আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in সাওম (Fasting) by (25 points)
আমার আব্বু সৌদিতে থাকে। উনি ছয় মাসের ছুটিতে আসছে। মার্চ মাসের ২৬ তারিখে চলে যাবে। কয়েকটা রোজা দেশে করতে পারবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে স্বাভাবিকভাবে সৌদিতে তো আমাদের দেশের থেকে সবসময় একদিন আগেই রোজা শুরু হয় এবং ঈদ হয়। এখন আব্বু তো ২৬ তারিখ পর্যন্ত দেশে আছে তো প্রায় দশটা রোজার মতো উনি দেশে থাকবে। পরবর্তীতে সৌদি চলে যাবে। এখন একটা রোজার কি হবে? সৌদিতে গেলে তো একদিন আগে ঈদ হয়ে যাবে, আর বাংলাদেশে তো একদিন পরে রোজা শুরু হবে একটা রোজা তো কম হয়ে যাবে। এখন সৌদিতে যেদিন থেকে রোজা শুরু ঐ দিন থেকেই কি আব্বু বাংলাদেশে রোজা রাখবে?? যেহেতু রোজা শেষটা হবে সৌদিতেই। নাকি বাংলাদেশে যেদিন থেকে রোজা স্টার্ট হয় সেদিন থেকে রোজা রাখবে এবং সৌদিতে একদিন পরে ঈদ করবে।

বি দ্রঃ আব্বু চাইলে ১২,০০০ হাজার টাকা দিয়ে টিকেটের ডেট কমিয়ে রোযার আগেও সৌদি যেতে পারবে, কিন্ত ডেট বাড়ানো যাবে না। তো এটা কি উত্তম হবে??

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন-
إني لأعجب من هؤلاء الذين يصومون قبل رمضان، إنما قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : إذا رأيتم الهلال فصوموا وإذا رأيتموه فأفطروا، فإن غُمَّ عليكم فعُدُّوا ثلاثين.
ঐ সকল লোকের উপর আমার আশ্চর্য হয়, যারা রমযান আসার আগেই রোযা রাখতে শুরু করে। আল্লাহর রাসূল সাললাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো বলেছেন, যখন তোমরা চাঁদ দেখবে তখন রোযা রাখবে এবং যখন (দ্বিতীয়) চাঁদ দেখবে তখন রোযা ছাড়বে। চাঁদ যদি আড়ালে থাকে তাহলে ত্রিশ সংখ্যা পূর্ণ করবে। (আসসুনানুল কুবরা, বায়হাকী ৪/২০৭)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বাবা পৃথিবীর যে দেশেই থাকেন না কেন, তিনি চাদ দেখে রোযা রাখা শুরু করবেন, এবং শাওয়ালের চাদ দেখে রোযাকে ছাড়াবেন। রোযা কয়টা রাখলেন আর কয়টা ছাড়লেন সেটা দেখার বিষয় নয়। বরং উনার দায়িত্ব হচ্ছে উনি যেই দেশে অবস্থান করবেন, সেই দেশের চাদের হিসেবে রোযা রাখবেন অতঃপর আবার চাদ দেখে রোযা ছাড়বেন। এতেকরে যদি উনার রোযা ২৮/২৯ বা ৩১ ও তাতে কোনো সমস্যা হবে না। বুঝা যাবে উনার জন্য রমজান মাসটাই এমন ছিলো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 179 views
...