আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)

আসসালামু আলাইকুম,

হুজুর আপনাদের আমি অত্যন্ত মহব্বত করি। আপনাদের কাছ থেকে পরামর্শ পেলে শান্তি পাই। এই জন্যই প্রশ্ন করা। আমি অনেকদিন ওয়াসওয়াসাতে ভুগছিলাম। আপনাদের এই বিষয়ে কোর্স দেখেছিলাম। এবং অনেকটা সুস্থও হয়ে উঠে ছিলাম। গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ করলাম কেমন যেন আজে বাজে চিন্তা আসছে।

১. আমি মসজিদে যোহরের ফরজ নাম জামাতে আদায় করার পর দোয়া পরছিলাম। দোয়া পড়ার সময় মসজিদের দেয়ালে আল্লাহ লেখা দেখে ঐ দিকে তাকিয়ে থাকি আর দোয়া পরি – হে আল্লাহ আমার নফসের অনিষ্ঠ থেকে, শয়তানের অনিষ্ঠ থেকে এবং শিরক থেকে আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই।

এবং মনে হয় ‘আল্লাহ লেখার’ এবং একে আল্লাহ মনে করে এর কাছে চেয়েছি। এই ভাবে চাওয়া কি জায়েজ হবে? এতে কি কোন ঈমানে সমস্যা হবে?

২. তারপর সারাদিনই এটা চিন্তা করতে থাকি এবং মনে মনে ভাবতে থাকি আমি তো মুখে খারাপ কিছু বলেনি। কোন কিছুকে চিন্তা করে তাকে উদ্দেশ্য করে মুখে আল্লাহ বলেছি কি? তা বুঝার জন্য আমি একটি গেইটের পিলার দেখতে পেলাম এবং মনে মনে  তাকে উদ্দেশ্য করলাম। তখন  আমার মুখ থেকে আংশিক শব্দে [যা আমি মনে করতে পারছি না।] আল্লাহ শব্দ বের হল। এতে কি ঈমানের কোন ক্ষতি হবে?

আমি খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি । কোন উপায় না পেয়ে আপনাদের কাছে প্রশ্ন করলাম। অনুগ্রহ করে উত্তর পেলে আমার অসস্তি দূর হত।

 

 

২. শপথের কাফফারা কি টাকা দিলে হবে? হলে বর্তমানে কত টাকা দিলে হবে?

৩. আমি স্কুলে চাকরি করি। স্কুলে শপথ করানো হয়। এই শপথ ভাঙলে কি কাফফারা দিতে হবে?

৪. আমার ছেলেকে রাতের খাবার দিতে যেতে হবে এই জন্য আমি এশার নামাযের ফরজ নামাজ পড়ে মাদ্রাসায় গেলাম। মাদ্রাসা থেকে এসে সুন্নত ও বেতর পড়ব। মাদ্রাসা থেকে এসে কোন কারনে আমার মনে ছিল না। যখন রাত ১১ টার কাছাকাছি তখন আমার মনে পড়ে। আমি নামায পরতে যাই । বিবিকে বলি এখন কি নামাজের সময় আছে। তখন বিবি বলে আছে আর বলে মাদ্রাসা থেকে এসেই নামায পরতে। আমি তখন রাগ করে বলেছিলাম মাদ্রাসা থেকে আসার পর যে অবস্থা শুরু করছিলা কি নামায পড়মু। আসলে নামাজের উপর নয়, বিবির উপর রাগ করে এমনটা বলেছিলাম কারন একদিকে নামাজের সময় শেষের দিকে ছিল আর অন্যদিকে মাদ্রাসা থেকে আসার পর কোন কারনে বিবি রাগ করেছিল এই কারনে আমার মধ্য রাগ কাজ করেছিল। এরপর মনে পরল নামাজ সম্পর্কে এই কথা বলার কারনে কি কোন ঈমানে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) কোনো সমস্যা হবে না।

(২) কোনো সমস্যা হবে না।

(৩) 
শপথের কাফফারা টাকা দ্বারা আদায় করলেও হবে। ১০ টি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করে নিলেই হবে। এক্ষেত্রে ১ জন কে সবকিছু দিতে পারবেন। এবং ১০ জনকেও দিতে পারবেন। তবে কোনো একজনকে এক ফিতরা থেকে কম দেয়া যাবে না।

কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে,(১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক।(২)অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে।(৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।(সূরা মায়েদা-৮৯) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1808

(৪)
'মাদ্রাসা থেকে আসার পর যে অবস্থা শুরু করছিলা কি নামায পড়মু'
এই কথা বলার দ্বারা ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...