ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
এবং ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় উল্লেখ করা হয়-
وَفِي رَوْضِهِ الزندويستي أَنَّ السُّنَّةَ فِي شَعْرِ الرَّأْسِ إمَّا الْفَرْقُ وَإِمَّا الْحَلْقُ وَذَكَرَ الطَّحْطَاوِيُّ الْحَلْقُ سُنَّةٌ وَنُسِبَ ذَلِكَ إلَى الْعُلَمَاءِ الثَّلَاثَةِ كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة.
يُسْتَحَبُّ حَلْقُ الرَّأْسِ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ كَذَا فِي الْغَرَائِبِ.
মাথার চুলে সুন্নাত ত্বরিকা হচ্ছে,চুল রেখে মধ্যখানে ফিতা বের করা অথবা চুল মুন্ডানো। ইমাম তাহতাবী রাহ বলেন,চুল মুন্ডানো সুন্নত।এমনটা আমাদের তিন ইমাম- ইমাম আবু-হানিফা,ইমাম আবু-ইউসুফ এবং ইমাম মুহাম্মাদ রাহ এর দিকে সম্বন্ধ করা হয়।প্রত্যেক জুমুআহ বারে চুল মুন্ডানো মুস্তাহাব।
ফাতওয়ায়ে রশিদিয়ায় উল্লেখ করা হয়,
বাবড়ি চুল রাখা সুন্নাত এবং চুল মুন্ডন করাও হানাফি মাযহাব মতে সুন্নাত,অর্থাৎ উভয়টিই সুন্নাত।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
চুলের বিধি-বিধান সম্ভলিত উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে,বিনা প্রয়োজনে চুল মুন্ডানো উত্তম না চুলকে অবশিষ্ট রাখা উত্তম। তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে-
মুল্লা আলী কারী রাহ এর দুই বক্তব্যর একটি হল,বিনা প্রয়োজনে এমনিতেও চুল রাখার চেয়ে চুল মুন্ডানো উত্তম। আমাদের সালাফদেরকে সময়ে সময় চুল মুন্ডাতে দেখেছি। তারা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সর্বদাই চুল-কে মুন্ডাতেন। তাই আমাদের সিদ্ধান্ত হলো বাবড়ি চুল রাখার মত চুল মুন্ডানোও সুন্নত। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1212
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নটি অসস্পষ্ট। আপনি মূলত কি জানতে চান? সেটা কমেন্টে উল্লেখ করবেন। আমরা যতটুকু বুঝতে পারছি যে, আপনার মা জাহান্নামে প্রবেশের ভয় দেখাচ্ছেন। আপনার মায়ের উদ্দেশ্য হল, যাতে আপনি ভদ্রভাবে চুল রাখেন।