আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম, আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিলো।

১. হতাশ হওয়া কি কবিরা গুণাহ?

২. আমি একটি জব করি। জবটি অনলাইনে (রিমোট জব)। আমার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে, আমি এক মাসে সর্বচ্চ ১০-১২ টি পণ্য ডিজাইন করব এবং তার নিচে যতবেশি সম্ভব পণ্য ডিজাইন করা যায়, ততগুলো করব। তিনি মাসিক নির্দিষ্ট একটি এমাউন্ট দেন। এখন যদি আমার ব্যস্ততার কারণে অথবা কোনো গাফিলতির এক মাসে অনেক পণ্য ডিজাইন করা হয়, তাহলে কি গুণাহ হবে বা মাসিক টাকাটি আমার জন্য হারাম হবে?

আমার চুক্তিতে কোনো ভুল থাকলে কিভাবে চুক্তিটি করলে উত্তম হবে যদি পরামর্শ দিতেন ভালো হতো।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) 
হতাশ হওয়া যাবে না। তবে হতাশ হওয়াকে কবিরা গোনাহ বলা যাবে না। হতাশ না হয়ে বরং আল্লাহর কাছে উত্তমতার দু'আ করতে হবে।

উম্মু সালামা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, কোনো মুসলিমের ওপর মুসিবত এলে যদি সে বলে, আল্লাহ যা হুকুম করেছেন, অর্থাৎ ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ বলে এবং এ দোয়া পাঠ করে— ‘আল্লাহুম্মা জুরনি ফী মুসিবতি ও আখলিফ লি খয়রাম মিনহা, (অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে আমার মুসিবতে সওয়াব দান করো এবং এর বিনিময়ে এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করো), তাহলে মহান আল্লাহ তাকে এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করে থাকেন। উম্মে সালামা (রা.) বলেন, এরপর যখন আবু সালামা ইন্তিকাল করেন, আমি মনে মনে ভাবলাম, কোনো মুসলিম আবু সালামা থেকে উত্তম! তিনি সর্বপ্রথম ব্যক্তি, যিনি হিজরত করে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে পৌঁছে গেছেন। এতদসত্ত্বেও আমি এ দোয়াগুলো পাঠ করলাম। এরপর মহান আল্লাহ আবু সালামার স্থলে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মতো স্বামী দান করেছেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২০১)


(২)
আপনি দৈনিক ঘন্টা হিসেবে কাজের চুক্তি করে নিতে পারেন অথবা ডিজাইনের সংখ্যার উপর চুক্তি করে নিতে পারেন। এভাবে যে, এক ঘন্টা কাজ করলে এত টাকা দিতে হবে। অথবা একটা পণ্য ডিজাইন করলে এত টাকা দিতে হবে। এটাই ভালো ও উত্তম চুক্তি হবে।

حدثنا الحسن بن علي الخلال حدثنا أبو عامر العقدي حدثنا كثير بن عبد الله بن عمرو بن عوف المزني عن أبيه عن جده أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الصلح جائز بين المسلمين إلا صلحا حرم حلالا أو أحل حراما والمسلمون على شروطهم إلا شرطا حرم حلالا أو أحل حراما قال أبو عيسى هذا حديث حسن صحيح
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলমানদের একে অপরের সাথে সন্ধি স্থাপন করা জায়িয। কিন্তু বৈধকে অবৈধ অথবা অবৈধকে বৈধ করার মত সন্ধি চুক্তি জায়িয নেই। মুসলমানগণ তাদের একে অপরের মধ্যে স্থিরকৃত শর্তাবলী মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু হালালকে হারাম অথবা হারামকে হালাল করার মত শর্ত বৈধ নয় (তা বাতিল বলে গণ্য হবে)।(জা'মে তিরমিযি-১৩৫২, পৃষ্টা-৪৮৭, সুনানু ইবনু মা'জাহ-২৩৫৩)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...