আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (38 points)
১.আমার দাদি করনার মধ্যে মারা যান।তিনি যে বছর মারা যান ঐ  বছর রমজানে  তিনি কয়েকটা রোজা রাখেননি এবং কিছু নামাজ কাজা হয়েছে। বর্তমানে আমরা তার সেই রোজা এবং নামাজের ফিদিয়া দিতে চাচ্ছি।দশটা রোজা এবং এক সপ্তাহর নামাজ বাবদ আমাদের কত টাকা দিতে হবে।এই ক্ষেত্রে এই সকল টাকা যে কোন এক ব্যক্তিকে দান করে দিলেই হবে নাকি একাধিক ব্যক্তিকে দান করতে হবে।
২.পাসপোর্ট,ভিসা,জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে দেখা যায় অনেকটা দৌড়াদৌড়ি করতে হয় সে ক্ষেত্রে নারীদের  নিজের পর্দা করতে সালাত আদায় করতে এবং নিজের দৃষ্টির পর্দা  রক্ষা করতে অনেকটা কষ্টকর হয়ে যায় কিছু ক্ষেত্রে তো দেখা যায় সালাত কাযা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে কারণ সব জায়গায় নারীদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা নেই ওযু করার ব্যবস্থাও নেই।এই ক্ষেত্রে ঘুষ দিয়ে কাজটা সম্পূর্ণ করানো কি জায়েজ হবে।
আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়  ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না ঘুষ ছাড়া কাজটা হলেও সেখানে এতটাই জটিলতা আছে হয়তো একজন  পর্দানশীল নারীর পক্ষে এতটা জটিল ভাবে কাজ করা সম্ভব নয় সেই ক্ষেত্রে ঘুষ দিয়ে কাজটা করে নেওয়া জায়েজ হবে।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
( ﻭَﻟَﻮْ ﻣَﺎﺕَ ﻭَﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺻَﻠَﻮَﺍﺕٌ ﻓَﺎﺋِﺘَﺔٌ ﻭَﺃَﻭْﺻَﻰ ﺑِﺎﻟْﻜَﻔَّﺎﺭَﺓِ ﻳُﻌْﻄَﻰ ﻟِﻜُﻞِّ ﺻَﻠَﺎﺓٍ ﻧِﺼْﻒَ ﺻَﺎﻉٍ ﻣِﻦْ ﺑُﺮٍّ ) ﻛَﺎﻟْﻔِﻄْﺮَﺓِ ( ﻭَﻛَﺬَﺍ ﺣُﻜْﻢُ ﺍﻟْﻮِﺗْﺮِ ) ﻭَﺍﻟﺼَّﻮْﻡِ، ﻭَﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳُﻌْﻄِﻲ ( ﻣِﻦْ ﺛُﻠُﺚِ ﻣَﺎﻟِﻪِ ) ( ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ - 2/72)
যদি কেউ মারা যায়,এবং তার উপর অনেক সালাত ক্বাযা থাকে, অথবা যদি মৃত ব্যক্তি সালাতের ফিদয়ার ওসিয়ত করে যায়,তাহলে প্রত্যেক সালাতের বিপরীতে এক ফিতরা সমপরিমাণ ফিদয়া আদায় করতে হবে।পাচঁ ওয়াক্ত সালাতের সাথে বিতিরের সালাতের ও ঐ পরিমাণ( তথা এক ফিতরা সমপরিমাণ) আদায় করতে হবে।এবং ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি সাওমের বিধান ও একিই।ফিদয়া- মৃত ব্যক্তির এক তৃতীয়াংশ সম্পত্তি থেকে-ই আদায় করা হবে।(আদ্দুর্রুল মুখতার-২/৭২,ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১০/১৭৬)

অপারগ ব্যক্তির নামাযের বিধানঃ
اذا مات المريض ولم يقدر على الصلاة بالإيماء لا يلزمه الإيصاء بها-(مراقى الفلاح بإمداد الفتاح علي نور الإيضاح و نجاة الأرواح ;١/١٦٩)
যদি অসুস্থ ব্যক্তি মারা যায়, এমতাবস্থায় যে,সে ইশারায় ও নামায পড়তে অক্ষম।তাহলে তার উপর উক্ত নামায ফরয হবে না।(উক্ত নামাযের ক্বাযা ফিদয়া কিছুি দিতে হবে না)(মারাক্বিল ফালাহ-১/১৬৯)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/80867

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার দাদির যদি মৃত্যুর পূর্বে নামায রোযার কোনো প্রকার সামর্থ্যই না থাকে, তাহলে উনার ঐ সমস্ত নামায  রোযার ফিদয়া আদায় করতে হবে না। তবে সামর্থ্য থাকার পর কষ্টাদায়ক হবে বা এমনিতেই তিনি নামায রোযা না করলে, উনার পক্ষ থেকে প্রত্যেক রোযা ও নামাযের জন্য একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করতে হবে। ১.৬৫ গ্রাম আটার মূল্য সদকাহ করতে হবে।

(২)
" ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟْﻌُﻠَﻤَﺎﺀُ : ﻳَﺠُﻮﺯُ ﺭِﺷْﻮَﺓُ ﺍﻟْﻌَﺎﻣِﻞِ ﻟِﺪَﻓْﻊِ ﺍﻟﻈُّﻠْﻢِ ﻻ ﻟِﻤَﻨْﻊِ ﺍﻟْﺤَﻖِّ ، ﻭَﺇِﺭْﺷَﺎﺅُﻩُ ﺣَﺮَﺍﻡٌ ﻓِﻴﻬِﻤَﺎ (ﻳﻌﻨﻲ: ﺃﺧﺬﻩ ﻟﻠﺮﺷﻮﺓ ﺣﺮﺍﻡ )
কারো হক্বকে বাধা দিতে নয় বরং তার জুলুম থেকে বাঁচতে ঘুষ প্রদান জায়েয।তবে সর্বাবস্থায় গ্রহণকারীর জন্য ঘুষ হারাম। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/604

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিজ অধিকার আদায়ের নিমিত্তে ঘুষ প্রদান জায়েয।তবে অন্যায়ভাবে কোনো জিনিষ হাসিল করার নিমিত্তে ঘুষ প্রদান সুস্পষ্ট হারাম ও নাজায়েয। প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী যেহেতু জন্ম নিবন্ধন ইত্যাদি আপনার নাগরিক অধিকার। তাই ঝামেলা থেকে বাঁচতে আপনি কিছু টাকা পয়সা দিয়ে দ্রুত করিয়ে নিতে পারবেন। যারা টাকা পেলেই সহজে কাজ করে দেয়, টাকা ছাড়া কাজ করতে নারাজ, ঘুষ গ্রহণের জন্য তাদের গোনাহ হবে, আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 99 views
...