আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in সাওম (Fasting) by (34 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমার বালেগা হওয়ার পর থেকে রমজানের আনুমানিক ১০০টা রোযা কাযা আছে। আমি আলহামদুলিল্লাহ ৭২ টি কাযা রোযা রেখেছি।কিন্তু নিয়ত করার সময় সর্বশেষ বা সর্বপ্রথম কাযা রোযা  এ ধরনের কোনো নিয়ত ছিল না,শুধু আগামীকাল   কাযা রোযা আদায় করব এরকম নিয়ত করেছি। এই সাইটেই আমি দেখলাম কাযা রোযার ক্ষেত্রে সর্বশেষ বা সর্বপ্রথম রোযা এভাবে নিয়ত করতে হয় এবং সেটা আমি আজকেই জানলাম।
এখন আমার এই ৭২টা কাযা রোযা আদায় হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://www.ifatwa.info/2187 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,

আপনি বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি।সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন।কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন।যেমন আপনি সহবাসের মাধ্যমে মাধ্যমে একটি ভেঙ্গেছেন।এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে।

কা'যা রোযা সমূহের কয়টি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে? ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায় করতে হবে?নাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে?

প্রতিউত্তরে বলা যায়-

এ সম্পর্কে সর্বমোট তিনটি মতামত পাওয়া যায়।

এর মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য অভিমত হচ্ছে-

প্রতিটি রোযার জন্য পৃথক পৃথক কাফ্ফারা যদিও আসার কথা ছিলো।কিন্তু যেহেতু এটা মানুষের জন্য অসম্ভব হয়ে দাড়াবে। তাই ফুকাহায়ে কেরাম সহজতার স্বার্থে বলেন যে,

অতীতের যতগুলো রোযা স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।এবং স্ত্রী সহবাস ব্যতীত অন্য কোনো মাধ্যম তথা খানাপিনার মাধ্যমে যতগুলো রোযা ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য পৃথক একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৪৩৪।

মোটকথাঃ জীবনে যত ফরয রোযা পানাহারের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে,তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে। এবং একটি কাফ্ফারা ই উক্ত সকল রোযার জন্য যথেষ্ট হবে।

ঠিক এভাবে যত রোজা সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে।কাফফারা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/102

রমজানের রোজার কাযা আদায়ের নিয়ম:

১. রমজানের রোজা কাযা গেলে রমজানের পর যথাশীঘ্র কাযা করে নিতে হবে। বিনা কারণে কাযা রোজা রাখতে দেরী করা গুনাহ।

২. কাযা রোযার জন্যে সুবহে সাদিকের পূর্বেই নিয়ত করতে হবে, অন্যথায় কাযা রোযা সহীহ হবে না। সুবহে সাদিকের পর নিয়ত করলে সে রোযা নফল হয়ে যাবে।

৩. ঘটনাক্রমে একাধিক রমযানের কাযা রোযা একত্রিত হয়ে গেলে নির্দিষ্ট করে একত্রিত করতে হবে যে, আজ অমুক বৎসরের রমযানের কাযা রোযা আদায় করছি।

৪. যে কয়টি রোযা কাযা হয়েছে তা একসাথে একাধারে রাখা মোস্তাহাব। উল্লেখ্য, আলাদা আলাদা সময়ে রাখা দুরস্ত আছে।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

নিয়মানুযায়ী আপনার উচিত ছিল পূর্বের বিবরণ অনুপাতে রোজার নিয়ত করে রোজা রাখা। তবে আশা করি আপনার রোজাগুলি আদায় হয়েছে। পরবর্তিতে যেন এমন ভুল না হয়ে সেই ব্যপারে সতর্কতা অবলম্বন করার চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (34 points)
বাকী কাযা রোযার নিয়ত এখন কীভাবে করব বুঝতে পারছি না?বুঝিয়ে দিলে উপকৃত হতাম।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 129 views
...