙ্গত ভাবে সরকারী খাযানা উসূল করে। বরং তারা তো এতে সদকার সওয়াব পাবে।

মাবসুত-২/১৯৯

.

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!

আমাদের নিকট বিষয়টা প্রায়ই পরিস্কার যে,

ট্যাক্স আর মাকস্ এক নয়।

সুতরাং ট্যাক্স জায়েয়। আর মাকস্ নাজায়েয।

আরেকটি জিনিষ পরিস্কার হওয়া প্রয়োজন, তা হলো,ট্যাক্স/কর এবং যাকাত এক নয়।বরং দু'টি ভিন্ন ভিন্ন জিনিষ।যাকাত এক বিষয় আর ট্যাক্স অন্য একটি বিষয়।দুটোকে আলাদা আলাদা ভাবে আদায় করতে হবে।

এমনকি যাকাতকে ট্যাক্স হিসেবে দিলে যাকাত আদায়-ই হবে না।

ট্যাক্স সম্পর্কে চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " (৩৫/১৪)  এভাবে বর্ণিত রয়েছে যে,

ذَهَبَ الْفُقَهَاءُ إِلَى أَنَّ لِلإِْمَامِ فَرْض َضَرَائِبَ عَلَى الْقَادِرِينَ لِوُجُوهِ الْمَصَالِحِ الْعَامَّةِ وَلِسَدِّ حَاجَاتِ الْمُسْلِمِينَ

قَال القرطبي: اتَّفَقَ الْعُلَمَاءُ عَلَى أَنَّهُ إِذَا نَزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ حَاجَةٌ بَعْدَ أَدَاءِ الزَّكَاةِ فَإِنَّهُ يَجِبُ صَرْفُ الْمَال إِلَيْهَا

 (١) .(١) القرطبي ٢ / ٢٤٢، وابن عابدين ٢ / ٥٧.

الموسوعة الفقهية الكويتية ٣٥/١٤

ভাবার্থঃ

মহামান্য ফুকাহায়ে কেরাম মনে করেন যে,

সরকার জনসাধারণের সেবা ও বিভিন্ন প্রয়োজন মিটাতে উপার্জন সক্ষম নাগরিকদের উপর ট্যাক্স অত্যাবশ্যকীয় করতে পারবে,বৈধ রয়েছে।

ইমাম কুরতুবী রাহ উদ্ধৃতিতে বলা হয় যে, তিনি বলেন,সম্পদশালী নাগরিকগণ যাকাত প্রদাণের পরও মুসলিম জনসাধারণের আর্থিক ঘাটতি দেখা দিলে  সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ট্যাক্স প্রদান করা তাদের উপর ওয়াজিব।

তাফসীরে কুরতুবী-২/২৪২

রদ্দুল মুহতার-ইবনে আবেদিন;২/৫৭।

সম্মাণিত দ্বীনী ভাইয়েরা!

সংক্ষেপে আমরা বুঝলাম যে,আয়কর বা ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে হলে জনগণনের উপর তা আদায় করা ওয়াজিব।যাকাতের মতই আবশ্যক পালনীয়।

যদিও আয়করের বিধান শর্তসাপেক্ষ্য তথা ব্যায়খাত লক্ষণীয় একটি বিষয়।এবং যাকাত থেকে কিছুটা শীতিলযোগ্য।

ট্যাক্স কুরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত একটি বিষয়।তাকে অস্বিকার করা যাবে না।

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।




 

উত্তর  লিখনে

মুফতী  ইমদাদুল  হক

ইফতা বিভাগ, IOM.

পরিচালক

ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
এখানে মুহতারাম শায়েখেকের কিছু বিষয় ছুটে গিয়েছে। প্রশ্ন অনুসন্ধানু ভাইদের এই ফাতওআ টা পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। https://fatwaa.org/2021/01/03/2027/
আসলে যেসকল আলেমরা প্রকাশ্যে থাকেন তারা চাইলেই সব বিষয়ে বলতে ভয় পান। এসকল বিষয়ে মুজাহীদ আলেমদের কাছে ফাতওয়া জজ্ঞেস করার আহব্বান জানাচ্ছি।
কমেন্টে উল্লেখিত সাইট টা ফলো করতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
by (707,640 points)
জাযাকুমুল্লাহ।
by
by (707,640 points)
 আমরা আয়কর বা ট্যক্সের কি এবং তার বিধান কি সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি।কোন দেশের সরকারকে দেয়া যাবে আর কোন সরকার দেয়া যাবে না? সেটা আমাদের আলোচ্য বিষয় না।সুতরাং তা অন্যত্র থেকে জেনে নিবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...