আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
اسلام عليكم ورحمة الله

আমি আব্দুল ফাত্তাহ , Saudi Arab এ থাকি। Alrajhi bank থেকে কিস্তিতে গাড়ি কিনতে চাচ্ছি। অটো লিজিং অর্থায়ন নিচের শর্ত এ গাড়ি কিনতে চাচ্ছি, জায়েজ হবে কি না জানাবেন দোয়া করে জানাবেন।

1. ব্যাঙ্ক আমার জন্য ডিলারের কাছ থেকে বাস্তবে গাড়ি ক্রয় করে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কিস্তির জন্য সম্মত লাভে আমাকে বিক্রি করে
2. কিস্তি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ব্যাঙ্কের নামে গাড়ি থাকবে

3. তারা কিস্তির সময়কালকে ভাড়া/লিজ হিসাবে বিবেচনা করে
4. আমি 3টি কিস্তি মিস করলে তারা গাড়িটি নিয়ে যাবে কিন্তু কোনো টাকা চার্জ করবে না অথবা ব্যাংক এর সাদাকাহ ফান্ড এ যাবে
5. তারা শেষ পেমেন্ট হিসাবে একটি বড় পেমেন্ট রাখে যা তারা গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য রাখে। যদি আমি শেষ অর্থপ্রদান করতে ব্যর্থ হই, আমি গাড়িটি ব্যাঙ্কে ফেরত দিতে পারি কারণ এটি একটি ভাড়া চুক্তি ছিল অথবা আমি 0% লাভের উপর কিস্তিতে শেষ অর্থপ্রদান করতে পারি। এই পেমেন্ট টা আমার কিস্তি এর সাথে যোগ করে দিতে পারে
6. সমস্ত অর্থ প্রদানের পরে তারা মালিকানা পরিবর্তন করে দিবে।
7. চুক্তিতে লিজ/ভাড়া এর কথা লেখা থাকবে, গাড়ি বিক্রি করার কথা উল্লেখ থাকবে না, বিক্রি করার promise লিখা থাকবে সব কিস্তি শেষ করার শর্তে।

8. গাড়ির insurance ব্যাংক এর নামে থাকবে , কিন্তু পেমেন্ট আমি করবো।

9. সার্ভিস এর জন্য আমাকে ওকালা করে দিবে
যদি আরও কোনো তথ্য লাগে, আমাকে জানাবেন নিচের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর এ

+966564282373

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কিস্তিতে পন্য কিনলে প্রথমেই যে বিষয়টি লক্ষনীয়,সেটি হলো গ্রাহককে সরাসরি পন্য দিতে হবে,টাকা দেওয়া যাবেনা।
ব্যাংক গুলো সাধারণত পন্য নয়,বরং টাকা দেয়,তাই তাদের এটি সুদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় হারাম।
,
যদি পন্য দেওয়া হয়,আর বেশি মুল্য নেওয়া হয়,সেক্ষেত্রে বিধানঃ   

https://ifatwa.info/325/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে,
কিস্তিতে অতিরিক্ত মূল্যে পন্য ক্রয় জায়েয আছে।সুদ হবে না।তবে শর্ত হল যে, দেড়ীতে মালের মূল্য পরিশোধ করার দরুণ প্রথমেই  একটি মূল্য নির্ধারণ করে নিতে হবে।
যেমন -একটি ফ্রিজ, নগদ হলে চল্লিশ হাজার টাকা।আর ১২মাসের কিস্তিতে হলে পঞ্চাশ হাজার টাকা।
এভাবে লেনদেনের পূর্বেই দুটি মূল্য ঠিক করে নিতে হবে।পরবর্তীতে আবার অতিরিক্ত মূল্য চার্জ করা যাবে না।কিস্তি মিস হলে অতিরিক্ত চার্জ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
কিতাবুল ফাতাওয়া-৫/১৯৯--৫/২২৪

ইসলামের দৃষ্টিতে কিস্তিতে ক্রয়-বিক্রয় করা বৈধ এবং কিস্তিতে পণ্য ক্রয়ের কারণে নগদ মূল্যের অতিরিক্ত মূল্য নেয়া সর্বসম্মতভাবে বৈধ। এটি সুদ নয়। 

তবে ইসলামের বিধান অনুযায়ী সুদ তখন হবে যখন এক জাতীয় দুটি জিনিস লেনদেনের ক্ষেত্রে কম-বেশী করা হয়-চাই নগদে হোক অথবা বাকিতে হোক। যেমন: ১০ কেজি চালের পরিবর্তে ১১ কেজি চাল নেয়া, ২০০ টাকার পরিবর্তে ২১০ টাকা নেয়া ইত্যাদি।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: “ التَّمْرُ بِالتَّمْرِ وَالْحِنْطَةُ بِالْحِنْطَةِ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مِثْلاً بِمِثْلٍ يَدًا بِيَدٍ فَمَنْ زَادَ أَوِ اسْتَزَادَ فَقَدْ أَرْبَى إِلاَّ مَا اخْتَلَفَتْ أَلْوَانُهُ ” .
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: খেজুরের বিনিময়ে খেজুর, গমের বিনিময়ে গম, যবের বিনিময়ে যব ও লবণের বিনিময়ে লবণ সম পরিমাণ ও হাতে হাতে হতে হবে। কেউ যদি বেশি দেয় বা বেশি নেয় তবে সুদ হবে। তবে যদি এর শ্রেণী পরিবর্তন হয় (যেমন, খেজুরের বিনিময়ে গম, গমের বিনিময়ে লবন….ইত্যাদি) তবে কমবেশি করাতে কোন অসুবিধা নেই।”
[সহিহ মুসলিম, অধ্যায়: স্বর্ণের বদলে রৌপ্য ও রৌপ্যের বদলে স্বর্ণ নগদ বেচাকেনা, হা/৩৯৫৮)]

শরীয়তের বিধান মতে শর্তসাপেক্ষে কিস্তিতে পন্য ক্রয় বিক্রয় করা জায়েজ আছে,সমস্যা নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ- 
,
এক্ষেত্রে কিস্তি মিস হলে/নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে পুরো টাকা পরিশোধ করতে না পারলে অতিরিক্ত চার্জ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
তাই কিস্তি মিস হলে অতিরিক্ত চার্জ করা জায়েজ হবেনা।

আরো জানুনঃ- 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে গাড়ি ক্রয় জায়েজ হবে।
,
এক্ষেত্রে চার নং শর্ত দ্বারা বুঝা যায় যে ৩ টি কিস্তি মিস হলে তারা কিছু আর্থিক জরিমানা নিবে,যাহা ব্যাংক এর সাদাকাহ ফান্ড এ যাবে।

এখানে কিস্তির টাকা ব্যাতিত অতিরিক্ত টাকা গ্রহন আর্থিক জরিমানার অন্তর্ভুক্ত হবে,যাহা তাদের জন্য গ্রহন জুলুম হবে। বিধায় তাহা নাজায়েজ। 

তবে প্রশ্নে উল্লেখিত শর্ত সাপেক্ষে গাড়ি ক্রয় জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 115 views
...