আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (45 points)

আসসালামু আলাইকুম শায়খ।

আমাদের একটি ফেইসবুক পেইজ আছে যেখানে নারীদের ব্রা, পেন্টি, নাইটি ইত্যাদি সেল করা হয়। মূলতঃ এটাই আমাদের বর্তমানে একমাত্র ইনকাম সোর্স। যাবতীয় নারীদের সাথে কথা বলা, পেইজের সকল কাজ আমি স্ত্রীই করি ।

আমাদের এর পিছনে নিয়ত হলো --

১. মুসলিম নারীরা যাতে দোকানে গিয়ে এসব কিনতে হেনস্থা না হয় ।

২. মুসলিমাহ নারী ও যাতে তার স্বামির সামনে আকর্ষণীয় ভাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারে,স্বামীর মনের চাহিদা অনুযায়ী, এবং ফিতনা থেকে হিফাজত থাকে-- এজন্য আমরা নাইটি সেল করি।

৩. আমাদের জন্য হালাল রুজি জোগানো। ব্যাবসায় বারাকাহ বেশি যেহেতু। 

৪. লাস্টলি, আমরা অন্য অনেক পেইজের চাইতে কম দাম রাখি, কারন খুব নরমাল জিনিশ অন্য বেদ্বীন পেইজ গুলিতে গলাকাটা দাম রাখছে দেখলে মন খারাপ হয়। মুসলিম ব্যবসায়ীর হাতে  পণ্য থাকলে, বেশি ইনসাফ পাবে কাস্টমার রা -- এসকল কিছু মাথায় রেখে আনা।

 

এমত অবস্থায় --- ব্রা, পেন্টি, নাইটির ছবি পেইজে দেওয়া কি কোনো সমস্যা? কোনো নারী মডেল না, বরং খুঁজে খুঁজে ডলের গায়ে পরা  ছবি কালেক্ট করে দেই । অনেক সময় ডল  ছাড়াই  প্লেইন রেখে ও ছবি তুলি। পুরুষ ফলোয়ার নিতান্তই কম আমাদের। নারীরাই ম্যাসেজ করেন সব সময়। তবু পাবলিক পোস্ট যেহেত, সবার জন্যই উন্মুক্ত।

ছবির কিছু উদাহরণ অ্যাটাচ করে দিচ্ছি, প্লীজ দয়া করে জানাবেন,এই ব্যাবসা এই পন্থায় কোনো সমস্যা আছে কিনা।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://www.ifatwa.info/242 ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
নারীজাতীয় কাপড় সমূহ যা দোকানে বিক্রি হয়, তা তিন অবস্থা থেকে খালি নয়ঃ- 

প্রথম অবস্থাঃ- 

বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হালাল ত্বরিকায়-ই ব্যবহৃত হবে,হারাম ত্বরিকায় কখনো ব্যবহৃত হবে না। তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা জায়েয। এতে কোনো অসুবিধা নেই। 

দ্বিতীয় অবস্থাঃ-

বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হারাম ত্বরিকায় ব্যবহৃত হবে।তথা মহিলা এগুলো পড়ে পরপুরুষের সামনে সৌন্দর্য্য প্রদর্শন করবে।তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের মতপার্থক্য রয়েছে।

একদল উলামায়ে কেরাম বলেন, হারাম।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন, তোমরা গোনাহ ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যকে সাহায্য করো না।(সূরা মায়েদা-০২)  

অপরদিকে একদল উলামায়ে কেরাম বলেন,জায়েয।গোনাহ তারই হবে যে কাপড় পড়বে।বিক্রেতার এক্ষেত্রে কোনো গোনাহ হবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ রেশম কাপড় বিক্রির অনুমতি হযরত উমর রাযি কে দিয়েছিলেন, আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।

 عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ تُبَاعُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ ابْتَعْتَهَا تَلْبَسُهَا لِلْوَفْدِ إِذَا أَتَوْكَ وَالجُمُعَةِ؟ قَالَ: «إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ» وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ حُلَّةًسِيَرَاءَ حَرِيرٍ كَسَاهَا إِيَّاهُ، فَقَالَ عُمَرُ: كَسَوْتَنِيهَا، وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَقُولُ فِيهَا مَا قُلْتَ؟ فَقَالَ: «إِنَّمَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ لِتَبِيعَهَا، أَوْ تَكْسُوَهَا» 

উমর (রাঃ) একটি রেশমী হুল্লা বিক্রী হতে দেখে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি যদি এটি খরীদ করে নিতেন, তা হলে যখন কোন প্রতিনিধি দল আপনার কাছে আসে তখন এবং জুমুআর দিনে পরিধান করতে পারতেন। তিনি বললেনঃ এটা সে ব্যক্তিই পরতে পারে যার আখিরাতে কোন অংশ নেই। পরবর্তী সময়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর (রাঃ) এর নিকট ডোরাকাটা রেশমী হুল্লা পাঠান। তিনি কেবল তাকেই পরতে দেন। উমর (রাঃ) বললেন, আপনি এখনি আমাকে পরতে দিয়েছেন, অথচ এ সম্পর্কে যা বলার তা আমি আপনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেন আমি তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে, তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা কাউকে পরতে দিবে। (সহীহ বুখারী-২/৮৬৮, হাদীস নং-৫৮৪১, ইফাবা-৫৪২৩)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পেইজে উক্ত পোশাক গুলির ছবি দেয়া জায়েজ হবেনা।

হ্যাঁ যদি সেই পেইজে কোনো পুরুষ না থাকে,সেক্ষেত্রে উক্ত পোশাক গুলির ছবি দেয়া জায়েজ হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ فَإِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ "

ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমণী মাত্রই আবরণীয় (বিষয়), যখন সে বের হয় তখন শায়ত্বন তাকে সুশোভিত করে তোলে (বা শায়ত্বন হাত আড় করে তার প্রতি তাকায়।)

(সহীহ : তিরমিযী ১১৭৩, ইরওয়া ২৭৩, সহীহ আল জামি‘ ৬৬৯০।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (45 points)
সেক্ষেত্রে দোকানে যে ব্রা পেন্টি সেল করে, সেটাও কি হারাম? যেহেতু এগুলি চোখে পরেই সবার 
by (45 points)
আরেকটা বিষয়। পুরুষদের জন্য ও কি তাহলে ব্রা পেন্টি সেল করা হারাম হবে, যতো জন ব্যাবসা করছেন এগুলো নিয়ে?কারন তারাও যেহেতু দেখতে পাচ্ছেন এই আইটেম গুলো । 

by (678,880 points)
জন সম্মুখে খুলে রাখা যাবেনা। প্রদর্শন করা যাবেনা।

কেউ আসলেই ক্রয়ের জন্য দেখতে চাইলে দেখাতে পারবে।
by (2 points)
আপু আপনার শপে যোগাযোগ  করার উপায় বলবেন?
কারও যদি জানা থাকে তাহলে দয়া করে জানাবেন

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...