আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
452 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)

আসসালমুআলাইকুম শায়েখ,
আমি অনুরোধ করছি আমার বিষয় টা মনোযোগ দিয়ে একটু পড়বেন , ভীষণ ভাবে  অনুরোধ করছি  আমাকে শুধু এইটা বলে দিন কোনো তালাক হবে কিনা?? শুধু এই টুকু জানিয়ে দিন plz।


১. টাকা পয়সা গুনতে গিয়ে ,  টাকা পয়সার হিসেব করতে  গিয়ে,  যখন কোনো সংখ্যা উচ্চরণ করা হচ্ছে, বা খাতায় লিখতে হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে সেই সময়  সেই সংখ্যা মনে ভেবে মনে মনে তালাকের ভাবনা হচ্ছে, বা মনে মনে বলা হচ্ছে,  এক্ষেত্রে কি কোনো তালাক হবে ??
২. টাকা পয়সার হিসেব করতে গিয়ে সংখ্যা উচ্চরণ করতে হচ্ছে বা লিখতে হচ্ছে, আর সেই সময় সেই সংখ্যা মনে করে মনে মনে  তালাকের ভাবনা হচ্ছে বা মনে মনে বলা হচ্ছে দিয়ে মনে মনে এমন হচ্ছে আমি হয়ত সত্যি সত্যি বলছি বা লিখছি এই রকম মনে হচ্ছে বা মনে মনে বলা হচ্ছে,  লেখার আগে ও পরে সব সময় মনে মনে  হচ্ছে বা মনে মনে বলা হচ্ছে, তার পরে আমাকে প্রয়োজন এ সেই সব সংখ্যা লিখি বা বলতে হয় তাহলে কি তালাক হবে?? আসলে এই টা আমি ভাবতে চাইনা বা মনে মনে বলতে চাই না। এমনি হচ্ছে এর জন্য কি, আমার কোনো নিয়ত নেই , কিন্তু শয়তানের পাল্লায় মনে হচ্ছে সব সত্যি সত্যি বলছি এই রকম মনে হচ্ছে এক্ষেত্রে কি কোনো তালাক হবে??
২.১. তার পর কোনো কিছু করছি, বা সিড়ি দিয়ে উটছি দিয়ে মনে মনে গুনছি, দিয়ে হটাৎ মনে মনে গুনা সংখ্যা দিয়ে মনে মনে তালাকের ভাবনা চলে আসছে তাহলে কি তালাক হবে বা  কারো সঙ্গে কোনো কথা বলছি, বা স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছি ফোনে দিয়ে প্রয়োজন এ কোনো সংখ্যা বাচক কথা বলতে হচ্ছে,  তখন মনে মনে তালাকের ভাবনা চলে আসছে,  সংখ্যা বাচক কথা বলার আগে পরে সবসময় তালাকের ভাবনা আসছে তাহলে যদি সেই সংখ্যা বাচক কথা বলি প্রয়োজন এ তাহলে কি তালাক হবে?? ??
৩. কোনো একটা বাক্য বলা হয়েছে, এমনি বলা হয়েছে তালাকের কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। দিয়ে শয়তানের পাল্লায় পড়ে মনে হচ্ছে সত্যি সত্যি বলেছি এই রকম মনে হচ্ছে, সেই সময় ফোন এ কথা বলছিলাম দিয়ে ফোনে কথার পরিপেক্ষিতে " হ্যাঁ " শব্দ টা বলেছি দিয়ে মনে হচ্ছে আমি যেনো সত্যি সত্যি বলেছি তাই হ্যাঁ বললাম এই রকম মনে হচ্ছে, আদো কিন্তু অন্য কথার জন্য হ্যাঁ শব্দ টা বলেছি এর জন্য কি কোনো তালাক হবে??
৪. আমাকে জিজ্ঞাসা করছিল তোমার ডিউটি করার টাইম টেবিল করা  হয়ে গিয়েছে ??
আমি উত্তরে বললাম ""আমার তো হয়ে গিয়েছে"", দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তালাকের ভাবনা মাথায় চলে আসে। আমি ডিউটির টাইম এর কথা ভেবে বলেছি। এর জন্য কি কোনো তালাক হবে??
এই রকম ভাবে যে কোনো কথা বলতে গিয়ে বা ম্যাসেজ এ কথা লিখতে গিয়ে খুব ভয় হচ্ছে , সাবধানে লিখছি, কিন্তু কিছু কিছু শব্দের জন্য ভয় হচ্ছে এমনি কোনো সম্মতি জনক কথা বলতে গেলে যেমন, হ্যাঁ , ঠিক আছে, ok,  এই সব কথা বললে  বা ম্যাসেজ করলে তালাকের ভাবনা চলে আসছে ,  এর জন্য কি কোনো তালাক হবে??
৫.বিষয় হলো স্বামী টাকা গুনছিল   খুচরো টাকা, দিয়ে গুনতে গুনতে একবার ৭৯ টাকা হয়েছে দিয়ে সে যখন ৭৯ বলেছে মুখে উচ্চরণ করে  তখন তার মনে মনে হঠাৎ তালাকের ভাবনা চলে আসে।  স্ত্রী কে কোনো উদ্দেশ্য করেনি। টাকা গুনতে গুনতে হটাৎ তার মনে তালাকের ভাবনা চলে আসে কিছুক্ষন পর আবার টাকা  গুনছিল দিয়ে যখন ৩ টাকা পর্যন্ত গুনছিল তখন তিন বলে গুনছিল ,  হঠাৎ দিয়ে তার তালাকের ভাবনা চলে আসে। তখন বিষয় টা কে গুরুত্ব না দিয়ে এড়িয়ে জাই।
"""""তার কিছুক্ষন পর মনে হলো বিষয় টা কি হলো সেই ভেবে দেখার জন্য এমনি এক, দুই , পর্যন্ত মুখে উচ্চরণ   করে গুনছিল( স্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে কোনো সংখ্যা বলনি) এমনি বিষয় টা কি হলো সেই টা দেখার জন্য সংখ্যা গুনছিল। , এবং মনে মনে তালাকের ভাবনা হয় , বা মনে মনে তালাক বলা হয়, কিন্তু যখন এক দুই করে নম্বর গুনেছিলো তখন  তালাকের কোনো উদ্দেশ্য ছিল না """""। , এক্ষেত্রে কি তালাক পতিত হবে??
৬. মনে মনে তালাকের ভাবনা হচ্ছে, বা মনে মনে বলছে , তার পর মুখে "ok" বা  "হ্যাঁ"
শব্দ টা বললে কি তালাক হবে? অন্য কিছু উচ্চরণ করেনি।
৭. টাকার কাউন্টার এ টাকার হিসেব লিখতে গিয়ে যখনই কোনো সংখ্যা লিখা হচ্ছে, তখনি মনে মনে তালাক এর ভাবনা চলে আসছে, এক্ষেত্রে কি কোনো তালাক হবে??
৮. কোনো একটা বাক্য লিখতে গিয়ে টাইপিং মিসটেক করে তালাক শব্দ টা লিখা হয়ে গিয়ে, মনে হচ্ছে কোনো শর্ত তালাকের বাক্য মনে হচ্ছে, আসলে কিন্তু সেই রকম  ভেবে লিখা হয়নি, টাইপিং মিসটেক এর পরে লেখা দেখে  মনে মনে  এমন ভাবনা হচ্ছে, এর জন্য কি কোনো সর্ত তালাক হবে??
৯. কোনো কথা বলছি , কথা বলতে বলতে বোঝানোর ক্ষেত্রে বা এমনি একটা আঙ্গুল নাড়িয়ে হয়ত কোনো বললাম , হটাৎ তালাকের ভাবনা মনে হয়ে যাচ্ছে, আঙ্গুল নাড়ানোর জন্য ভয় হয়ে যাচ্ছে, এর জন্য কি কোনো তালাক হবে??
১০. কোনো ঘটনা  লিখলাম । লিখার পর যখন লিখতে হচ্ছে এই সমস্ত ঘটনার জন্য কি কোনো তালাক হবে?? যখন  "'তালাক হবে?? """ কথা টা লিখতে হচ্ছে তখন মনে মনে তালাকের ভাবনা হচ্ছে , মনে হচ্ছে সত্যি সত্যি লিখছি , এই রকম ভাবনা হওয়ার জন্য কি কোনো তালাক হবে??
১১. ঠোঁট বদ্ধ অবস্থায় আছে, একটা ঠোট আরেকটা ঠোঁটের সঙ্গে লেগে আছে, আর মুখে থুথু আছে দিয়ে মুখের মধ্যে দুই দাতের মারির সাহায্যে থুথু নাড়া ছাড়া করছে  সঙ্গে হালকা জিহ্ববা টা নড়ছে ,  ,   আর মনে মনে তালাক এর ভাবনা হচ্ছে, বা মনে মনে বলা হচ্ছে ।, বা মনে মনে তালাকের কোনো বাক্য বললো,  মুখে উচ্চরণ করা হচ্ছে না , দুই দাতের মারি নড়ছে , আর মনে মনে বলা হচ্ছে, এক্ষেত্রে কি এটা উচ্চরণ ধরা হবে?? এর জন্য কি কোনো তালাক হবে??
১২. যখন ঘুম আসছে তখন হাই উঠছে মুখ দিয়ে, হাই তুলতে গিয়ে মুখে বাতাস বেরোনর শব্দ হচ্ছে, আর মনে মনে তালাক এর ভাবনা হচ্ছে, বা মনে মনে বলা হচ্ছে, কিন্তু কোনো উচ্চরণ করিনি , এমনি মুখে বাতাসের শব্দ হচ্ছে। এক্ষেত্রে কি তালাক হবে??
১৩. এইখানে প্রশ্ন করতে গিয়ে তালাক শব্দ টা লিখতে হচ্ছে, তখন খুব ভয় লাগছে, আর মনে হচ্ছে যেনো সত্যি সত্যি লিখছি এই রকম ভাবনা হচ্ছে। আসলে প্রশ্ন করার জন্য লিখতে হচ্ছে কিন্তু মনে অন্য রকম ভাবনা চলে আসছে এর জন্য কি কোনো তালাক হবে??
*** উস্তায আমার আপনার কাছে বিনীত নিবেদন আমাকে শুধু এইটুকু জানাবেন কোনো তালাক হবে নাকি??
** উপরুক্ত বর্ণনা অনুযায়ী কি কোনো তালাক হবে?? দয়া করে জানাবেন ।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...