আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
115 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামুয়াাইকুম ওয়া রামাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

হুজুর বিশেষ অনুরোধ করছি , খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি, আমার স্ত্রীর exam আছে তিন দিন পর , আমার ও কাজ , শায়েখ আমি ওয়াসওয়াসা নিয়ে প্রশ্ন করিনি । আল্লাহ দোহাই যদি প্রশ্নের বিবরণ মতে ফয়সালা টা বলতেন সস্তির শ্বাস পেতাম । ( প্রশ্ন টা পুরোটা রিপিট করা রইলো)


বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্ত্রীর সঙ্গে কথাই কথাই তর্ক বিতর্ক হচ্ছে। আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ি তে থাকে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে। আমি তাদের বাড়ি গিয়েছি দিয়ে একটা কথা প্রসঙ্গে তুমুল তর্ক বিতর্ক শুরু করে , আমি হাজারো চেষ্টা করি কন্ট্রোল করতে কিন্তু না পারায় বাধ্য হয়ে গায়ে হাত তুলে ফেলি ।

তার পর থেকে স্ত্রী বলছে , :

১. আমি স্ত্রী হিসেবে আমি তোমার কাছে কিছু আশা করিনা করবো না তুমি ও করোনা। আমি তোমাকে ভালবাসিনা। আমাদের সম্পর্ক দিন দিন কোথায় চলে যাচ্ছে ।

এই রকম করে তুমি মারলে আমাকে মেরে ফেলতেও পারো , কোন বিশ্বাস এ থাকবো । আমাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো নেই ।

খুব দেখলাম এই ভাবে আর চলতে পারে না ইত্যাদি কথা বললো। সেই কথা শুনে আমার মনে হলো স্ত্রী তালাকের কথা বলছে দিয়ে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তুমি কি চাইছো?? আমি যেটা ভাবছি তুমি যেটা বোঝাতে চেয়েছো সেইটা কি । স্ত্রী বললো হ্যাঁ। আমি তাকে কয়েক বার জিজ্ঞাসা করি সে একই কথা বলে।

তখন আমি বলি ঠিক আছে তোমার আব্বু মার সাতে কথা বলি , স্ত্রী বললো তোমার আব্বু মাকে ও বলো আমি বললাম আমি যথেষ্ট আবু মা কে লাগবে না।

তার পর আমি বললাম ঠিক আছে আমি আমার আব্বু মা কে বলি ,,,

ইত্যাদি কথা হচ্ছিলো , দিয়ে আমার মনে হলো স্ত্রী যখন তালাকের চিন্তা নিয়ে এমন কথা বার্তা বলছে আমি ভাবলাম কি আর করা যাবে তাই শশুর বাড়ির একটা গাড়ি ব্যাবহার করতাম সেইটা রেখে পায়ে হেঁটে বাড়ি যাওয়ার কথা ভাবি ( আমার ভাবনা হয়েছিল হয়ত তালাকের কিছু হবে তাই গাড়ি না নেয়ার কথা ভেবে ছিলাম) ।

আমার কান্না ও স্ত্রীর কান্না র পর স্ত্রী ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছে , আমি ক্ষমা করে দিয়েছি। পরবর্তী তে স্ত্রী বলে সে রাগের উদ্দেশে কিছুদিন আমি আমার বাড়িতে থাকি তাহলে হয়তো ঝামেলা হবে না । এই ভেবে কথা বলেছে তাই বলছে।

সম্মানিত মাননীয় মুফতি সাহেব আমাদের কি কোনো তালাক হয়েছে?? স্ত্রী কি তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হয়েছে??

২. এটা কি তালাকের মজলিস ছিল? আমরা দুজন দুজনের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি, এবং ঝামেলা ঠিক করে নিয়েছি। আমি আমার বাড়িতে আসলাম । তাহলে তালাকের মজলিস শেষ বলে গণ্য হবে ?

জাযাকাল্লাহ খায়রান

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

তালাক খুবই মারাত্মক  একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 


যদি স্বামী তালাক দেয়ার উপর ধমক দিতে থাকে,বা স্ত্রী তালাক চায়,বা সেখানে অন্য কোনো ব্যাক্তি সেই স্বামীকে তালাক দেয়ার উপর উদ্ভুদ্ধ করে,তাহলে সেটিকে তালাকের মজলিস,মুযাকারায়ে তালাক বলা হবে।

মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের মজলিস কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)

মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে  তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭) 

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে কোনো তালাক হয়নি। 
উপরোক্ত কথাগুলির দরুন স্ত্রী তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হয়নি। 

আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...