জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
সা‘ঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রহ.) হতে বর্ণিত।
عَنْ سَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ، قَالَ: مَرَّ عُمَرُ فِي المَسْجِدِ وَحَسَّانُ يُنْشِدُ فَقَالَ: كُنْتُ أُنْشِدُ فِيهِ، وَفِيهِ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْكَ، ثُمَّ التَفَتَ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ، فَقَالَ: أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ، أَسَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «أَجِبْ عَنِّي، اللَّهُمَّ أَيِّدْهُ بِرُوحِ القُدُسِ؟» قَالَ: نَعَمْ
তিনি বলেন, একদা ‘উমার (রাঃ) মসজিদে নববীতে আগমন করেন, তখন হাস্সান ইবনু সাবিত (রাঃ) কবিতা আবৃত্তি করছিলেন। তখন তিনি বললেন, এখানে আপনার চেয়ে উত্তম ব্যক্তির উপস্থিতিতেও আমি কবিতা আবৃত্তি করতাম। অতঃপর তিনি আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর দিকে তাকালেন এবং বললেন, আমি আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি; আপনি কি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, ‘‘তুমি আমার পক্ষ হতে জবাব দাও। হে আল্লাহ! আপনি তাকে রুহুল কুদুস [জিব্রাঈল (আঃ)] দ্বারা সাহায্য করুন।’’ তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ।(সহীহ বোখারী-৩২১২, সহীহ মুসলিম-২৪৮৫,আবু-দাউদ-৫০১৩)
যখন রাসূলুল্লাহ সাঃ সাহাবায়ে কেরামদের ক্ষিদামন্দা দেখলেন,এবং ক্লান্তিকে অনুভব করলেন,তখন তিনি নিম্নোক্ত শে'র আবৃত্তি করলেন,
" اللهم لا عيش إلا عيش الآخرة * فاغفر للأنصار والمهاجرة "
অর্থ-হে অাল্লাহ! আখেরাতের জীবন ব্যতীত অন্য সকল জীবন তুচ্ছ। সুতরাং আনসার এবং মুহাজিরদের তুমি ক্ষমা করে দাও।
সাহাবায়ে কেরাম জবাবে বললেন,
نحن الذين بايعوا محمدا * على الجهاد ما بقينا أبدا
আমরা তারাই, যারা মুহাম্মদ সাঃ এর হাতে আমৃত্যু জীহাদের জন্য বায়আত গ্রহণে করেছি।
(সহীহ বোখারী-৩/১০৪৩)
সুতরাং নাশিদ গাওয়া,শোনা জায়েজ।
তবে কয়েকটি মূলনীতিকে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মূলনীতি গুলো বিস্তারিত জানুনঃ
★শরীয়তের বিধান হলো মিউজিক,বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার হারাম।
মিউজিক চায় কোনো যন্ত্রের মাধ্যমে হোক বা মুখের মাধ্যমে হোক বা অন্য কোনো মাধ্যমে হোক সর্বাবস্থায়ই হারাম।মিউজিক সম্ভলিত নাশিদ,গজল,সবকিছুই হারাম বলে প্রমাণিত হবে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি স্পষ্ট বাদ্যযন্ত্রের মতো আওয়াজ হয়,তাহলে সেটি শোনা জায়েজ নেই।
,
আরো জানুনঃ