জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তায়ালা বলেন
قد افلح من تزكي وذكر اسم ربك فصلي
অনুবাদ অনুবাদ সফলকাম তারাই যারা আত্মশুদ্ধি অর্জন করবে,আল্লাহর নামে যিকির করবে,এবং নামাজ আদায় করবে।
(সুরা দুহা ১৫.১৬)
প্রথমে বাংলায় একটি কথা বুঝে নিন। আমরা বলে থাকি অনেক সময় “এখানে কেউ আসবে না” তারপর বলি “আব্দুল্লাহ ছাড়া।”
প্রথম বারের কথা দ্বারা সবাইকে নিষধ করছি, তারপর আব্দুল্লাহ ছাড়া শব্দটি বলে শুধু আব্দুল্লাহের আগমণের অনুমতি দিচ্ছি। তাই না?
তেমনি আমাদের কালিমা “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর অর্থ। আমরা প্রথমে বলি লা-ইলাহা” মানে হল কোন ইলাহ/মাবুদ নেই”। তারপর বলি ইল্লাল্লাহ” তথা “তবে আল্লাহ আছে”।
আমরা অনেক সময় বড় মজলিসে বলি কেউ এখানে আসবে না। তারপর বেশ কিছুক্ষণ পর বলি তবে আব্দুল্লাহ, তবে আব্দুল্লাহ।
এই যে, তবে আব্দুল্লাহ বলছি এর মানে কিন্তু এখানে কেউ আসবে না তবে আব্দুল্লাহ আসবে। তাই নয় কি? আব্দুল্লাহ নাই, আব্দুল্লাহ নাই একথা কিন্তু কোন আহমকই বুঝে না।
ঠিক তেমনি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ জিকির করার পর শুধু বলা হয় ইল্লাল্লাহ [তবে আল্লাহ], ইল্লাল্লাহ। এর মানে এর আগে উক্ত ব্যক্তির নিয়তে উহ্য রয়েছে লা-ইলাহা শব্দটি।
যে ব্যক্তিই ইল্লাল্লাহ জিকির করেন, তার মনে কিছুতেই একথা থাকে না যে, আল্লাহ নাই, আল্লাহ নাই নাউজুবিল্লাহ। বরং তার ব্রেইনে থাকে লা-ইলাহা আর মুখে উচ্চারণ করে ইল্লাল্লাহ। যার পরিপূর্ণতা মূলত লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ। অন্তরে লা ইলাহা শব্দ আর মুখে ইল্লাল্লাহ। সুতরাং এতে কোন প্রকার অর্থের বিকৃতি ঘটে না। কুফরী কোন কথাই আবশ্যক হয় না।
যেমন এক হাদীসে এসেছে রাসূল সাঃ হারামের সিমানার গাছ কাটতে নিষেধ করেছেন। তথন আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ বলেন, ইল্লাল্লাল ইজখির?তথা “তথা “তবে ইজখির”। তখন রাসূল সাঃ জবাবে বললেন শুধু “ইল্লাল ইজখির” তথা ইজখির ছাড়া। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৩৫৩}
হাদীসটির আরবী অংশ
فَقَالَ الْعَبَّاسُ: – وَكَانَ مِنْ أَهْلِ الْبَلَدِ، قَدْ عَلِمَ الَّذِي لَا بُدَّ لَهُمْ مِنْهُ – إِلا الْإِذْخِرَ يَا رَسُولَ اللهِ، فَإِنَّهُ لَا بُدَّ لَهُمْ مِنْهُ، فَإِنَّهُ لِلقُبُورِ وَالْبُيُوتِ، قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِلا الْإِذْخِرَ
শুধু ইল্লাল ইজখির বললেন আল্লাহর রাসূল। মুস্তাসনা মিনহু তথা কার থেকে ইজখিরকে পৃথক করলেন তা উল্লেখ করেননি। কারণ এটি জানা বিষয় এবং মনের মাঝে উহ্য আছে সকল বিষয় কাটা হারাম তবে ইজখির ছাড়া। যেহেতু মনের মাঝে সকল কিছু কাটা হারাম শব্দটি উহ্য আছে। তাই মুখের শব্দে ইজখির বলার দ্বারা অর্থের বিকৃতি ঘটেনি।
তেমনি মনের মাঝে লা-ইলাহা লুকায়িত থাকা অবস্থায় মুখে ইল্লাল্লাহ বলার দ্বারাও কোন প্রকার অর্থের বিকৃতি ঘটে না। কোন কুফরী কথা লাজিম আসে না।
,
(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ {যাকারিয়া}১/৫৮৪)
উল্লেখ্য যে যেহেতু কুরআন হাদীসে স্পষ্ট আকারে উপরোক্ত যিকিরের কথা নেই,বা যেহেতু এমন যিকির কুরআন হাদিসে সরাসরি আসেনি, তাই অনেক আলেমরা এটাকে বিদয়াত বলে আখ্যায়িত করেন।
সুতরাং বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে তাদের মতানুসারীরা সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
এই মতটিও আমলযোগ্য।
আরো জানুনঃ