আসসালামু আলাইকুম,
হুজুর আপনাদের আমি অত্যন্ত মহব্বত করি। আপনাদের কাছ থেকে পরামর্শ পেলে শান্তি পাই। এই জন্যই প্রশ্ন করা। আমি অনেকদিন ওয়াসওয়াসাতে ভুগছিলাম। আপনাদের এই বিষয়ে কোর্স দেখেছিলাম। এবং অনেকটা সুস্থও হয়ে উঠে ছিলাম। গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ করলাম কেমন যেন আজে বাজে চিন্তা আসছে।
১. আমি মসজিদে যোহরের ফরজ নাম জামাতে আদায় করার পর দোয়া পরছিলাম। দোয়া পড়ার সময় মসজিদের দেয়ালে আল্লাহ লেখা দেখে ঐ দিকে তাকিয়ে থাকি আর দোয়া পরি – হে আল্লাহ আমার নফসের অনিষ্ঠ থেকে, শয়তানের অনিষ্ঠ থেকে এবং শিরক থেকে আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই।
এবং মনে হয় ‘আল্লাহ লেখার’ এবং একে আল্লাহ মনে করে এর কাছে চেয়েছি। এই ভাবে চাওয়া কি জায়েজ হবে? এতে কি কোন ঈমানে সমস্যা হবে?
২. তারপর সারাদিনই এটা চিন্তা করতে থাকি এবং মনে মনে ভাবতে থাকি আমি তো মুখে খারাপ কিছু বলেনি। কোন কিছুকে চিন্তা করে তাকে উদ্দেশ্য করে মুখে আল্লাহ বলেছি কি? তা বুঝার জন্য আমি একটি গেইটের পিলার দেখতে পেলাম এবং মনে মনে তাকে উদ্দেশ্য করলাম। তখন আমার মুখ থেকে আংশিক শব্দে [যা আমি মনে করতে পারছি না।] আল্লাহ শব্দ বের হল। এতে কি ঈমানের কোন ক্ষতি হবে?
আমি খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি । কোন উপায় না পেয়ে আপনাদের কাছে প্রশ্ন করলাম। অনুগ্রহ করে উত্তর পেলে আমার অসস্তি দূর হত।
২. শপথের কাফফারা কি টাকা দিলে হবে? হলে বর্তমানে কত টাকা দিলে হবে?
৩. আমি স্কুলে চাকরি করি। স্কুলে শপথ করানো হয়। এই শপথ ভাঙলে কি কাফফারা দিতে হবে?
৪. আমার ছেলেকে রাতের খাবার দিতে যেতে হবে এই জন্য আমি এশার নামাযের ফরজ নামাজ পড়ে মাদ্রাসায় গেলাম। মাদ্রাসা থেকে এসে সুন্নত ও বেতর পড়ব। মাদ্রাসা থেকে এসে কোন কারনে আমার মনে ছিল না। যখন রাত ১১ টার কাছাকাছি তখন আমার মনে পড়ে। আমি নামায পরতে যাই । বিবিকে বলি এখন কি নামাজের সময় আছে। তখন বিবি বলে আছে আর বলে মাদ্রাসা থেকে এসেই নামায পরতে। আমি তখন রাগ করে বলেছিলাম মাদ্রাসা থেকে আসার পর যে অবস্থা শুরু করছিলা কি নামায পড়মু। আসলে নামাজের উপর নয়, বিবির উপর রাগ করে এমনটা বলেছিলাম কারন একদিকে নামাজের সময় শেষের দিকে ছিল আর অন্যদিকে মাদ্রাসা থেকে আসার পর কোন কারনে বিবি রাগ করেছিল এই কারনে আমার মধ্য রাগ কাজ করেছিল। এরপর মনে পরল নামাজ সম্পর্কে এই কথা বলার কারনে কি কোন ঈমানে সমস্যা হবে?