কিস্তিতে পন্য কিনলে প্রথমেই যে বিষয়টি লক্ষনীয়,সেটি হলো গ্রাহককে সরাসরি পন্য দিতে হবে,টাকা দেওয়া যাবেনা।
ব্যাংক গুলো সাধারণত পন্য নয়,বরং টাকা দেয়,তাই তাদের এটি সুদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় হারাম।
,
যদি পন্য দেওয়া হয়,আর বেশি মুল্য নেওয়া হয়,সেক্ষেত্রে বিধানঃ
কিস্তিতে অতিরিক্ত মূল্যে পন্য ক্রয় জায়েয আছে।সুদ হবে না।তবে শর্ত হল যে, দেড়ীতে মালের মূল্য পরিশোধ করার দরুণ প্রথমেই একটি মূল্য নির্ধারণ করে নিতে হবে।
যেমন -একটি ফ্রিজ, নগদ হলে চল্লিশ হাজার টাকা।আর ১২মাসের কিস্তিতে হলে পঞ্চাশ হাজার টাকা।
এভাবে লেনদেনের পূর্বেই দুটি মূল্য ঠিক করে নিতে হবে।পরবর্তীতে আবার অতিরিক্ত মূল্য চার্জ করা যাবে না।কিস্তি মিস হলে অতিরিক্ত চার্জ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
কিতাবুল ফাতাওয়া-৫/১৯৯--৫/২২৪
ইসলামের দৃষ্টিতে কিস্তিতে ক্রয়-বিক্রয় করা বৈধ এবং কিস্তিতে পণ্য ক্রয়ের কারণে নগদ মূল্যের অতিরিক্ত মূল্য নেয়া সর্বসম্মতভাবে বৈধ। এটি সুদ নয়।
তবে ইসলামের বিধান অনুযায়ী সুদ তখন হবে যখন এক জাতীয় দুটি জিনিস লেনদেনের ক্ষেত্রে কম-বেশী করা হয়-চাই নগদে হোক অথবা বাকিতে হোক। যেমন: ১০ কেজি চালের পরিবর্তে ১১ কেজি চাল নেয়া, ২০০ টাকার পরিবর্তে ২১০ টাকা নেয়া ইত্যাদি।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: “ التَّمْرُ بِالتَّمْرِ وَالْحِنْطَةُ بِالْحِنْطَةِ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مِثْلاً بِمِثْلٍ يَدًا بِيَدٍ فَمَنْ زَادَ أَوِ اسْتَزَادَ فَقَدْ أَرْبَى إِلاَّ مَا اخْتَلَفَتْ أَلْوَانُهُ ” .
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: খেজুরের বিনিময়ে খেজুর, গমের বিনিময়ে গম, যবের বিনিময়ে যব ও লবণের বিনিময়ে লবণ সম পরিমাণ ও হাতে হাতে হতে হবে। কেউ যদি বেশি দেয় বা বেশি নেয় তবে সুদ হবে। তবে যদি এর শ্রেণী পরিবর্তন হয় (যেমন, খেজুরের বিনিময়ে গম, গমের বিনিময়ে লবন….ইত্যাদি) তবে কমবেশি করাতে কোন অসুবিধা নেই।”
[সহিহ মুসলিম, অধ্যায়: স্বর্ণের বদলে রৌপ্য ও রৌপ্যের বদলে স্বর্ণ নগদ বেচাকেনা, হা/৩৯৫৮)]
শরীয়তের বিধান মতে শর্তসাপেক্ষে কিস্তিতে পন্য ক্রয় বিক্রয় করা জায়েজ আছে,সমস্যা নেই।
বিস্তারিত জানুনঃ-
,
এক্ষেত্রে কিস্তি মিস হলে/নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে পুরো টাকা পরিশোধ করতে না পারলে অতিরিক্ত চার্জ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
তাই কিস্তি মিস হলে অতিরিক্ত চার্জ করা জায়েজ হবেনা।
এক্ষেত্রে চার নং শর্ত দ্বারা বুঝা যায় যে ৩ টি কিস্তি মিস হলে তারা কিছু আর্থিক জরিমানা নিবে,যাহা ব্যাংক এর সাদাকাহ ফান্ড এ যাবে।
এখানে কিস্তির টাকা ব্যাতিত অতিরিক্ত টাকা গ্রহন আর্থিক জরিমানার অন্তর্ভুক্ত হবে,যাহা তাদের জন্য গ্রহন জুলুম হবে। বিধায় তাহা নাজায়েজ।