ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
( ﻭَﻟَﻮْ ﻣَﺎﺕَ ﻭَﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺻَﻠَﻮَﺍﺕٌ ﻓَﺎﺋِﺘَﺔٌ ﻭَﺃَﻭْﺻَﻰ ﺑِﺎﻟْﻜَﻔَّﺎﺭَﺓِ ﻳُﻌْﻄَﻰ ﻟِﻜُﻞِّ ﺻَﻠَﺎﺓٍ ﻧِﺼْﻒَ ﺻَﺎﻉٍ ﻣِﻦْ ﺑُﺮٍّ ) ﻛَﺎﻟْﻔِﻄْﺮَﺓِ ( ﻭَﻛَﺬَﺍ ﺣُﻜْﻢُ ﺍﻟْﻮِﺗْﺮِ ) ﻭَﺍﻟﺼَّﻮْﻡِ، ﻭَﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳُﻌْﻄِﻲ ( ﻣِﻦْ ﺛُﻠُﺚِ ﻣَﺎﻟِﻪِ ) ( ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ - 2/72)
যদি কেউ মারা যায়,এবং তার উপর অনেক সালাত ক্বাযা থাকে, অথবা যদি মৃত ব্যক্তি সালাতের ফিদয়ার ওসিয়ত করে যায়,তাহলে প্রত্যেক সালাতের বিপরীতে এক ফিতরা সমপরিমাণ ফিদয়া আদায় করতে হবে।পাচঁ ওয়াক্ত সালাতের সাথে বিতিরের সালাতের ও ঐ পরিমাণ( তথা এক ফিতরা সমপরিমাণ) আদায় করতে হবে।এবং ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি সাওমের বিধান ও একিই।ফিদয়া- মৃত ব্যক্তির এক তৃতীয়াংশ সম্পত্তি থেকে-ই আদায় করা হবে।(আদ্দুর্রুল মুখতার-২/৭২,ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১০/১৭৬)
অপারগ ব্যক্তির নামাযের বিধানঃ
اذا مات المريض ولم يقدر على الصلاة بالإيماء لا يلزمه الإيصاء بها-(مراقى الفلاح بإمداد الفتاح علي نور الإيضاح و نجاة الأرواح ;١/١٦٩)
যদি অসুস্থ ব্যক্তি মারা যায়, এমতাবস্থায় যে,সে ইশারায় ও নামায পড়তে অক্ষম।তাহলে তার উপর উক্ত নামায ফরয হবে না।(উক্ত নামাযের ক্বাযা ফিদয়া কিছুি দিতে হবে না)(মারাক্বিল ফালাহ-১/১৬৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার দাদির যদি মৃত্যুর পূর্বে নামায রোযার কোনো প্রকার সামর্থ্যই না থাকে, তাহলে উনার ঐ সমস্ত নামায রোযার ফিদয়া আদায় করতে হবে না। তবে সামর্থ্য থাকার পর কষ্টাদায়ক হবে বা এমনিতেই তিনি নামায রোযা না করলে, উনার পক্ষ থেকে প্রত্যেক রোযা ও নামাযের জন্য একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করতে হবে। ১.৬৫ গ্রাম আটার মূল্য সদকাহ করতে হবে।
(২)
" ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟْﻌُﻠَﻤَﺎﺀُ : ﻳَﺠُﻮﺯُ ﺭِﺷْﻮَﺓُ ﺍﻟْﻌَﺎﻣِﻞِ ﻟِﺪَﻓْﻊِ ﺍﻟﻈُّﻠْﻢِ ﻻ ﻟِﻤَﻨْﻊِ ﺍﻟْﺤَﻖِّ ، ﻭَﺇِﺭْﺷَﺎﺅُﻩُ ﺣَﺮَﺍﻡٌ ﻓِﻴﻬِﻤَﺎ (ﻳﻌﻨﻲ: ﺃﺧﺬﻩ ﻟﻠﺮﺷﻮﺓ ﺣﺮﺍﻡ )
কারো হক্বকে বাধা দিতে নয় বরং তার জুলুম থেকে বাঁচতে ঘুষ প্রদান জায়েয।তবে সর্বাবস্থায় গ্রহণকারীর জন্য ঘুষ হারাম। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/604
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিজ অধিকার আদায়ের নিমিত্তে ঘুষ প্রদান জায়েয।তবে অন্যায়ভাবে কোনো জিনিষ হাসিল করার নিমিত্তে ঘুষ প্রদান সুস্পষ্ট হারাম ও নাজায়েয। প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী যেহেতু জন্ম নিবন্ধন ইত্যাদি আপনার নাগরিক অধিকার। তাই ঝামেলা থেকে বাঁচতে আপনি কিছু টাকা পয়সা দিয়ে দ্রুত করিয়ে নিতে পারবেন। যারা টাকা পেলেই সহজে কাজ করে দেয়, টাকা ছাড়া কাজ করতে নারাজ, ঘুষ গ্রহণের জন্য তাদের গোনাহ হবে, আপনার কোনো গোনাহ হবে না।