জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّهَا قَالَتْ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ بِصَبِيٍّ، فَبَالَ عَلَى ثَوْبِهِ، فَدَعَا بِمَاءٍ فَأَتْبَعَهُ إِيَّاهُ
উম্মুল মু’মিনীন আয়শা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ﷺ-এর কাছে একটি শিশুকে আনা হল। শিশুটি তাঁর কাপড়ে পেশাব করে দিল। তিনি পানি আনালেন এবং এর ওপর ঢেলে দিলেন। (সহীহ বুখারী ২২২)
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "
আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে পরিহিত কাপড় চোপড় নাপাক হয়ে যাবেনা।
(০২)
এক্ষেত্রে ভেজা হাত পায় নাপাকির চিহ্ন/গন্ধ পাওয়া গেলে হাত পা নাপাক হয়ে যাবে।
অন্যথায় নাপাক হবেনা।
পরিহিত কাপড় বা বিছানো চাদর ভেজা থাকলে সেখানে নাপাকির চিহ্ন/গন্ধ পাওয়া গেলে তাহা নাপাক হয়ে যাবে।
অন্যথায় নাপাক হবেনা।
(০৩)
এগুলো তিন বার ধুয়ে পাক করতে হবে
প্রত্যেকবার ধোয়ার পর এতটুকু সময় অপেক্ষা করতে হবে,যাতে পানির ফোটা পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
(০৪)
এটা নাপাক।
এখানে বসা ও কাপড় পাক পবিত্রতার বিষয় উপরে উল্লেখ রয়েছে।
(০৫)
না,এতে কোনো শরয়ী নিষেধাজ্ঞা নেই।
(০৬)
এই বালি ছিটানোর দ্বারা দেওয়াল ও মেঝে নাপাক বলে গন্য হবেনা।
অবস্থা : খ )
(০১)
সে যদি মা'যুর হয়,সেক্ষেত্রে সে একবার ওযু করে সেই ওয়াক্তের মধ্যে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবে।
আর যদি মা'যুর হয়,সেক্ষেত্রে নাপাকি পড়া বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে পূর্ণ পবিত্রতার সহিত নামাজ আদায় করবে।
(০২)
এক্ষেত্রে চেক করতে হবে।
নাপাকি অবস্থায় নামাজ পড়া যাবেনা।
(০৩)
এক্ষেত্রে অযু থাকলে মোবাইল এর স্কীন স্পর্শ করে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবে।
অন্যথায় মোবাইল এর স্কীন স্পর্শ করা যাবেনা।
(০৪)
পেশাবের পর একবার হাত ভালোভাবে হাত ধুলেই তাহা পাক হয়ে যায়।
পায়খানার পর এতটুকু পানি হাতে ঢাকতে হবে,যাতে নাপাকি হাত থেকে চলে যায়।
এক্ষেত্রে সাবান ব্যবহার করা উত্তম।